০২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক দুই বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি

Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৪৬ Time View

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী দুই যুবক হত্যার প্রতিবাদে ড. কেরামত আলীর প্রতিবাদ বিবৃতি দিয়েছেন ।

গত ৩০ নভেম্বর দিবাগত রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে দুইজন বাংলাদেশি যুবককে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ হত্যা করে তাদের লাশ পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। যুবকদের মধ্যে একজন দুর্লভপুর ইউনিয়নের চর হাসানপুর গাইপাড়া গ্রামের আমিরুলের ছেলে আব্দুল মমিন( ২৯) এবং অন্যজন হলো পাকা ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে ইব্রাহিম রিংকু (৩৮)। এই ঘটনা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন আঘাত এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের জঘন্য উদাহরণ।

এই হত্যাকাণ্ড কেবল দুইজন বাংলাদেশির প্রাণহানি নয়, বরং বাংলাদেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আক্রমণ। আমরা এই মানবতাবিরোধী অপরাধের তীব্র নিন্দা জানাই এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এর বিচার দাবি করছি।

 

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী লঙ্ঘনসমূহ:

 

– জাতিসংঘ সনদ (আর্টিকেল ২(৪)): কোনো রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতা বা রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করতে পারবে না। বিএসএফের এই কর্মকাণ্ড স্পষ্টতই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।

 

 আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি (ICCPR, আর্টিকেল ৬): প্রত্যেক মানুষের জীবন রক্ষার অধিকার রয়েছে। সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যা এই মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

 

– রোম স্ট্যাটিউট (ICC, আর্টিকেল ৭): পরিকল্পিতভাবে বেসামরিক নাগরিক হত্যা মানবতাবিরোধী অপরাধের অন্তর্ভুক্ত।

 

– সীমান্ত আইন ও প্রটোকল: সীমান্তে আইন প্রয়োগে সংযম প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার আন্তর্জাতিক নীতিমালার পরিপন্থী।

 

তাই শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে আমি অত্যন্ত জোর দাবি জানাচ্ছি যে অবশ্যই এই হত্যাকান্ডের জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মাধ্যমে তদন্ত করতে হবে। এবং বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে কূটনৈতিকভাবে কঠোর প্রতিবাদ জানাতে হবে। এই হত্যাকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে আধিপত্যবাদ বিরোধী জনমত গড়ে তুলে সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

 

আমি, ড. কেরামত আলী, শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করছি— বাংলাদেশের মানুষ কোনোভাবেই আধিপত্যবাদী আগ্রাসন মেনে নেবে না। এই হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন ও মানবতার নীতির আলোকে বিচারযোগ্য অপরাধ। আমরা দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছি, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

 

— ড. কেরামত আলী

সাবেক চেয়ারম্যান, শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ

শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

শিবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক দুই বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি

Update Time : ০৮:৫৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী দুই যুবক হত্যার প্রতিবাদে ড. কেরামত আলীর প্রতিবাদ বিবৃতি দিয়েছেন ।

গত ৩০ নভেম্বর দিবাগত রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে দুইজন বাংলাদেশি যুবককে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ হত্যা করে তাদের লাশ পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। যুবকদের মধ্যে একজন দুর্লভপুর ইউনিয়নের চর হাসানপুর গাইপাড়া গ্রামের আমিরুলের ছেলে আব্দুল মমিন( ২৯) এবং অন্যজন হলো পাকা ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে ইব্রাহিম রিংকু (৩৮)। এই ঘটনা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন আঘাত এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের জঘন্য উদাহরণ।

এই হত্যাকাণ্ড কেবল দুইজন বাংলাদেশির প্রাণহানি নয়, বরং বাংলাদেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আক্রমণ। আমরা এই মানবতাবিরোধী অপরাধের তীব্র নিন্দা জানাই এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এর বিচার দাবি করছি।

 

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী লঙ্ঘনসমূহ:

 

– জাতিসংঘ সনদ (আর্টিকেল ২(৪)): কোনো রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতা বা রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করতে পারবে না। বিএসএফের এই কর্মকাণ্ড স্পষ্টতই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।

 

 আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি (ICCPR, আর্টিকেল ৬): প্রত্যেক মানুষের জীবন রক্ষার অধিকার রয়েছে। সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যা এই মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

 

– রোম স্ট্যাটিউট (ICC, আর্টিকেল ৭): পরিকল্পিতভাবে বেসামরিক নাগরিক হত্যা মানবতাবিরোধী অপরাধের অন্তর্ভুক্ত।

 

– সীমান্ত আইন ও প্রটোকল: সীমান্তে আইন প্রয়োগে সংযম প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার আন্তর্জাতিক নীতিমালার পরিপন্থী।

 

তাই শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে আমি অত্যন্ত জোর দাবি জানাচ্ছি যে অবশ্যই এই হত্যাকান্ডের জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মাধ্যমে তদন্ত করতে হবে। এবং বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে কূটনৈতিকভাবে কঠোর প্রতিবাদ জানাতে হবে। এই হত্যাকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে আধিপত্যবাদ বিরোধী জনমত গড়ে তুলে সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

 

আমি, ড. কেরামত আলী, শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করছি— বাংলাদেশের মানুষ কোনোভাবেই আধিপত্যবাদী আগ্রাসন মেনে নেবে না। এই হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইন ও মানবতার নীতির আলোকে বিচারযোগ্য অপরাধ। আমরা দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছি, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

 

— ড. কেরামত আলী

সাবেক চেয়ারম্যান, শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ

শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।