০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

নাচোল সমাজ কল্যাণ ট্রাস্টের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

Reporter Name
  • Update Time : ০৪:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / ১৯৬ Time View



নাচোল প্রতিনিধি: বুধবার (১৯মার্চ) নাচোল সমাজ কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে বেগম মহসিন ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে উপজেলা জামায়াতের আমির প্রভাষক ইয়াকুব আলীর সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা আবুজার গিফারী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সহকারী সেক্রেটারি ইয়াহ্ইয়া খালেদ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। নাচোল সমাজ কল্যাণ

মাজার, দরগায় হামলা নেপথ্যের উদ্দেশ্য কি ?



অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর নাচোল উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর পৌর নায়েবে আমির ডাঃ রফিকুল ইসলাম। নাচোল উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।

 

২৪’র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত মাজার ও দরবারগুলোর সুরক্ষায় কোনো দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তারা শুধু মাত্র লিপ সার্ভিস দিয়েছে। এটা কোনোভাবেই কি জনগনের কাম্য হতে পারে ? সরকারের কাছে বিনিত প্রশ্ন ? কেন ও কারা এই সকল হামলার সাথে জড়িত ? আসলে তারা কি চায় ? তারা কি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে ? তারা কি ভিন্ন মতের ও ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ ও সমাজকে ধ্বংস করে বহু মত পথে এই রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করতে চাচ্ছে ? কেন এতগুলো মাজার ভাঙ্গার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ? কতগুলো মাজার ভাঙ্গলে সরকারের হুশ ফিরবে ? যেখানে দেখা যাচ্ছে আগাম ঘোষণা দিয়ে বুলডোজার নিয়ে মাজারে হামলা চালানো হচ্ছে, মাজারের কবর থেকে দেহাবশেষ তুলে নিয়ে যাচ্ছে, আগুন দিচ্ছে, আগতদের পেটাচ্ছে, হতাহত করছে, সেই সময় সরকারের দিক থেকে আপাত কেন নীরবতা পালন করছে ? সরকার কি তাহলে তাদের এই ধ্বংসজজ্ঞকে সমর্থন করছে ? এই নীরবতায় দেশের সাধারন ও শান্তিপ্রিয় মানুষ উদ্বিগ্ন। দেশের মানুষ অবিলম্বে মাজারে হামলার বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর হওয়ার ঘোষণার দৃশ্যমান বাস্তবায়ন দেখতে চায়।

০৪. নেত্রকোনায় গত বুধবার একটি মাজারে ওরস হওয়ার কথা ছিল। ৬৪ বছর ধরে ওরসটি হয়ে আসছে। রমজান মাসের কারণে ওরসের আয়োজনও সীমিত করে শুধু দোয়া–মাহফিলের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এরপরও স্থানীয় কথিত উগ্র গোষ্ঠীর মন গলেনি। হামলা চালিয়ে সবকিছু ভন্ডল করে দিয়েছে। দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলায় এক মাজারে যা ঘটে গেল, তা তাণ্ডব ছাড়া কিছুই নয়। পবিত্র রমজান শুরুর দুদিন আগে শত শত মানুষ ঢুকে মাজারটি ভাঙচুর করে আর কিছু অবশিষ্ট রাখেনি বললে চলে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে সত্যিই শঙ্কিত হতে হয়। মূল মাজারে আগুন ধরিয়ে দেওয়াসহ ওরসের জন্য আনা আসবাবপত্র, গরু–ছাগল সব লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও ২ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত বার্ষিক ওরস আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল মাজার কর্তৃপক্ষ। এ জন্য জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতিও নেওয়া হয়। সিরাতে মুস্তাকিম পরিষদের ব্যানারে মিছিল থেকে বের হয়ে উত্তেজিত জনতা মাজারটিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ঘোড়াঘাটের মাজারে হামলার ঘটনার দৃশ্য ফেসবুকে আলোড়ন তুলেছে। মাজারে আগুন দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ দাউ দাউ করে জ্বলছে মাজার, সেটি সামনে রেখে হামলাকারীরা নামাজ পড়ছেন। এ দৃশ্য দেখে অনেক ধর্মপ্রাণ মানুষও ক্ষোভ প্রকাশ ও সমালোচনা করেছেন। সবশেষ বরগুনায় রাতের আধারে ইসমাইল শাহর মাজারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটাটের দৃশ্য দেখে প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে কি চলতেই থাকবে? নাচোল সমাজ কল্যাণ

সোনালী শপ অনলাইন শপিং 

আমাদের এই সমাজে ধর্মীয়ভাবে নানা ধারা আছে, বিষয়টি নতুন নয়। ইসলামি গোষ্ঠীগুলো ওয়াজ–মাহফিলে একে ওপরের সমালোচনা করে, একেক ধর্মীয় সমাজ যার যার মতো করে মসজিদ–মাদ্রাসা তৈরি করে নিয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাচর্চার মধ্য দিয়ে একে–অপরকে ঘায়েল করা বা দমন করার চেষ্টা সেই অর্থে ছিল না। গত এক–দেড় দশকে ধীরে ধীরে সেটির প্রকাশ ঘটতে দেখেছি আমরা। আওয়ামী ফ্যাসীবাদী শক্তির পতনের পর এর ব্যাপকতা প্রকাশ পেল কেন ? ৫ আগস্টের পর মাজার ভাঙা শুরু হয়ে একপর্যায়ে থেমেও গিয়েছিল। পরে সেটি আবারও ‘জোশের’ সঙ্গে ‘চাঙা’ হচ্ছে।নাচোল সমাজ কল্যাণ

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

নাচোল সমাজ কল্যাণ ট্রাস্টের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৪:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫



নাচোল প্রতিনিধি: বুধবার (১৯মার্চ) নাচোল সমাজ কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে বেগম মহসিন ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে উপজেলা জামায়াতের আমির প্রভাষক ইয়াকুব আলীর সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা আবুজার গিফারী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সহকারী সেক্রেটারি ইয়াহ্ইয়া খালেদ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। নাচোল সমাজ কল্যাণ

মাজার, দরগায় হামলা নেপথ্যের উদ্দেশ্য কি ?



অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর নাচোল উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোবারক হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর পৌর নায়েবে আমির ডাঃ রফিকুল ইসলাম। নাচোল উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।

 

২৪’র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত মাজার ও দরবারগুলোর সুরক্ষায় কোনো দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। তারা শুধু মাত্র লিপ সার্ভিস দিয়েছে। এটা কোনোভাবেই কি জনগনের কাম্য হতে পারে ? সরকারের কাছে বিনিত প্রশ্ন ? কেন ও কারা এই সকল হামলার সাথে জড়িত ? আসলে তারা কি চায় ? তারা কি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে ? তারা কি ভিন্ন মতের ও ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ ও সমাজকে ধ্বংস করে বহু মত পথে এই রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করতে চাচ্ছে ? কেন এতগুলো মাজার ভাঙ্গার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ? কতগুলো মাজার ভাঙ্গলে সরকারের হুশ ফিরবে ? যেখানে দেখা যাচ্ছে আগাম ঘোষণা দিয়ে বুলডোজার নিয়ে মাজারে হামলা চালানো হচ্ছে, মাজারের কবর থেকে দেহাবশেষ তুলে নিয়ে যাচ্ছে, আগুন দিচ্ছে, আগতদের পেটাচ্ছে, হতাহত করছে, সেই সময় সরকারের দিক থেকে আপাত কেন নীরবতা পালন করছে ? সরকার কি তাহলে তাদের এই ধ্বংসজজ্ঞকে সমর্থন করছে ? এই নীরবতায় দেশের সাধারন ও শান্তিপ্রিয় মানুষ উদ্বিগ্ন। দেশের মানুষ অবিলম্বে মাজারে হামলার বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর হওয়ার ঘোষণার দৃশ্যমান বাস্তবায়ন দেখতে চায়।

০৪. নেত্রকোনায় গত বুধবার একটি মাজারে ওরস হওয়ার কথা ছিল। ৬৪ বছর ধরে ওরসটি হয়ে আসছে। রমজান মাসের কারণে ওরসের আয়োজনও সীমিত করে শুধু দোয়া–মাহফিলের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এরপরও স্থানীয় কথিত উগ্র গোষ্ঠীর মন গলেনি। হামলা চালিয়ে সবকিছু ভন্ডল করে দিয়েছে। দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলায় এক মাজারে যা ঘটে গেল, তা তাণ্ডব ছাড়া কিছুই নয়। পবিত্র রমজান শুরুর দুদিন আগে শত শত মানুষ ঢুকে মাজারটি ভাঙচুর করে আর কিছু অবশিষ্ট রাখেনি বললে চলে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে সত্যিই শঙ্কিত হতে হয়। মূল মাজারে আগুন ধরিয়ে দেওয়াসহ ওরসের জন্য আনা আসবাবপত্র, গরু–ছাগল সব লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও ২ থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত বার্ষিক ওরস আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল মাজার কর্তৃপক্ষ। এ জন্য জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতিও নেওয়া হয়। সিরাতে মুস্তাকিম পরিষদের ব্যানারে মিছিল থেকে বের হয়ে উত্তেজিত জনতা মাজারটিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ঘোড়াঘাটের মাজারে হামলার ঘটনার দৃশ্য ফেসবুকে আলোড়ন তুলেছে। মাজারে আগুন দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ দাউ দাউ করে জ্বলছে মাজার, সেটি সামনে রেখে হামলাকারীরা নামাজ পড়ছেন। এ দৃশ্য দেখে অনেক ধর্মপ্রাণ মানুষও ক্ষোভ প্রকাশ ও সমালোচনা করেছেন। সবশেষ বরগুনায় রাতের আধারে ইসমাইল শাহর মাজারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটাটের দৃশ্য দেখে প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে কি চলতেই থাকবে? নাচোল সমাজ কল্যাণ

সোনালী শপ অনলাইন শপিং 

আমাদের এই সমাজে ধর্মীয়ভাবে নানা ধারা আছে, বিষয়টি নতুন নয়। ইসলামি গোষ্ঠীগুলো ওয়াজ–মাহফিলে একে ওপরের সমালোচনা করে, একেক ধর্মীয় সমাজ যার যার মতো করে মসজিদ–মাদ্রাসা তৈরি করে নিয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাচর্চার মধ্য দিয়ে একে–অপরকে ঘায়েল করা বা দমন করার চেষ্টা সেই অর্থে ছিল না। গত এক–দেড় দশকে ধীরে ধীরে সেটির প্রকাশ ঘটতে দেখেছি আমরা। আওয়ামী ফ্যাসীবাদী শক্তির পতনের পর এর ব্যাপকতা প্রকাশ পেল কেন ? ৫ আগস্টের পর মাজার ভাঙা শুরু হয়ে একপর্যায়ে থেমেও গিয়েছিল। পরে সেটি আবারও ‘জোশের’ সঙ্গে ‘চাঙা’ হচ্ছে।নাচোল সমাজ কল্যাণ