দামকুড়ায় ডিবির অভিযানে ১০ বোতল বেরিকফসহ মাদককারবারি আমির চাঁদ গ্রেপ্তার
- Update Time : ০৪:৫৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ৭৬ Time View

স্টাফ রিপোর্টার: মো: আতিকুর রহমান
রাজশাহীর দামকুড়া থানার সোনাইকান্দি পূর্বপাড়া এলাকায় কোডিনযুক্ত নেশাজাতীয় বেরিকফের বড় চালানসহ এক মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম আমির চাঁদ (৩৩)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে। রাজশাহী নগরীর ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাইকান্দি পূর্বপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে ডিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আমির চাঁদ পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া করে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পরে তার হাতে থাকা ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে কোডিন ফসফেট ও ট্রিপ্রোলিডিন হাইড্রোক্লোরাইডযুক্ত ১০ বোতল নেশাজাতীয় বেরিকফ উদ্ধার করা হয়। ডিবি পুলিশ জানায়, উদ্ধার করা এই ওষুধজাত তরল নেশার প্রভাবে এলাকায় তরুণরা দ্রুত আসক্ত হয়ে পড়ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলছে।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমির চাঁদ স্বীকার করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, তিনি এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত মাদক সরবরাহ করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগর এলাকার একাধিক থানায় বিভিন্ন মামলা আগেই দায়ের রয়েছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া ডিবি পুলিশের সদস্যরা বলেন, সোনাইকান্দি পূর্বপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে ডিবির টিম নিয়মিতভাবে নজরদারি চালাচ্ছে। আটক আমির চাঁদ মাদককারবারিদের একটি সক্রিয় নেটওয়ার্কের সদস্য হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তে আরও অনেক তথ্য উদ্ঘাটনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং গ্রেপ্তার হওয়া আসামির বিরুদ্ধে দামকুড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় সম্প্রতি মাদক সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। ডিবির এই অভিযানকে তারা স্বাগত জানিয়ে আরও নিয়মিত অভিযান চালানোর অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে তরুণ সমাজকে নেশার ছোবল থেকে রক্ষা করা যায়।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, মাদকবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হবে এবং আমির চাঁদের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের ভিত্তিতে নেটওয়ার্কের অন্যান্য সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

























