“ সংশোধনের বিকল্প নেই ” ——- মোশারফ হোসেন
- Update Time : ০২:৩৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
- / ২২৩ Time View

দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে, নিজকে সংশোধন করা। সহজ কাজ হচ্ছে অন্যের
সমালোচনা করা। দক্ষিন আফ্রিকার কালোদের অধিকার আদায়ের জননেতা নেলসন ম্যান্ডেলার বাণী।
পৃথিবীর জন্য মানুষ আল্লাহ পয়দা করেছেন। আদম হাওয়ার লোভে বেহেশত ছেড়ে আমরা আজ
পৃথিবীতে বসবাস করছি। পৃথিবীতে মানুষ সুন্দর জিবন যাপন ও সঠিক পথে চলার জন্য যুগে
যুগে আল্লাহ নবী রাসুল পাঠিয়েছেন। আমরা আজ আধুনিকতার মাঝে নতুন সমাজ ব্যবস্থা
চালু করে চলছি আখেরাতের পথে। আমাদের আচরনে মাঝে মাঝে বুকের ভিতর ভীষন কষ্ট লাগে। মনের
ভিতরে বাসা বাঁধে দুঃখের কালো মেঘ। বিষন্নতা গ্রাস করে মনের আত্মাকে। পৃথিবীর সমাজ
ব্যবস্থা ও দাম্ভিকতায় জগৎ সংসার বিষাক্ত লাগে। আমাদের একটা বৈশিষ্ঠ হল, আমরা নিজকে
সর্বদা নির্ভূলতায় দেখতে বেশী পছন্দ করি। জিবনের ভালো মন্দ বোঝার ব্যাপারে আমিই যথেষ্ট।
কিন্তু আমরা ভ’লে গেছি আমাদের পথ প্রর্দশকের বার্তা। আমরা চাই সুখ। তাহলে সুখ কি ?
সুখকে সঙ্গায়িত করার জন্য মানুষ যুগ যুগ ধরে আশ্রয় নিয়েছে দর্শনের আবার বিজ্ঞানের।
ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের হাজারীবাগ আধুনিক জবাইখানা শত শত কোটি টাকা
উন্নয়নের নামে ধ্বংস করেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারে বসে থাকা দায়িত্ববান লোকেরা। এ দায়ভার
কার ? (সূত্র লামিনাল ফিহা. ফলো)। আমরা বস্তুবাদেও বিলাসিতাকে মনে করছি সুখের
অন্তর্নিহিত রহস্য। আবার আমাদের অনেকেই ¯্রষ্টার মাঝে নিজকে সঁপে দিয়ে খুজে নেয়
নিজের সুখ। তবু প্রশ্ন থেকে যায় সুখ আসলে কী ? সুখকে খোঁজে ধরতে হলে অন্তরে সৃষ্টি
হয় লোভ। লোভ একটি অসুস্থ ব্যাধির প্রতিযোগিতা, এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গেলে মানুষের
নৈতিকতাকে পঙ্গু করে দেয়। মানুষ লোভ আর লালসার মধ্যে ডুবে গেলে ভালো মন্দের হিসাব করা তার
পক্ষে সহজ হয় না। অটোরিকসায় বাসায় ফেরার পথে এম,এ পাশ চালক বলল অসুস্থ মা ও ছোট
দুইটি ভাই বোন নিয়ে আমি খুব কষ্টে আছি। পাওয়ার লোমে চাকুরীর টাকা দিয়ে সংসার চলে
না, সন্ধ্যা হলে অটো নিয়ে বের হই। সরকারী চাকুরীতে আবেদন করেছিলাম টাকার জন্য চাকুরী
পেলাম না। কথাগুলো শেষ হতে না হতে সে বলল কাকা দ্রব্য মূল্যের বাজার বাড়তির কারনে আমাদের ক্রয়
ক্ষমতা নেই। যাদের টাকা পয়সা আছে তারাই একটু ভাল ভোগ বিলাস করতে পারবে। কথাগুলো শুধু
শুনলাম উত্তর দিতে পারলাম না। এত দুঃখের মাঝে আমি সুখের তরী কিভাবে চালাই। তবে এ টুকু
বলতে পারি মৃত্যু নামের শব্দটি যতই ভ’লে থাকি না কেন আসলে মৃত্যুর চেয়ে সত্য আমাদের
জিবনে আর কিছুই নেই। দুনিয়ার কঠিন বাস্তবতা হলো এই একদিন আমার মৃত্যু হবে। মৃত্যুর
আগে আমার অতীত জিবনের প্রতিটি মহুর্তের কথা চিন্তা ভাবনা করে তাওবার মাধ্যমে পরম
করুনাময়ের নিকট থেকে ভ’ল ত্রæটি সংশোধন করে নিতে হবে। নশ^র পৃথিবী থেকে আমার পাড়ি
জমাতে হবে অনন্ত জিবনের পথে। আসছি মূল কথায়। বর্তমানে প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও
জবাবাদিহিতা থাকতে হবে। সরকারী কর্মচারীদেরকে ঘুষ বানিজ্য থেকে ফিরাতে হলে তাদের
বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকারের কাছে দাখিলা পেশ করতে
হবে। নাগরিক অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। দলিল লেখক এ দেশে একটি
পেশাজীবি সংগঠন। দলিল লেখকরা সরকারের রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ভ’মিকা পালন করে আসছে।
কিন্তু সরকারীভাবে তাদেরকে কোন প্রকার সহায়তা দিচ্ছে না। তাদেরকে বেঁচে থাকার সুযোগ
দিতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদি করোনায় অনেক দলিল লেখক অভাবের তাড়নায় অর্থাভাবে বিনা
চিকিৎসায় বিভিন্ন রোগ শোকে পৃথিবী থেকে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। সরকারকে
প্রত্যেক দিন কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় দিয়েছে কিন্তু তারা কোন প্রণোদনা
পায়নি। দললি লখেকরা কনে বষৈম্যরে স্বীকার ? দক্ষিন আফ্রিকায় গান্ধিজী ভারতীয়দের অধিকার
আদায়ের জন্য অহিংস সংগ্রাম করেছেন। নেলসন ম্যান্ডেলা কালোদের অধিকার প্রতিষ্ঠার
আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে কিংবদন্তীতে পরিনত হন। বষৈম্যবরিোধী আন্দোলনে এ দশেরে ছাত্র
জনতা ও রাজনীতবিধিদরে আন্দোলন লড়াইয়ে বাঙ্গালী জাতিকে বষৈম্যরে গøানী থেকে মুক্ত
করছেনে। “দেশ থেকে সর্বপ্রকার অন্যায়, অবিচার ও শোষন উচ্ছেদ করার জন্য জাতি আজ
ঐক্যবদ্ধ। আমরা র্বতমানকে বুকে ধারন করে আমরা দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দৃঢ়
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
——- লেখক: মোশারফ হোসেন























