১০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

জিন্নাগড়ের আলমগীর খনকারের অপচিকিৎসায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ

মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি,
  • Update Time : ০৪:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৮১ Time View
মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক সরকার, ভোলা :ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার জিন্নাগর ইউনিয়নের চার নং ইউ:পি: ওয়ার্ডের আলমগীর খনকারের অপচিকিৎসা, কু-চিকিৎসা, অসভ্য চিকিৎসা ও খারাপ চিকিৎসার প্লাবনে এলাকাবাসীদের সু-চিকিৎসা প্রাপ্তি অনিশ্চয়তার কবলে পড়েছে। মসজিদের হুজুরা কোনায় ইমাম-মোয়াজ্জেমের কুঠুরিতে প্রবাসীর রং ফর্সা রমনী নিয়েও চলে তার গোপন চিকিৎসা খনকারী। স্বামী বিরাগী স্ত্রী ও স্ত্রী বিরাগী স্বামীদের মধ্যে মিলমিশ করার নামে বহু রমনীর সাথে তার অবৈধ মেলামেশার চুক্তিতে স্বামী-স্ত্রীর মিলমিশ করানোর দাবীও তার অনেক। বিবাহ ঘটানোর জন্য ছেলেদেরকে পাগল করে মেয়ের বাড়িতে নিয়ে আসতে তার নাকি তিনদিনের কেরামতি। তার তাবিজে নাকি— যে কোন আমেরিকান নাগরীক বাংলাদেশের কোন কন্যার প্রেমে পাগল হয়ে উল্কার মত ছুটে আসবে বাংলাদেশ। তার খনকারী কেরামতিতে কলাগাছের মূলের নীচের দিকে সাড়ে তিন হাত লম্বা কলার ছড়া গজায়। ঝগড়া-বিবাদ তৈরি করে বিবাদীয় পক্ষদেরকে হাতিয়ে নিয়ে ব্ল্যাক মেজিক বা কালো জাদু দিয়ে কোন মুরুক্ষ  পক্ষকে বশীকরন তাবিজও নাকি সে দিতে পারে। মামলা-মক্দ্দমায় জেতার জন্য তার দেওয়া তাবিজে আদালতের হাকিমকে (বিচারককে) নাকি সে পাল্টে দিয়ে থাকে। নির্বাচনে জেতার জন্য তার থেকে তাবিজ নিলেই নাকি প্রশাসন তাবিজওয়ালার পক্ষ নিয়ে জিতিয়ে দেয়। সে আরো দাবী করে যে, খেলাধূলায় আন্দুরি পড়া দিলে তার খনকারী গুন পাওয়া ফুটবল খেলোয়ারগণ মুখার বান্দার ধান খেতেই মেসি, পেলে, চেলসি, নেইমার, রোনালদিনহো, দি আ্যাগো মেরাডোনা সহ আরো বিখ্যাত তারকা খেলোয়ার হয়ে ওঠে। তার তাবিজের নাকি এতই গুন যে, সে চাইলেই বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ চতূর্থ আসমান থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতার মসনদে নেমে পড়বে। গভীর রাতে কারো বাড়ি-ঘরে চুরি-ডাকাতি করার জন্য তার দেওয়া ঘুম চালায় কিনা বাড়ি সবাই নিথর ঘুমে মগ্ন হয়ে যায়। চর দখলের মারামারিতে তার থেকে তাবিজ নিলে লাঠিয়াল সর্দার তার প্রতিপক্ষকে নাকি পিঁপড়ার মত দেখবে। তার কাছে গিয়ে কোন রমনী দুই রাতে দুই গ্লাস পানি খেলেই পেটের যেকোন ব্যাথা ভালো হয়ে যায়। আলমগীর খনকারের তাবিজে বিয়েবন্ধ্যা তরুনীর বিয়ে কিনা তিন দিনেই সম্পন্ন হয়। স্বামী স্ত্রীর প্রতি মুখ ভার করে নাইক্ষ্যং ছড়িতে গিয়ে তিন বছর পর প্রথম স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে আরেকটি বিয়ে করলেও আলমগীর খনকারের তাবিজে স্বামী চলে আসে বীর্যের গতিতে। হাঁস-মুরগী চুরি করতে যাওয়ার আগে তার দেওয়া তাবিজ সাথে রাখলে হাঁস-মুরগীর খোপসহ নিয়ে আসলেও গৃহের লোক টের পাবেনা— দাবী আলমগীর খনকারের। ব্যবসা-বানিজ্যে তার তাবিজ ব্যবহারে জ্বীনেরাও তার দোকানের কাষ্টমার হবে। ভূত-পেরতের চিকিৎসায় তার হাতে কেউ কেউ মারা যাওয়ার খবর রটলেও রোগী হাতিয়ে নিয়ে অপচিকিৎসা দেওয়ার ইত্যাদি আজগুবি গল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে জিন্নাগড়ের ঐ আজগুবি আলমগীর খনকার।
 ঢালচর থেকে তার নিকট চিকিৎসা নিতে আসা ময়ফুল বলেছে আলমগীর খনকারের চিকিৎসা নিয়ে তার স্বামী যেই লুজ ছিল সেই লুজই আছে। এওয়াজপুরের তহুরা পরিচয় দেওয়া এক মহিলা বলেছে পৌরসভায় চাকরি নেওয়া মহিদ্দিনের কথায় তার স্বামী নুরুল হককে আলমগীর খনকারের কাছে চিকিৎসা করাতে নিয়ে প্রসাব-পায়খানা বন্ধ হয়ে গেছে আর এখন নুরুল হক কবরে। ফজলু নামের সত্তর বছর বয়সী এক লোকের জবানবন্দীতে এসেছে যে, তার ভাই আবু কালামকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চর কচ্ছপিয়ার গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল খাওয়ার পর আলমগীর খনকারের কাছে চিকিৎসা করানোর কথা “ঢাকা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল” জানার পর আবু কালামকে হাসপাতালের নাম কেটে বের করে দিয়েছে—। আবুকালামের চিকিৎসা করার বিধান নাকি বর্তমানের চিকিৎসা বিজ্ঞানের আইনে নাই। বহু পঙ্গু লোকের চিকিৎসা করানোর দাবী করে আলমগীর খনকার বহু মানুষকে ফাটকি দিয়ে বহু মানুষের বহু টাকা-পয়সা, গহনা-ঘাটি হাতিয়ে নিয়েছে। এদিকে আলমগীর খনকারের চিকিৎসা দেওয়ার সরকারী কোন অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিনা—  জেলা সিভিল সার্জনের কাছে আলমগীর খনকারে চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাইলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, খুব দ্রুতই আলমগীর খনকার নামক অপচিকিৎসকে আইনের আওতায় আনা হবে। চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি বলেন কয়েক জন অপচিকিৎসকের বিরুদ্ধে সরকারের নজরদারী রয়েছে। তবে আলমগীর খনকার কোন জন তা এখনো চরফ্যাসন উপজেলা প্রশাসন জানে না। এদিকে আলমগীর খনকারের কু-চিকিৎসা ও কু-কীর্তির কারনে তার উপর ফাফিয়ে ও ফুঁসিয়ে থাকা জনগোষ্ঠির স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে যে, খনকারের যাদু টোনা, বান টোনা, শরীর নষ্ট করার রাম কুন্ডলী, শরীর নষ্ট করার শক্তিশালী তাবিজ ইত্যাদির ভয়ে কেউই খনকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না। তবে সবাই তার গ্রেফতার দাবী করেছে। ছবিতে— খনকারী তাবিজের নমুনা।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

জিন্নাগড়ের আলমগীর খনকারের অপচিকিৎসায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ

Update Time : ০৪:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক সরকার, ভোলা :ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার জিন্নাগর ইউনিয়নের চার নং ইউ:পি: ওয়ার্ডের আলমগীর খনকারের অপচিকিৎসা, কু-চিকিৎসা, অসভ্য চিকিৎসা ও খারাপ চিকিৎসার প্লাবনে এলাকাবাসীদের সু-চিকিৎসা প্রাপ্তি অনিশ্চয়তার কবলে পড়েছে। মসজিদের হুজুরা কোনায় ইমাম-মোয়াজ্জেমের কুঠুরিতে প্রবাসীর রং ফর্সা রমনী নিয়েও চলে তার গোপন চিকিৎসা খনকারী। স্বামী বিরাগী স্ত্রী ও স্ত্রী বিরাগী স্বামীদের মধ্যে মিলমিশ করার নামে বহু রমনীর সাথে তার অবৈধ মেলামেশার চুক্তিতে স্বামী-স্ত্রীর মিলমিশ করানোর দাবীও তার অনেক। বিবাহ ঘটানোর জন্য ছেলেদেরকে পাগল করে মেয়ের বাড়িতে নিয়ে আসতে তার নাকি তিনদিনের কেরামতি। তার তাবিজে নাকি— যে কোন আমেরিকান নাগরীক বাংলাদেশের কোন কন্যার প্রেমে পাগল হয়ে উল্কার মত ছুটে আসবে বাংলাদেশ। তার খনকারী কেরামতিতে কলাগাছের মূলের নীচের দিকে সাড়ে তিন হাত লম্বা কলার ছড়া গজায়। ঝগড়া-বিবাদ তৈরি করে বিবাদীয় পক্ষদেরকে হাতিয়ে নিয়ে ব্ল্যাক মেজিক বা কালো জাদু দিয়ে কোন মুরুক্ষ  পক্ষকে বশীকরন তাবিজও নাকি সে দিতে পারে। মামলা-মক্দ্দমায় জেতার জন্য তার দেওয়া তাবিজে আদালতের হাকিমকে (বিচারককে) নাকি সে পাল্টে দিয়ে থাকে। নির্বাচনে জেতার জন্য তার থেকে তাবিজ নিলেই নাকি প্রশাসন তাবিজওয়ালার পক্ষ নিয়ে জিতিয়ে দেয়। সে আরো দাবী করে যে, খেলাধূলায় আন্দুরি পড়া দিলে তার খনকারী গুন পাওয়া ফুটবল খেলোয়ারগণ মুখার বান্দার ধান খেতেই মেসি, পেলে, চেলসি, নেইমার, রোনালদিনহো, দি আ্যাগো মেরাডোনা সহ আরো বিখ্যাত তারকা খেলোয়ার হয়ে ওঠে। তার তাবিজের নাকি এতই গুন যে, সে চাইলেই বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ চতূর্থ আসমান থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতার মসনদে নেমে পড়বে। গভীর রাতে কারো বাড়ি-ঘরে চুরি-ডাকাতি করার জন্য তার দেওয়া ঘুম চালায় কিনা বাড়ি সবাই নিথর ঘুমে মগ্ন হয়ে যায়। চর দখলের মারামারিতে তার থেকে তাবিজ নিলে লাঠিয়াল সর্দার তার প্রতিপক্ষকে নাকি পিঁপড়ার মত দেখবে। তার কাছে গিয়ে কোন রমনী দুই রাতে দুই গ্লাস পানি খেলেই পেটের যেকোন ব্যাথা ভালো হয়ে যায়। আলমগীর খনকারের তাবিজে বিয়েবন্ধ্যা তরুনীর বিয়ে কিনা তিন দিনেই সম্পন্ন হয়। স্বামী স্ত্রীর প্রতি মুখ ভার করে নাইক্ষ্যং ছড়িতে গিয়ে তিন বছর পর প্রথম স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে আরেকটি বিয়ে করলেও আলমগীর খনকারের তাবিজে স্বামী চলে আসে বীর্যের গতিতে। হাঁস-মুরগী চুরি করতে যাওয়ার আগে তার দেওয়া তাবিজ সাথে রাখলে হাঁস-মুরগীর খোপসহ নিয়ে আসলেও গৃহের লোক টের পাবেনা— দাবী আলমগীর খনকারের। ব্যবসা-বানিজ্যে তার তাবিজ ব্যবহারে জ্বীনেরাও তার দোকানের কাষ্টমার হবে। ভূত-পেরতের চিকিৎসায় তার হাতে কেউ কেউ মারা যাওয়ার খবর রটলেও রোগী হাতিয়ে নিয়ে অপচিকিৎসা দেওয়ার ইত্যাদি আজগুবি গল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে জিন্নাগড়ের ঐ আজগুবি আলমগীর খনকার।
 ঢালচর থেকে তার নিকট চিকিৎসা নিতে আসা ময়ফুল বলেছে আলমগীর খনকারের চিকিৎসা নিয়ে তার স্বামী যেই লুজ ছিল সেই লুজই আছে। এওয়াজপুরের তহুরা পরিচয় দেওয়া এক মহিলা বলেছে পৌরসভায় চাকরি নেওয়া মহিদ্দিনের কথায় তার স্বামী নুরুল হককে আলমগীর খনকারের কাছে চিকিৎসা করাতে নিয়ে প্রসাব-পায়খানা বন্ধ হয়ে গেছে আর এখন নুরুল হক কবরে। ফজলু নামের সত্তর বছর বয়সী এক লোকের জবানবন্দীতে এসেছে যে, তার ভাই আবু কালামকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চর কচ্ছপিয়ার গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল খাওয়ার পর আলমগীর খনকারের কাছে চিকিৎসা করানোর কথা “ঢাকা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল” জানার পর আবু কালামকে হাসপাতালের নাম কেটে বের করে দিয়েছে—। আবুকালামের চিকিৎসা করার বিধান নাকি বর্তমানের চিকিৎসা বিজ্ঞানের আইনে নাই। বহু পঙ্গু লোকের চিকিৎসা করানোর দাবী করে আলমগীর খনকার বহু মানুষকে ফাটকি দিয়ে বহু মানুষের বহু টাকা-পয়সা, গহনা-ঘাটি হাতিয়ে নিয়েছে। এদিকে আলমগীর খনকারের চিকিৎসা দেওয়ার সরকারী কোন অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিনা—  জেলা সিভিল সার্জনের কাছে আলমগীর খনকারে চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাইলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, খুব দ্রুতই আলমগীর খনকার নামক অপচিকিৎসকে আইনের আওতায় আনা হবে। চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি বলেন কয়েক জন অপচিকিৎসকের বিরুদ্ধে সরকারের নজরদারী রয়েছে। তবে আলমগীর খনকার কোন জন তা এখনো চরফ্যাসন উপজেলা প্রশাসন জানে না। এদিকে আলমগীর খনকারের কু-চিকিৎসা ও কু-কীর্তির কারনে তার উপর ফাফিয়ে ও ফুঁসিয়ে থাকা জনগোষ্ঠির স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে যে, খনকারের যাদু টোনা, বান টোনা, শরীর নষ্ট করার রাম কুন্ডলী, শরীর নষ্ট করার শক্তিশালী তাবিজ ইত্যাদির ভয়ে কেউই খনকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না। তবে সবাই তার গ্রেফতার দাবী করেছে। ছবিতে— খনকারী তাবিজের নমুনা।