১২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

পঞ্চগড়ে সাংবাদিকের বাড়িতে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট: জীবননাশের হুমকি, স্ত্রী-সন্তান নিগৃহীত

Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫৯:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • / ১২০ Time View

 

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের প্রধানপাড়া গ্রামে সাংবাদিক মোখলেছুর রহমান চৌধুরীর বাড়িতে ভয়াবহ হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত ৩০ মে ২০২৫, শুক্রবার দুপুর ১১টার দিকে এ সন্ত্রাসী তাণ্ডব শুরু হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

প্রথমে সুপারি বাগান সংক্রান্ত এক লক্ষ টাকা পাওনা নিয়ে সন্ত্রাসী আমির হোসেন ও হাসিবুল ইসলাম সাংবাদিকের বাড়িতে গিয়ে উস্কানিমূলক আচরণ করে চলে যায়। পরে দুপুরে আরিফ হোসেন নামের এক দোকানদার তাদের সঙ্গে নিয়ে ফের এসে সাংবাদিকের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদে জড়ায় ও বাগান থেকে কিছু মোচা নিয়ে চলে যায়।

সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে জুমার নামাজের পর বিকাল ৩টার দিকে। অভিযোগ অনুযায়ী, বড়শশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমের নির্দেশে ও তার নেতৃত্বে, ৯ জন গ্রাম পুলিশ, ২০টির বেশি মোটরসাইকেল ও ১০টি অটোর বহর নিয়ে ৭০-৮০ জনের একদল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী সাংবাদিক মোখলেছুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালায়।

id

সাংবাদিক মোখলেছুর রহমান প্রাণ রক্ষার্থে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়, আলমারি ভেঙে তিন লক্ষ টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার, জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও পোশাক লুটে নেয় বলে অভিযোগ। সাংবাদিকের স্ত্রী ও দুটি শিশুসন্তানকেও মারধর করা হয়।

বোদা থানায় তাৎক্ষণিক অভিযোগ করা হলে, এসআই তপন বাবু তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান। এরপর জেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে ১৬টি অভিযোগ দাখিল করা হয়। ৩০ মে থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত অন্তত আটবার পুলিশ তদন্ত করেছে এবং অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে বলে জানা যায়।

এছাড়া ১৫ জুন মালকাডাঙ্গা বাজারে টিকটকার মিজানুর রহমান ও রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে সাংবাদিক মোখলেছুর রহমান ও রেলমন্ত্রীর ছবি সংযুক্ত করে মিথ্যা মানববন্ধনের চেষ্টা হলে, ৯৯৯-এ ফোনের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মানববন্ধনটি ছত্রভঙ্গ করে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক অভিযোগ করেন, পুরো ঘটনাটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে চুক্তিভিত্তিক সুপারি বাগানের এক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এবং সাংবাদিকের সামাজিক মর্যাদা বিনষ্ট করা। তিনি প্রশাসনের নিকট দ্রুত আইনি পদক্ষেপ ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

পঞ্চগড়ে সাংবাদিকের বাড়িতে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট: জীবননাশের হুমকি, স্ত্রী-সন্তান নিগৃহীত

Update Time : ১১:৫৯:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

 

পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের প্রধানপাড়া গ্রামে সাংবাদিক মোখলেছুর রহমান চৌধুরীর বাড়িতে ভয়াবহ হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত ৩০ মে ২০২৫, শুক্রবার দুপুর ১১টার দিকে এ সন্ত্রাসী তাণ্ডব শুরু হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

প্রথমে সুপারি বাগান সংক্রান্ত এক লক্ষ টাকা পাওনা নিয়ে সন্ত্রাসী আমির হোসেন ও হাসিবুল ইসলাম সাংবাদিকের বাড়িতে গিয়ে উস্কানিমূলক আচরণ করে চলে যায়। পরে দুপুরে আরিফ হোসেন নামের এক দোকানদার তাদের সঙ্গে নিয়ে ফের এসে সাংবাদিকের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদে জড়ায় ও বাগান থেকে কিছু মোচা নিয়ে চলে যায়।

সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে জুমার নামাজের পর বিকাল ৩টার দিকে। অভিযোগ অনুযায়ী, বড়শশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমের নির্দেশে ও তার নেতৃত্বে, ৯ জন গ্রাম পুলিশ, ২০টির বেশি মোটরসাইকেল ও ১০টি অটোর বহর নিয়ে ৭০-৮০ জনের একদল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী সাংবাদিক মোখলেছুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালায়।

id

সাংবাদিক মোখলেছুর রহমান প্রাণ রক্ষার্থে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়, আলমারি ভেঙে তিন লক্ষ টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার, জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও পোশাক লুটে নেয় বলে অভিযোগ। সাংবাদিকের স্ত্রী ও দুটি শিশুসন্তানকেও মারধর করা হয়।

বোদা থানায় তাৎক্ষণিক অভিযোগ করা হলে, এসআই তপন বাবু তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান। এরপর জেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে ১৬টি অভিযোগ দাখিল করা হয়। ৩০ মে থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত অন্তত আটবার পুলিশ তদন্ত করেছে এবং অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে বলে জানা যায়।

এছাড়া ১৫ জুন মালকাডাঙ্গা বাজারে টিকটকার মিজানুর রহমান ও রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে সাংবাদিক মোখলেছুর রহমান ও রেলমন্ত্রীর ছবি সংযুক্ত করে মিথ্যা মানববন্ধনের চেষ্টা হলে, ৯৯৯-এ ফোনের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মানববন্ধনটি ছত্রভঙ্গ করে।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক অভিযোগ করেন, পুরো ঘটনাটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে চুক্তিভিত্তিক সুপারি বাগানের এক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এবং সাংবাদিকের সামাজিক মর্যাদা বিনষ্ট করা। তিনি প্রশাসনের নিকট দ্রুত আইনি পদক্ষেপ ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন