মোহনপুর উপজেলায় ও তানোর উপজেলায় অবাধে রিং জালে সয়লাব যা আগামীর জন্য হুমকি

- Update Time : ০২:০৩:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
- / ৬০ Time View
মোঃ নাসির উদ্দিন রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :
রাজশাহী জেলার তানোর মোহন পুর সহ প্রায় রিং জালের দাপট
মৎস সম্পদ অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা ঘুমিয়ে থাকবেন না। নিষিদ্ধ রিং জালে ছেয়ে গেছে খালবিল। প্রতিদিন ধরা পড়ছে ছোট ছোট পোনা বোয়াল, পোনা ট্যাংরা, ডিমওয়ালা মা মাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ । অথচ এই ছোট মাছ গুলো বড় হয়ে খালবিল দাপিয়ে বেড়ানোর কথা ছিলো। বাজারে গেলে খুচরা মাছ কিনতে পাওয়া যায় না, কারন এই রিং জালে বিপুল পরিমানে মা মাছ ডিম ছাড়ার পূর্বেই ধরা পড়ে যাচ্ছে, ছোট ছোট বোয়াল মাছের বাচ্চা গুলো বড় হওয়ার আগেই এই রিং জালে ধরা পড়ে যাচ্ছে। অথচ মৎস সম্পদ অধিদপ্তরের কোনো তদারকি নাই। দেশের প্রতিটি খাল বিলে অবাধে এই নিষিদ্ধ রিং জালে মাছ ধরা হচ্ছে।
এখনই কঠিন পদক্ষেপ নিন, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে রিং জালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করুন। আজ দেখলাম এক জন জেলের ৬০ টি রিং জাল, এক একটি রিং জালের দৈর্ঘ্য ৩০ থেকে ৬০ মিটার। এরকম অসংখ্য জেলেদের পুরো খালবিল জুড়ে ছড়িয়ে থাকতে দেখলাম। এসব জেলেদের ধরে রিং জাল পুড়িয়ে ফেলুন, জেলেদের মাছ ধরার অনেক পদ্ধতি আছে সেগুলো ব্যাবহার করুক, কিন্তু রিং জাল বন্ধ হোক। জালের দোকান গুলোতে প্রশাসন রেট দিক, রিং জাল কেনাবেচা বন্ধ করতে বাদ্ধ করুক। শুক্রবার জুম্মার দিনে গ্রামের প্রতিটি মসজিদে ঈমামদের মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিকদের মধ্যে বার্তা পৌঁছে দিন। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভা প্রতিটি গ্রামে মাইকিং করুক, টেলিভিশনে সতর্কতামূলক প্রামান্যচীত্র প্রচার করুক খালবিলে প্রশাসনের লোকজন টহল দিক, জরিমানা করুক, রিং জাল ব্যাবহার না করার জন্য নতুন আইন পাশ করুক। এ ব্যাপারে প্রশাসন যত কঠর হবে দেশে দেশীয় মাছের উৎপাদন তত বাড়বে। এখনই এই রিং জালে মাছ ধরা বন্ধ করতে না পারলে পরবর্তী প্রজন্ম দেশীয় মাছ বই-পুস্তকেই দেখবে, খেয়ে দেখার সৌভাগ্য হবে না।
পাশাপাশি দেশের অনেক খালবিল প্রভাবশালী মনুষেরা দখল করে মাছ চাষ করছে। খালবিলের মাছ গরীবের হক, এটা মাছ চাষ করার জায়গা না। খালবিলে প্রভাবশালীদের মাছের চাষ বন্ধ হোক, মৎস সম্পদ অধিদপ্তর প্রতিটি খালবিল উন্মুক্ত করে গরীব মানুষের হক বুঝিয়ে দিক।