০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নোয়াখালীর সাংবাদিককে ভুয়া ঠিকানায় মামলায় ফাঁসিয়ে বরিশালে কারান্তর!
Reporter Name
- Update Time : ০২:০০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
- / ১০৩ Time View

মোহাম্মদ হানিফ নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা জসিমউদ্দিনকে একটি রহস্যজনক ভুতুড়ে মামলায় আটক দেখিয়ে নোয়াখালী কারা কর্তৃপক্ষ শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে তাকে বরিশালে প্রেরণ করেছে। পুলিশ তাকে নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
এর আগে গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে সেনবাগ থানা পুলিশ সোনাইমুড়ী শহরের ভাড়াবাসা থেকে সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। তিনি দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকার সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রতিনিধি এবং উপজেলার নদনা ইউনিয়নের কালুয়াই গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে।
সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতারের কারণ হিসেবে সেনবাগ থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী জানান, ২০১৯ সালের সিআর ১৭৪ নং মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তাকে আটক করা হয়েছে। তবে এই মামলার ওয়ারেন্টে তার পিতার নাম ‘অজ্ঞাত’ দেখানো হয়েছে এবং ঠিকানা হিসেবে সেনবাগ উপজেলার ছাতারফাইয়া ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ির ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত সাংবাদিকের স্ত্রী ছালেহা বেগম এই ঘটনাকে পরিকল্পিত হয়রানি হিসেবে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমার স্বামী কখনো বরিশাল যাননি বা সেখানে কোনো অপরাধ সংঘটিত করেননি। তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কোনো কারণ নেই। তাছাড়া তার নিজস্ব ঠিকানা সোনাইমুড়ীতে হলেও সেনবাগ থানায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হওয়াটা পরিকল্পিত। বিভিন্ন সময়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরেই কোনো অপরাধী চক্রান্ত করে বরিশাল আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এটা একটা ভুতুড়ে মামলা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। এসময় তার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাকিল আহমেদ জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন শুনানির জন্য আগামীকাল (১৯ অক্টোবর) রবিবার দিন ধার্য করে সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
সাংবাদিক জসিম উদ্দিনকে এভাবে ‘ভুতুড়ে’ মামলায় দূরবর্তী একটি জেলার কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়ায় স্থানীয় সাংবাদিক মহলে ক্ষোভ ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। জামিন শুনানির দিকে এখন সবার দৃষ্টি রয়েছে।
এদিকে, সোনাইমুড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানিয়েছেন, সেনবাগ থানা পুলিশ সোনাইমুড়ীতে অভিযান পরিচালনার জন্য তাদের কাছে লিখিত কোনো অনুমতি বা স্থানীয় পুলিশের সহায়তা চায়নি।
Tag :

























