১০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬
বাংলা ভাষার উন্নয়ন ও বাংলা সন প্রবর্তণে মুসলমানদের অবদান

জাসাফ’র বাংলার সমৃদ্ধি, বাংলা ভাষার উন্নয়ন ও বাংলা সন প্রবর্তণে মুসলমানদের অবদান অপরিসীম

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  • Update Time : ০২:১২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৯২ Time View

পহেলা বৈশাখের বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বাংলার সমৃদ্ধি, বাংলা ভাষার উন্নয়ন ও বাংলা সন প্রবর্তণে মুসলমান ও মুসলিম শাসক ও মুসলমান কবি সাহিত্যিকদের অবদান অপরিসীম। সম্রাট আকবরের খ্যাতিমান জ্যোর্তিবিজ্ঞানী আমির ফতেহ উল্লাহ সিরাজী হিজরী সনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলা সন প্রনয়ন করেন। বাংলা সনের আজকের আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক রূপ দেওয়ার কৃতিত্ব (১৯৬৩-৬৬) বাংলা একাডেমী ও ড: মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর। পুরো মধ্যযুগ ছিল বাংলা, বাংলা ভাষার স্বর্ণযুগ। যে যুগকে অনেকে অন্ধকার যুগ বলে অথচ বাংলা একটি সমৃদ্ধ জনপদ, বাংলা ভাষা ব্যাপক চর্চা হয় মধ্যযুগে। মধ্যযুগের বিখ্যাত কবি আবদুল হাকিম তার নুর নামা কাব্যগ্রন্থে লিখেন ‘যে সব বঙ্গেতে জন্মে হিংসে বঙ্গবাণী সে সব কাহারো জন্ম নির্ণয়ে ন জানি’। বৃটিশ কলোনী যুগেও মীর মোশাররক হোসেন, ঈসমাইল হোসেন সিরাজী, কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাভাষার সমৃদ্ধে রাখেন অন্যবদ্য অবদান। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ের মুসলিম কবি-সাহিত্যিকদের অবদানতো আমাদের সামনেই আছে। বৃটিশ খেদাও আন্দোলনেও ছিল বাংলার মুসলিম বীর নিসার আলী তিতুমীর, হাজী শরীয়তউল্লাহ, ফকির মজনু শাহের সংগ্রামমুখর ভুমিকা। যা ইতিহাসে থাকলেও রাষ্ট্রৃীয়ভাবে আলোাচনায় আসছে কম। এ আলোচনা বাড়াতে হবে। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে জাতীয় সাংস্কৃতিক ফোরাম- জাসাফ আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে তারা এ কথা বলেন।

আজ

পহেলা বৈশাখ বেলা ১১টায় পল্টনস্থ একটি মিলনায়তনে জাসাফ’র নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আরিফুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সাহিত্যিক ডা: আবদুল্লাহ খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কবি রুহুল আমিন সাদী। বক্তব্য পেশ করেন জাসাফ’র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, এডভোকেট মো: মিজানুর রহমান, আলহাজ¦ আবু সালেহীন, খন্দাকার সাহাব উদ্দিন, প্রিন্সিপাল সাইফ উদ্দিন আহমদ, শিশু সংগঠনক এডভোকেট শেখ রেজাউল করিম, কবি শামসুল করিম খোকন, সাংবাদিক আবু ইসমাইল মুহাম্মদ দানিয়েল, শিল্পী আজিজুল ইসলাম খান. গীতিকার এম কামরুজ্জামান, শিল্পী আনিস আনসারী, শিল্পী শাহ নেওয়াজ তাবিব, কবি খালেদ সানোয়ার, অঙ্কুরের নির্বাহী পরিচালক শাহ শিহাব উদ্দিন, দাবানল শিল্পী গোষ্ঠীর সহকারী পরিচালক সাইফুল্লাহ সাহল, যুব নেতা জামিরুল ইসলাম, সংগঠক জামিল আহমদ শিল্পী আবদুল্লাহ আল মামুন, শিল্পী জোবায়ের বখতিয়ার প্রমুখ।


অনুষ্ঠানে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে দোয়া-মুনাজাত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন।
অনুষ্ঠানে “বাংলা, বাংলা ভাষা, বাংলা সন: মুসলমানদের অবদান” লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কাজী আরিফুর রহমান।(প্রেস বিজ্ঞপ্তি )

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

One thought on “জাসাফ’র বাংলার সমৃদ্ধি, বাংলা ভাষার উন্নয়ন ও বাংলা সন প্রবর্তণে মুসলমানদের অবদান অপরিসীম

  1. Heya i’m for the primary time here. I came across this board and I in finding It really useful & it helped me out much. I’m hoping to give something again and help others like you helped me.

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

বাংলা ভাষার উন্নয়ন ও বাংলা সন প্রবর্তণে মুসলমানদের অবদান

জাসাফ’র বাংলার সমৃদ্ধি, বাংলা ভাষার উন্নয়ন ও বাংলা সন প্রবর্তণে মুসলমানদের অবদান অপরিসীম

Update Time : ০২:১২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

পহেলা বৈশাখের বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বাংলার সমৃদ্ধি, বাংলা ভাষার উন্নয়ন ও বাংলা সন প্রবর্তণে মুসলমান ও মুসলিম শাসক ও মুসলমান কবি সাহিত্যিকদের অবদান অপরিসীম। সম্রাট আকবরের খ্যাতিমান জ্যোর্তিবিজ্ঞানী আমির ফতেহ উল্লাহ সিরাজী হিজরী সনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলা সন প্রনয়ন করেন। বাংলা সনের আজকের আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক রূপ দেওয়ার কৃতিত্ব (১৯৬৩-৬৬) বাংলা একাডেমী ও ড: মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর। পুরো মধ্যযুগ ছিল বাংলা, বাংলা ভাষার স্বর্ণযুগ। যে যুগকে অনেকে অন্ধকার যুগ বলে অথচ বাংলা একটি সমৃদ্ধ জনপদ, বাংলা ভাষা ব্যাপক চর্চা হয় মধ্যযুগে। মধ্যযুগের বিখ্যাত কবি আবদুল হাকিম তার নুর নামা কাব্যগ্রন্থে লিখেন ‘যে সব বঙ্গেতে জন্মে হিংসে বঙ্গবাণী সে সব কাহারো জন্ম নির্ণয়ে ন জানি’। বৃটিশ কলোনী যুগেও মীর মোশাররক হোসেন, ঈসমাইল হোসেন সিরাজী, কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাভাষার সমৃদ্ধে রাখেন অন্যবদ্য অবদান। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ের মুসলিম কবি-সাহিত্যিকদের অবদানতো আমাদের সামনেই আছে। বৃটিশ খেদাও আন্দোলনেও ছিল বাংলার মুসলিম বীর নিসার আলী তিতুমীর, হাজী শরীয়তউল্লাহ, ফকির মজনু শাহের সংগ্রামমুখর ভুমিকা। যা ইতিহাসে থাকলেও রাষ্ট্রৃীয়ভাবে আলোাচনায় আসছে কম। এ আলোচনা বাড়াতে হবে। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে জাতীয় সাংস্কৃতিক ফোরাম- জাসাফ আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে তারা এ কথা বলেন।

আজ

পহেলা বৈশাখ বেলা ১১টায় পল্টনস্থ একটি মিলনায়তনে জাসাফ’র নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আরিফুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সাহিত্যিক ডা: আবদুল্লাহ খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কবি রুহুল আমিন সাদী। বক্তব্য পেশ করেন জাসাফ’র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, এডভোকেট মো: মিজানুর রহমান, আলহাজ¦ আবু সালেহীন, খন্দাকার সাহাব উদ্দিন, প্রিন্সিপাল সাইফ উদ্দিন আহমদ, শিশু সংগঠনক এডভোকেট শেখ রেজাউল করিম, কবি শামসুল করিম খোকন, সাংবাদিক আবু ইসমাইল মুহাম্মদ দানিয়েল, শিল্পী আজিজুল ইসলাম খান. গীতিকার এম কামরুজ্জামান, শিল্পী আনিস আনসারী, শিল্পী শাহ নেওয়াজ তাবিব, কবি খালেদ সানোয়ার, অঙ্কুরের নির্বাহী পরিচালক শাহ শিহাব উদ্দিন, দাবানল শিল্পী গোষ্ঠীর সহকারী পরিচালক সাইফুল্লাহ সাহল, যুব নেতা জামিরুল ইসলাম, সংগঠক জামিল আহমদ শিল্পী আবদুল্লাহ আল মামুন, শিল্পী জোবায়ের বখতিয়ার প্রমুখ।


অনুষ্ঠানে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে দোয়া-মুনাজাত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন।
অনুষ্ঠানে “বাংলা, বাংলা ভাষা, বাংলা সন: মুসলমানদের অবদান” লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কাজী আরিফুর রহমান।(প্রেস বিজ্ঞপ্তি )