০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ঝরল চালক-পথচারীর প্রাণ! 

Reporter Name
  • Update Time : ০২:৩৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৭ Time View
মোহাম্মদ  হানিফ ,নোয়াখালী  প্রতিনিধি :
 নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের ভয়াল থাবায় চালক মো. মামুন (৩০) ও নিরীহ পথচারী শমসের সাহা (৫৫) দুইজনের জীবনাবসান। দ্রুতগতির এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা আবারও আঞ্চলিক মহাসড়কের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ভয়াল রাতের সেই দৃশ্য
একটি ভুল মুহূর্ত এবং বেপরোয়া গতির চরম পরিণতি! শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে প্রায় সোয়া দশটার দিকে নোয়াখালী-কুমিল্লা হাইওয়ে আঞ্চলিক মহাসড়কের বজরা আফানিয়া এলাকা পরিণত হয় এক শোকাবহ প্রান্তর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেদিন রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের দেওড়ি বাড়ির বাসিন্দা শমসের সাহা (৫৫) সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে নেমে পায়ে হেঁটে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিলেন। নিয়তির কী নির্মম পরিহাস, ঠিক সেই সময়ে চৌমুহী চৌরাস্তা থেকে সোনাইমুড়ীগামী একটি গতিদানব’ (মোটরসাইকেল) তীব্র বেগে এসে তাকে সজোরে ধাক্কা মারে
এই ভয়াবহ সংঘর্ষের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক মো. মামুন (৩০) এবং পথচারী শমসের সাহা দুজনেই সড়কে ছিটকে পড়েন। তাদের শরীরে দেখা দেয় মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন।
স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে এসে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়  কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ক্ষণিকের ভুলে দুটি পরিবারে নেমে আসে চিরন্তন অন্ধকার।
মোটরসাইকেল চালক মো. মামুন (৩০)। তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের কোটবাড়িয়া গ্রামের বাইল্লা বাড়ির মো. রফিকের ছেলে। তার বেপরোয়া গতিই এই দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।পথচারী শমসের সাহা (৫৫)। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের দেওড়ি বাড়ির মৃত সীতারাম সাহার ছেলে। তিনি ছিলেন একজন নিরীহ পথচারী, যাঁর পথচলা থামিয়ে দিল এক দ্রুতগামী বাইক।
স্থানীয় একজন বাসিন্দা জানান
নোয়াখালী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের মতো ব্যস্ত সড়কগুলোতে প্রায়শই বেপরোয়া গতির কারণে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। গভীর রাতে পথচারীদের হাঁটাচলার সময় নিরাপত্তার অভাব এবং মোটরসাইকেল চালকদের গতির নেশা এই ধরনের প্রাণহানির জন্য দায়ী। আমরা মনে করি সড়কে গতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিই করতে হবে ।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এটা একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। প্রাথমিকভাবে কোনো পক্ষই এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।
আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিহতদের মরদেহ তাদের শোকাহত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মোহাম্মদ  হানিফ
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ঝরল চালক-পথচারীর প্রাণ! 

Update Time : ০২:৩৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
মোহাম্মদ  হানিফ ,নোয়াখালী  প্রতিনিধি :
 নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের ভয়াল থাবায় চালক মো. মামুন (৩০) ও নিরীহ পথচারী শমসের সাহা (৫৫) দুইজনের জীবনাবসান। দ্রুতগতির এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা আবারও আঞ্চলিক মহাসড়কের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ভয়াল রাতের সেই দৃশ্য
একটি ভুল মুহূর্ত এবং বেপরোয়া গতির চরম পরিণতি! শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে প্রায় সোয়া দশটার দিকে নোয়াখালী-কুমিল্লা হাইওয়ে আঞ্চলিক মহাসড়কের বজরা আফানিয়া এলাকা পরিণত হয় এক শোকাবহ প্রান্তর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেদিন রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের দেওড়ি বাড়ির বাসিন্দা শমসের সাহা (৫৫) সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে নেমে পায়ে হেঁটে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিলেন। নিয়তির কী নির্মম পরিহাস, ঠিক সেই সময়ে চৌমুহী চৌরাস্তা থেকে সোনাইমুড়ীগামী একটি গতিদানব’ (মোটরসাইকেল) তীব্র বেগে এসে তাকে সজোরে ধাক্কা মারে
এই ভয়াবহ সংঘর্ষের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক মো. মামুন (৩০) এবং পথচারী শমসের সাহা দুজনেই সড়কে ছিটকে পড়েন। তাদের শরীরে দেখা দেয় মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন।
স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে এসে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়  কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ক্ষণিকের ভুলে দুটি পরিবারে নেমে আসে চিরন্তন অন্ধকার।
মোটরসাইকেল চালক মো. মামুন (৩০)। তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের কোটবাড়িয়া গ্রামের বাইল্লা বাড়ির মো. রফিকের ছেলে। তার বেপরোয়া গতিই এই দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।পথচারী শমসের সাহা (৫৫)। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের দেওড়ি বাড়ির মৃত সীতারাম সাহার ছেলে। তিনি ছিলেন একজন নিরীহ পথচারী, যাঁর পথচলা থামিয়ে দিল এক দ্রুতগামী বাইক।
স্থানীয় একজন বাসিন্দা জানান
নোয়াখালী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের মতো ব্যস্ত সড়কগুলোতে প্রায়শই বেপরোয়া গতির কারণে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। গভীর রাতে পথচারীদের হাঁটাচলার সময় নিরাপত্তার অভাব এবং মোটরসাইকেল চালকদের গতির নেশা এই ধরনের প্রাণহানির জন্য দায়ী। আমরা মনে করি সড়কে গতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিই করতে হবে ।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এটা একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। প্রাথমিকভাবে কোনো পক্ষই এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।
আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিহতদের মরদেহ তাদের শোকাহত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মোহাম্মদ  হানিফ