ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট
পশ্চিমা ধ্যান-ধারনার আলোকে এদেশে বেশ্যাবৃত্তি বৈধতার ষড়যন্ত্র চলছে, ভারত দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিপ্লবোত্তর সরকারকে বিতর্কিত করতে নারী কমিশনের কোরআনবিরোধী প্রস্তাব ——-ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট

- Update Time : ১২:২৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
- / ৪২৭ Time View
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কোরআনবিরোধী সুপারিশ করায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহবায়ক শাহসূফী ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আবদুল হান্নান আল হাদী।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, সুপারিশগুলোর বেশীর ভাগই পবিত্র কোরআন, ইসলাম, মুসলমান ও শরীয়তবিরোধী। এধরণের প্রস্তাব কেবল নাস্তিক-মুরতাদদের দ্বারাই সম্ভব। পশ্চিমাদের নুন খেয়ে কোরআনবিরোধী প্রস্তাব দিয়ে বিরানবই ভাগ মুসলমানের ইমান ও আকীদায় আঘাত করা হয়েছে। এই নারী কমিশন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সৈয়দ আবদুল হান্নান আল হাদী আরো বলেন, বাংলাদেশে বহুবছর ধরে পারিবারিক আইন ধর্মভিত্তিক। শুধু বাংলাদেশ নয় বরং ভারতসহ অধিকাংশ দেশেই পারিবারিক আইনের ভিত্তি ধর্ম। কারণ, সকল দেশ ও সভ্যতায় ধর্ম মেনেই পরিবার গঠন হয়। এর বিরুদ্ধে তেমন কোন অভিযোগও নাই। কিন্তু এই কমিশন পারিবারিক আইনের ভিত্তি বদলে দেয়ার প্রস্তাব করে জনরোষ উস্কে দেয়ার অপচেষ্টা করেছে। এই ধরণের অপচেষ্টা আমরা সাম্প্রতিক বিজেপির ভারতে দেখতে পাই। আমরা আশংকা করছি নারী কমিশনের সদস্যগণ ভারত দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিপ্লবোত্তর সরকারকে বিতর্কিত করতে এবং তাদের সাথে থাকা গণসমর্থনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এ ধরণের প্রস্তাব দিয়ে থাকতে পারে।
সৈয়দ আবদুল হান্নান আল হাদী বলেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস কোন রকম পর্যালোচনা ব্যতিতই সুপারিশের অনেকাংশই বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।
এটা আন্তর্জাতিক ও এ দেশীয় নাস্তিক এনজিও ও এলজিবিটিদের কাজ। আমরা এসব সুপারিশ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছি। সুপারিশগুলোর মধ্যে মারাত্মক ইসলামবিদ্বেষী তার দু একটি নিম্নে দেয়া হলো।
১. উত্তরাধিকারে নারী-পুরুষ সমানাধিকার। ২.পারিবারিক আইনে সব বৈষম্য বিলুপ্ত করা। (বিবাহ, তালাক, উত্তরাধিকারে বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন বিধান এক করা)। ৩. মৃত্যুদন্ডের বিধান রহিত। অথচ ইসলামে হত্যার বদলে হত্যার বিধান আছে। ৪. গৃহকর্মী ও যৌন কর্মীদের শ্রম আইনে স্বীকৃতি। অর্থাৎ বেশ্যাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়া।
৫. নারী নেতৃত্ব হারাম নয়, জায়েজ। অথচ ইসলামে নারীকে উপদেষ্টা করার বিধান আছে। কোন নীতি নির্ধারণী পদে থাকা জায়েজ নয়। ৬. যোগ্যতা ব্যতিত নারীদের মোট সংসদ সদস্য সংখ্যার ৫০% প্রদান। যোগ্যতা ব্যতিত কাউকে কোন পদ দেয়া ইসলাম সঠিক মনে করে না। যা ছাত্র জনতার কোটাবিরোধী আন্দোলনের বরখেলাপ।(বিজ্ঞপ্তি)
Very good https://shorturl.at/2breu
Книги про отношения. Красный флаг Red flag. Кризис в отношениях.
keçiören haberleri |