০১:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের প্রত্যয়ে উত্তাল পালপাড়া, নোয়াখালী-১ এ ধানের শীষের গণজোয়ার

Reporter Name
  • Update Time : ০৯:০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৯৭ Time View
মোহাম্মদ হানিফ, নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালী-১ (চাটখিল–সোনাইমুড়ী) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) এক নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। সোনাইমুড়ীর দেওটি ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে বিকাল ৫টার দিকে আয়োজিত বৃহৎ জনসভাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়। স্থানীয় নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের উপচে পড়া উপস্থিতিতে পুরো অঞ্চলটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা এবং ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা স্পষ্ট করে তুলেছে।
 ‘জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্রের সংকট নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন। পালপাড়ার এই ঢল দেখাচ্ছে ক্ষমতার উৎস জনগণ। মানুষ ভোটাধিকার চায়, ন্যায়ভিত্তিক শাসন চায়।
ব্যারিস্টার খোকন জোর দিয়ে বলেন, ধানের শীষ প্রতীককে তিনি শুধু একটি রাজনৈতিক পরিচয় হিসেবে দেখেন না, বরং এটিকে শোষিত-বঞ্চিত মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে দেখেন। তিনি উপস্থিত জনতার প্রতি নোয়াখালী–১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য বিনীত আহ্বান জানান। তাঁর মতে, ঐক্যবদ্ধ এই জনতা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই একটি ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
 ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই প্রধান কাজ
জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো এবং সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদ। তাঁরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তি দেশের সব সংকটে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও জনগণের পাশে থাকবে।
জেলা আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো দাবি করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। ধানের শীষকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে সেই অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
অন্যদিকে, সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদ বলেন, সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে আপনারা আজ যে জনসমাগম করেছেন, তা আমাদের আন্দোলনের পাথেয়। ধানের শীষের বিজয়ের মাধ্যমেই এ অঞ্চলের মানুষের মুক্তির পথ আরও সুদৃঢ় হবে।
জনসভায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তার উন্নয়ন পরিকল্পনা বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি পালপাড়া ও সোনাইমুড়ীর দীর্ঘদিনের অবকাঠামোগত দুরবস্থা এবং মৌলিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে বলেন, নির্বাচিত হলে দ্রুত কার্যক্রম হাতে নিয়ে এসব সমস্যার সমাধান করা হবে।তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, উন্নয়ন ও মানুষের সেবাই আমার প্রতিশ্রুতি। জনগণের আস্থা পেলে পালপাড়া ও পুরো সোনাইমুড়ীকে একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধ অঞ্চলে রূপান্তর করা হবে। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে আমি আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করব।
অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে এ্যাডভোকেট এ বি এম জাকারিয়া, দিদার হোসেন, কুতুব উদ্দিন শামীম, এ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ ও মাসুমের রহমানসহ অনেকে নির্বাচনী মাঠে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। স্থানীয় নেতা দেলোয়ার হোসেন (পিটু)-সহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার আশ্বাস দেন।
আয়োজকরা মনে করছেন, এই বিশাল জনসমাগম নির্বাচনী মাঠে সংগঠনের জন্য বাড়তি গতি সঞ্চার করবে এবং তৃণমূল পর্যায়ে ভোটারের সঙ্গে যোগাযোগে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্ট এই উদ্দীপনা আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে একটি ব্যাপক গণজোয়ার তৈরির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের প্রত্যয়ে উত্তাল পালপাড়া, নোয়াখালী-১ এ ধানের শীষের গণজোয়ার

Update Time : ০৯:০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫
মোহাম্মদ হানিফ, নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালী-১ (চাটখিল–সোনাইমুড়ী) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) এক নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। সোনাইমুড়ীর দেওটি ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে বিকাল ৫টার দিকে আয়োজিত বৃহৎ জনসভাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়। স্থানীয় নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের উপচে পড়া উপস্থিতিতে পুরো অঞ্চলটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা এবং ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা স্পষ্ট করে তুলেছে।
 ‘জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্রের সংকট নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন। পালপাড়ার এই ঢল দেখাচ্ছে ক্ষমতার উৎস জনগণ। মানুষ ভোটাধিকার চায়, ন্যায়ভিত্তিক শাসন চায়।
ব্যারিস্টার খোকন জোর দিয়ে বলেন, ধানের শীষ প্রতীককে তিনি শুধু একটি রাজনৈতিক পরিচয় হিসেবে দেখেন না, বরং এটিকে শোষিত-বঞ্চিত মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে দেখেন। তিনি উপস্থিত জনতার প্রতি নোয়াখালী–১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য বিনীত আহ্বান জানান। তাঁর মতে, ঐক্যবদ্ধ এই জনতা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই একটি ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
 ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই প্রধান কাজ
জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো এবং সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদ। তাঁরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তি দেশের সব সংকটে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও জনগণের পাশে থাকবে।
জেলা আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো দাবি করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। ধানের শীষকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে সেই অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
অন্যদিকে, সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদ বলেন, সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে আপনারা আজ যে জনসমাগম করেছেন, তা আমাদের আন্দোলনের পাথেয়। ধানের শীষের বিজয়ের মাধ্যমেই এ অঞ্চলের মানুষের মুক্তির পথ আরও সুদৃঢ় হবে।
জনসভায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তার উন্নয়ন পরিকল্পনা বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি পালপাড়া ও সোনাইমুড়ীর দীর্ঘদিনের অবকাঠামোগত দুরবস্থা এবং মৌলিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে বলেন, নির্বাচিত হলে দ্রুত কার্যক্রম হাতে নিয়ে এসব সমস্যার সমাধান করা হবে।তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, উন্নয়ন ও মানুষের সেবাই আমার প্রতিশ্রুতি। জনগণের আস্থা পেলে পালপাড়া ও পুরো সোনাইমুড়ীকে একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধ অঞ্চলে রূপান্তর করা হবে। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে আমি আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করব।
অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে এ্যাডভোকেট এ বি এম জাকারিয়া, দিদার হোসেন, কুতুব উদ্দিন শামীম, এ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ ও মাসুমের রহমানসহ অনেকে নির্বাচনী মাঠে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। স্থানীয় নেতা দেলোয়ার হোসেন (পিটু)-সহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার আশ্বাস দেন।
আয়োজকরা মনে করছেন, এই বিশাল জনসমাগম নির্বাচনী মাঠে সংগঠনের জন্য বাড়তি গতি সঞ্চার করবে এবং তৃণমূল পর্যায়ে ভোটারের সঙ্গে যোগাযোগে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্ট এই উদ্দীপনা আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে একটি ব্যাপক গণজোয়ার তৈরির ইঙ্গিত দিচ্ছে।