০৯:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাজশাহী কাঁকনহাট কলেজ বাঁচাও আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিতে উত্তাল ক্যাম্পাস
Reporter Name
- Update Time : ১১:২২:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৪৮ Time View

স্টাফ রিপোর্টার গোদাগাড়ী রাজশাহী :মো:আতিকুর রহমান৷
রাজশাহীর কাঁকনহাট কলেজে শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কাঁকনহাট কলেজ বাঁচাও আন্দোলন*’ নামে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা মিলে শুরু করেছেন ধারাবাহিক বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি।
প্রধান অভিযোগগুলো: কলেজ মাঠ ইজারা দিয়ে ব্যবসায়িকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, ফলে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও সহ-শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নেই; বহিরাগতদের প্রবেশ ও দখলদারিত্ব বাড়ছে।
বিশুদ্ধ পানি, নিরাপদ ও পর্যাপ্ত শৌচাগারের অভাবে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে। দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো জবাবদিহিতা নেই।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন,
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা চলবে না, মাঠ ফেরত চাই, দফাদার-দালাল হটাও
তারা দাবি করেন, শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দুর্নীতিবাজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
বিক্ষোভকারীদের দাবিসমূহ,ইজারা বাতিল করে কলেজ মাঠ পুনরুদ্ধার, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা ও শৌচাগার উন্নয়ন, দুর্নীতির তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি
কাকনহাট মহাবিদ্যালয়ের নিম্ন স্বাক্ষরকারী শিক্ষক/কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের আমলে মার্চ/২০১৬ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সুজাউদ্দীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের পছন্দ মতো গভর্নিং বডি গঠন করে নিময় বহির্ভূতভাবে গত ১০ (দশ) বছর যাবৎ কলেজের টাকা আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন, ভর্তি ফি, সেশনচার্জ ও অন্যান্য ফি বাবদ প্রতিবছর কলেজটিতে আয় হয় প্রায় ১৫,০০,০০০/- (পনেরো লক্ষ) টাকা। কলেজ পরিচালনা ব্যয় বাবদ প্রতিবছর ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা খরচ হয়ে প্রায় ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ) টাকা উদ্বৃত্ত থাকার কথা। কিন্তু গত ১০ (দশ) বছরে উদ্বৃত্ত টাকায় অত্র কলেজের কোন উন্নয়ন কাজ করা হয়নি। আমরা ধারণা করছি অধ্যক্ষ সাহেব গত ১০ বছরে কমপক্ষে প্রায় ১,০০,০০,০০০/-(এক কোটি) টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এমপিও ভুক্ত হবেনা জেনেও মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ২(দুই) জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। তারা ৮ (আট) বছর যাবৎ বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির বিপরীতে সরকার গত ১০ (দশ) বছরে টিউশন ফি বাবদ ১৪,৭৪,১২৩/ (চৌদ্দ লক্ষ চুয়াত্তর হাজার এক শত তেইশ) টাকা প্রদান করে। অধ্যক্ষ সাহেব উক্ত টিউশন ফি এর টাকার মধ্যে মাত্র ২,২৫,৮৬৬/- (দুই লক্ষ পঁচিশ হাজার আট শত ছেষট্টি) টাকা কলেজ ফান্ডে জমা করে, অবশিষ্ট ১২,৪৮,২৫৭/- (বার লক্ষ আটচল্লিশ হাজার দুই শত সাতান্ন) টাকা তিনি নিজে আত্মসাৎ করেছেন। শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকায় দশ বছরের জন্য লিজ দিয়ে সেই টাকা কলেজ ফান্ডে জমা না দিয়ে তিনি আত্মসাৎ করেছেন। কলেজের একটি ৭,০০,০০০/-(সাত লক্ষ) টাকার এফ.ডি.আর (আই এফ আই সি ব্যাংক, রাজশাহী শাখা) ছিল, যেটি ভেঙ্গে দিয়ে তিনি আত্মসাৎ করেছেন। ডিগ্রী পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতন করা বাবদ ৬,৮৭,০০০/- (ছয় লক্ষ সাতাশি হাজার) টাকা গ্রহণ করে আত্মত্মসাৎ করেন। এমনকি আওয়ামী সরকার পতনের পরে শিক্ষকদের না জানিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো শিক্ষক প্রতিনিধি ও অভিভাবক সদস্য নির্বাচন করে গভর্নিং বডি গঠন করেন। এমপিওভুক্ত হবেনা জেনেও প্রায় ৩৫,০০,০০০/-(পঁয়ত্রিশ লক্ষ) টাকার বিনিময়ে অতিরিক্ত ৩ (তিন) জন অফিস সহায়ক নিয়োগ দিয়েছেন। কাজেই আমরা শিক্ষক/কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ফ্যাসিষ্ট অধ্যক্ষ মোঃ সুজাউদ্দীন এর দুর্নীতি তদন্তের আবেদন করছি। প্রাথমিক প্রমান হিসাবে টিউশন ফি এর ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও অভ্যন্তরিন অডিট কমিটির রিপোর্ট সংযুক্ত করা হলো।
এক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসার জায়গা না—আমরা খেলাধুলার অধিকার, নিরাপত্তা, পরিবেশ চাই।
অভিভাবকরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, দলীয়করণ আর দুর্নীতির বলি হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের আহ্বান।
Tag :
























