০৪:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদ বীর প্রতিকের মৃত্যু: চট্টগ্রামে গেস্ট হাউজে থেকে মরদেহ উদ্ধার

Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৪৯:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৮৩ Time View
আনিছুর রহমান  ,ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম) :
বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশীদ বীর প্রতীক চট্টগ্রামের একটি গেস্ট হাউজ থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন। সোমবার (৪ আগস্ট) ২০২৫ ইং তারিখ দুপুরে চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউজের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, একটি মামলার হাজিরা দিতে তিনি রোববার (৩ আগস্ট) ২০২৫ -ইং তারিখে চট্টগ্রামে আসেন এবং চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউজের ৩০৮ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিলেন। সকালে নির্ধারিত কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা থাকলেও তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বিছানায় তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হে রাজেউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
এম হারুন-অর-রশীদ চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮,ইং তারিখে জন্মগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান পরবর্তী তিনি চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত অবস্থায় ১৯৭১ সালে  মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘বীর প্রতীক’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
২০০০ সালের ২৪ ডিসেম্বর তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব নেন।  ২০০২ সালের ১৬ জুন তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
অবসরের পর তিনি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ফিজিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সহ-সভাপতি এবং বিতর্কিত ডেসটিনি গ্রুপের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ডেসটিনি গ্রুপের আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় তিনি কারাভোগও করেছেন।
সাবেক সেনাপ্রধানের মৃত্যুতে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন শোক প্রকাশ করে বলেন, “সকালে খবর পেয়েছি, তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা শোকাহত।” তার মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল থেকে শোক জানানো হয়েছে। বর্তমানে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদ বীর প্রতিকের মৃত্যু: চট্টগ্রামে গেস্ট হাউজে থেকে মরদেহ উদ্ধার

Update Time : ০৮:৪৯:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
আনিছুর রহমান  ,ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম) :
বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশীদ বীর প্রতীক চট্টগ্রামের একটি গেস্ট হাউজ থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন। সোমবার (৪ আগস্ট) ২০২৫ ইং তারিখ দুপুরে চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউজের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, একটি মামলার হাজিরা দিতে তিনি রোববার (৩ আগস্ট) ২০২৫ -ইং তারিখে চট্টগ্রামে আসেন এবং চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউজের ৩০৮ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিলেন। সকালে নির্ধারিত কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা থাকলেও তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বিছানায় তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হে রাজেউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
এম হারুন-অর-রশীদ চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮,ইং তারিখে জন্মগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান পরবর্তী তিনি চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত অবস্থায় ১৯৭১ সালে  মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘বীর প্রতীক’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
২০০০ সালের ২৪ ডিসেম্বর তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব নেন।  ২০০২ সালের ১৬ জুন তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
অবসরের পর তিনি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ফিজিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সহ-সভাপতি এবং বিতর্কিত ডেসটিনি গ্রুপের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ডেসটিনি গ্রুপের আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় তিনি কারাভোগও করেছেন।
সাবেক সেনাপ্রধানের মৃত্যুতে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন শোক প্রকাশ করে বলেন, “সকালে খবর পেয়েছি, তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা শোকাহত।” তার মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল থেকে শোক জানানো হয়েছে। বর্তমানে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।