রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের শেরে বাংলার মাজারে না যাওয়া দুঃখজনক ………জাতীয় মানবাধিকার সমিতি

- Update Time : ০৬:৪২:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৪০ Time View
জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান ও শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা রাষ্ট্রের প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী আবুল কাশেম ফজলুল হক এর ৬৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে না যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার অনেক আগেই শেরে বাংলা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। মহান ভাষা আন্দোলন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য শেরে বাংলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বাঙালি ও বাঙালি মুসলমানদের শিক্ষা বিস্তারে তিনি যে ভূমিকা পালন করেছেন তা চিরভাস্বর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তিনি প্রতিষ্ঠা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। শ্রমিক কৃষকদের জন্য তার ঐতিহাসিক পদক্ষেপ এদেশের কৃষক শ্রমিক আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। বাংলাদেশের জাতীয় বীরদেরকে কোন কোন দলে নিজস্ব সম্পদ মনে করা কোনভাবেই সমাচীন হবে না। শেরে বাংলা, মওলানা ভাসানী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তারা জাতির সম্পদ। তাদেরকে কোন দলীয় সংকীর্ণতায় আবদ্ধ রেখে নতুন প্রজন্মকে ইতিহাসে মূল ধারা থেকে বিচ্যুত করা আমাদের উচিত হবে না। আমরা আশাকরেছিলাম ২৪’র গণঅভ্যূত্থানের মধ্যদিয়ে যে সরকার ক্ষমতায় এসেছেন সেই সরকার জনতার সরকার। তারা জনতার হৃদয়ের ভাষা বোঝে। যখন দেখলাম শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে বর্তমান সময়ে কোন বড় রাজনৈতিক দলের কেউ উপস্থিত হননি, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত হননি এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও কেউ উপস্থিত হননি সেটি সত্যিই জাতির জন্য রক্তক্ষরণ। ভবিষ্যতে এই ধারা থেকে বেরিয়ে এসে শেরে বাংলাকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, অবিলম্বে পদ্মাসেতুকে শেরে বাংলার নামে নামকরণ করতে হবে এবং শেরে বাংলার মাজারে শেরে বাংলার নামে একটি মিউজিয়াম করতে হবে।
২৭ এপ্রিল রবিবার সকালে শেরে বাংলার সমাধীতে শ্রদ্ধা ও সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের সভাপতি সেলিনা আক্তার, মহাসচিব আরকে রিপন, নির্বাহী সদস্য তানজিম মীম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেরে বাংলার দৈহিত্রী ফারহানাজ হক চৌধুরী রিপা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জাফরুল্লাহ চৌধুরী, শহীদ উদ্দিন ডাব্লিউ, সেলিম মিয়াসহ প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ শেরে বাংলার সমাধীতে ফাতেহা পাঠ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মাজারের সামনে সমাবেশে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
Good https://t.ly/tndaA
Awesome https://urlr.me/zH3wE5