১২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নরসিংদীর পলাশে অটোরিকশা চালককে হত্যা করে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৩

পলাশ উপজেলা প্রতিনিধি
- Update Time : ১২:৩২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
- / ২৮৬ Time View

বিল্লাল হোসেন,নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ নরসিংদীর পলাশে দেলোয়ার হোসেন নামক ৩০ নামক এক অটোচালক কে হত্যা করে অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত মূলহোতা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এ-সময় তাদের কাছ থেকে অটোরিক্সা, মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাকিবা (২৫) অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে পলাশ থানায় (১৬ জুন) একটি এজাহার দায়ের করার পর দিবাগত রাতেই নরসিংদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে পলাশ থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পরে এ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া একটি অটোরিকশা, ৫৮০ টাকা, দুটি মোবাইল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি চাকু, দুটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলো পলাশ উপজেলার জয়পুরা গ্রামের আব্দুল বাতেন মৃধার ছেলে ইসমাইল মৃধা (কসাই ইসমাইল ২৫), খানেপুর গ্রামের সাদেকের ছেলে শাকিল (২৯) ও নরসিংদী সদরের শ্রীনগর দড়িপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে কবির হোসেন (৫৪)। পুলিশ ও নিহতের স্ত্রী রাকিবা জানান, শনিবার (১৪ জুন) দুপুর ১টার দিকে দেলোয়ার হোসেন নিজ বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। পরে সেদিন তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। 

পরের দিন (১৫ জুন) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে পলাশ উপজেলার ধনারচর এলাকার পাঁচদোনা-চরসিন্দুর আঞ্চলিক সড়কের পাশের একটি কলাবাগানে দেলোয়ার হোসেনের মরদেহ পাওয়া যায়। দুষ্কৃতকারীরা তার গলাকেটে ভুড়ি বের করে শরীরের বিভিন্ন অংশ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে উলঙ্গ অবস্থায় ঘটনাস্থলে ফেলে রাখে এবং তার অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে তার মরদেহ অজ্ঞাত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ খবর পেয়ে নিহতের স্ত্রী রাকিবা ওই হাসপাতালে গিয়ে তার স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করেন। পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ইসমাইল, কবির ও শাকিল এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়াও গত বছরের নভেম্বরে ইউনুস নামে এক অটোচালককেও হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করেছে বলে তথ্য দিয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
Tag :