০৭:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

ঈদে নতুন নোট দেবে না কোনও ব্যাংক: বাংলাদেশ ব্যাংক

Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৩৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • / ৩৫২ Time View

  সরকার ডেস্ক: প্রতি বছর ঈদের সময় ব্যাংক থেকে নতুন নোট দেয়ার চল আছে বাংলাদেশে, তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার (১০ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এবারের ঈদে ব্যাংকগুলোর কোনো শাখা থেকেই পাওয়া যাবে না টাকার নতুন নোট।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে জনগণের মাঝে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ব্যাংকের শাখায় যে নতুন নোট গচ্ছিত রয়েছে, তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণ করার জন্য বলা হলো। চিঠিতে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট দ্বারা সকল নগদ লেনদেন কার্যক্রম সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারাও নতুন নোট পাবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নতুন টাকা পাওয়া যাবে ১৯ মার্চ থেকে। এবার ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট দেওয়া হবে। নতুন নোট বিনিময় হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক ও কয়েকটি ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে। ২৫ মার্চ পর্যন্ত জনসাধারণ ও গ্রাহকদের মধ্যে নতুন নোট বিনিময়ের পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে নতুন নোট বিতরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো  চিঠিতে বলা হয়েছে, “ব্যাংকগুলোর শাখায় যে সকল ফ্রেশ নোট গচ্ছিত রয়েছে তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণ করা এবং পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট দিয়ে সকল লেনদেন কার্যক্রম করতে পরামর্শ দেয়া হলো।”

এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জানা যায়, বহুল আলোচিত বাংলাদেশি ২০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট ৬ মাসের মধ্যে বাজারে আসবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এই তথ্য প্রকাশ করার পর আসন্ন নোটের নকশার উপাদান নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, নতুন নোট আসা নিশ্চিত। তবে নকশার সঠিক উপাদানগুলো নিশ্চিত করার সময় এখনো আসেনি।

অক্টোবর মাসেই অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমান নকশা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে চারটি নোট পুনরায় নকশা করা হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য নোটগুলোতেও পরিবর্তন আনা হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।

সাবেক শেখ হাসিনার সরকারের আমলে প্রচলিত সব নোট ও মুদ্রায়ই শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আছে যা মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ২ টাকা থেকে ১ হাজার টাকার কাগজের নোটের সবগুলোতেই তার ছবি রয়েছে।

 বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র  বলেন, এবার ঈদে নতুন নোট বিনিময় করা হবে না। তবে বাজারে যেসব নোট রয়েছে, তার প্রচলন অব্যাহত থাকবে।

জানা গেছে, নতুন নকশার নোট বাজারে আসবে এপ্রিল-মে মাসে। এবার টাকার নকশা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি বাদ দেওয়া হচ্ছে। এর পরিবর্তে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নতুন নোটের নকশায় স্থান পাচ্ছে।

  বিশ্বের মাত্র ৮–১০টি কারখানা থেকে ১৯০টি দেশ টাকা ছাপানোর কাগজ কিনে থাকে। ফলে চাইলেই হঠাৎ করে টাকার নকশা পরিবর্তন করে নতুন নোট ছাপানো যায় না। এ ছাড়া কালি, ডাইসসহ টাকা ছাপানোর সব সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আনতে হয়। ফলে নকশা পরিবর্তন করে নতুন নোট আনতে দুই বছর সময় প্রয়োজন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

2 thoughts on “ঈদে নতুন নোট দেবে না কোনও ব্যাংক: বাংলাদেশ ব্যাংক

  1. Keep up the superb piece of work, I read few content on this website and I believe that your website is really interesting and has lots of fantastic information.

  2. Thank you for another fantastic post. The place else may just anybody get that type of information in such an ideal approach of writing? I’ve a presentation next week, and I’m at the look for such info.

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

ঈদে নতুন নোট দেবে না কোনও ব্যাংক: বাংলাদেশ ব্যাংক

Update Time : ০৪:৩৩:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

  সরকার ডেস্ক: প্রতি বছর ঈদের সময় ব্যাংক থেকে নতুন নোট দেয়ার চল আছে বাংলাদেশে, তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার (১০ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এবারের ঈদে ব্যাংকগুলোর কোনো শাখা থেকেই পাওয়া যাবে না টাকার নতুন নোট।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে জনগণের মাঝে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ব্যাংকের শাখায় যে নতুন নোট গচ্ছিত রয়েছে, তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণ করার জন্য বলা হলো। চিঠিতে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট দ্বারা সকল নগদ লেনদেন কার্যক্রম সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারাও নতুন নোট পাবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নতুন টাকা পাওয়া যাবে ১৯ মার্চ থেকে। এবার ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট দেওয়া হবে। নতুন নোট বিনিময় হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক ও কয়েকটি ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে। ২৫ মার্চ পর্যন্ত জনসাধারণ ও গ্রাহকদের মধ্যে নতুন নোট বিনিময়ের পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে নতুন নোট বিতরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো  চিঠিতে বলা হয়েছে, “ব্যাংকগুলোর শাখায় যে সকল ফ্রেশ নোট গচ্ছিত রয়েছে তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণ করা এবং পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট দিয়ে সকল লেনদেন কার্যক্রম করতে পরামর্শ দেয়া হলো।”

এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জানা যায়, বহুল আলোচিত বাংলাদেশি ২০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট ৬ মাসের মধ্যে বাজারে আসবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এই তথ্য প্রকাশ করার পর আসন্ন নোটের নকশার উপাদান নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, নতুন নোট আসা নিশ্চিত। তবে নকশার সঠিক উপাদানগুলো নিশ্চিত করার সময় এখনো আসেনি।

অক্টোবর মাসেই অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমান নকশা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে চারটি নোট পুনরায় নকশা করা হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য নোটগুলোতেও পরিবর্তন আনা হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।

সাবেক শেখ হাসিনার সরকারের আমলে প্রচলিত সব নোট ও মুদ্রায়ই শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আছে যা মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ২ টাকা থেকে ১ হাজার টাকার কাগজের নোটের সবগুলোতেই তার ছবি রয়েছে।

 বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র  বলেন, এবার ঈদে নতুন নোট বিনিময় করা হবে না। তবে বাজারে যেসব নোট রয়েছে, তার প্রচলন অব্যাহত থাকবে।

জানা গেছে, নতুন নকশার নোট বাজারে আসবে এপ্রিল-মে মাসে। এবার টাকার নকশা থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি বাদ দেওয়া হচ্ছে। এর পরিবর্তে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নতুন নোটের নকশায় স্থান পাচ্ছে।

  বিশ্বের মাত্র ৮–১০টি কারখানা থেকে ১৯০টি দেশ টাকা ছাপানোর কাগজ কিনে থাকে। ফলে চাইলেই হঠাৎ করে টাকার নকশা পরিবর্তন করে নতুন নোট ছাপানো যায় না। এ ছাড়া কালি, ডাইসসহ টাকা ছাপানোর সব সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আনতে হয়। ফলে নকশা পরিবর্তন করে নতুন নোট আনতে দুই বছর সময় প্রয়োজন।