০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

গোদাগাড়ীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সেলিম রেজার বিরুদ্ধে দালালি, চাঁদাবাজি ও অপরাধচক্র পরিচালনার অভিযোগে উদ্বেগ; কঠোর আইনি ব্যবস্থার দাবি এলাকাবাসীর

Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫৭:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩১৩ Time View


স্টাফ রিপোর্টার: মোঃ আতিকুর রহমান
রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত মৃত একরাম আলীর ছেলে মোঃ সেলিম রেজার বিরুদ্ধে দালালি, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এলাকায় চরম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক পরিচয়কে ব্যবহার করে তিনি এলাকার সাধারণ মানুষের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের দাবি, সেলিম রেজা একসময় গোদাগাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মোঃ রশিদ (কালু ড্রাইভার)–এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। এই ঘনিষ্ঠতার সুযোগে তিনি এলাকায় ক্ষমতার বলয় তৈরি করে বহু মানুষকে হয়রানি করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে—
জনসাধারণের কাছ থেকে চাঁদা দাবি,
জমি–বাড়ি সংক্রান্ত দালালি,
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হুমকি–ধমকি,
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকদের উপর মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন,
সাধারণ বিরোধ মিটমাটের নামে অবৈধ টাকা লেনদেন
এসব কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরেই জড়িত ছিলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মোঃ সেলিম রেজাকে অন্তত দুইবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছিল।
তবে স্থানীয়দের দাবি—
“অবাক করার মতো বিষয় হলো, এত গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি খুব দ্রুত আবার জামিনে বের হয়ে আসেন।”
এই দ্রুত মুক্তি এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ বাড়িয়ে তুলেছে।
জামিনে মুক্তির পরও সেলিম রেজার তৎপরতা থামেনি বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের ভাষ্যে—
তিনি নিয়মিত রাতের বেলা মিটিং করছেন,
এলাকায় ঘোরাঘুরি করছেন দলীয় পরিচয়ে,
বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন,
এবং আগের মতোই প্রভাব দেখানোর চেষ্টা করছেন।
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ আবারও ভয়ে অস্থির হয়ে পড়ছে।
অনেক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, সেলিম রেজা বারবার আটক হওয়ার পরও বেরিয়ে এসে আগের মতো ক্ষমতা দেখিয়ে বেড়ানোয় তারা নিরাপদ বোধ করছেন না।
তাদের দাবি—
“আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, সেলিম রেজার বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তার সম্পূর্ণ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তদন্ত করে গ্রেপ্তার করে আইনি প্রক্রিয়ায় আনা হোক।”
তারা আরও বলেন, এখনো যদি প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পুনরায় এলাকায় সংঘর্ষ, দখলবাজি ও চাঁদাবাজির ঘটনা বাড়তে পারে।
এ ঘটনায় জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

গোদাগাড়ীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সেলিম রেজার বিরুদ্ধে দালালি, চাঁদাবাজি ও অপরাধচক্র পরিচালনার অভিযোগে উদ্বেগ; কঠোর আইনি ব্যবস্থার দাবি এলাকাবাসীর

Update Time : ০২:৫৭:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫


স্টাফ রিপোর্টার: মোঃ আতিকুর রহমান
রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত মৃত একরাম আলীর ছেলে মোঃ সেলিম রেজার বিরুদ্ধে দালালি, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এলাকায় চরম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক পরিচয়কে ব্যবহার করে তিনি এলাকার সাধারণ মানুষের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের দাবি, সেলিম রেজা একসময় গোদাগাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি মোঃ রশিদ (কালু ড্রাইভার)–এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। এই ঘনিষ্ঠতার সুযোগে তিনি এলাকায় ক্ষমতার বলয় তৈরি করে বহু মানুষকে হয়রানি করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে—
জনসাধারণের কাছ থেকে চাঁদা দাবি,
জমি–বাড়ি সংক্রান্ত দালালি,
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হুমকি–ধমকি,
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকদের উপর মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন,
সাধারণ বিরোধ মিটমাটের নামে অবৈধ টাকা লেনদেন
এসব কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরেই জড়িত ছিলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মোঃ সেলিম রেজাকে অন্তত দুইবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছিল।
তবে স্থানীয়দের দাবি—
“অবাক করার মতো বিষয় হলো, এত গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি খুব দ্রুত আবার জামিনে বের হয়ে আসেন।”
এই দ্রুত মুক্তি এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ বাড়িয়ে তুলেছে।
জামিনে মুক্তির পরও সেলিম রেজার তৎপরতা থামেনি বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের ভাষ্যে—
তিনি নিয়মিত রাতের বেলা মিটিং করছেন,
এলাকায় ঘোরাঘুরি করছেন দলীয় পরিচয়ে,
বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন,
এবং আগের মতোই প্রভাব দেখানোর চেষ্টা করছেন।
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ আবারও ভয়ে অস্থির হয়ে পড়ছে।
অনেক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, সেলিম রেজা বারবার আটক হওয়ার পরও বেরিয়ে এসে আগের মতো ক্ষমতা দেখিয়ে বেড়ানোয় তারা নিরাপদ বোধ করছেন না।
তাদের দাবি—
“আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, সেলিম রেজার বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তার সম্পূর্ণ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তদন্ত করে গ্রেপ্তার করে আইনি প্রক্রিয়ায় আনা হোক।”
তারা আরও বলেন, এখনো যদি প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পুনরায় এলাকায় সংঘর্ষ, দখলবাজি ও চাঁদাবাজির ঘটনা বাড়তে পারে।
এ ঘটনায় জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।