দূর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের অবকাঠামো হলো ভোলা জেলা সদরের বেআইনী গজনবী স্টেডিয়াম
- Update Time : ০১:৫৭:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৫০ Time View

মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক সরকার, ভোলা, বাংলাদেশ। দূর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের মহা আখড়া হিসেবে খ্যাতি প্রাপ্তির জগৎ বিখ্যাত মন্ত্রনালয়— বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলে ভোলা জেলা সদরেও একটি স্টেডিয়াম করার নামে রাষ্ট্রের প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সরজমিনে আনুমানিক প্রায় আট হতে দশ কোঠি টাকা ব্যয়ের নির্মান সম্পন্ন করে- বাকী সকল রাষ্ট্রীয় টাকা দূর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করার সকল ভৌতিক সাক্ষ্য প্রমান বাংলাদেশের ভোলা জেলা সদরে পড়ে আছে। উন্নয়ন ও নির্মানের দুই নম্বরী কাকে বলে – উহার উত্তর ঐ স্টেডিয়াম নির্মানের প্রতিটি বালুকনায়, প্রতিটি ইটের গাঁথুনিতে, প্রতিবস্তা সিমেন্টের ক্লিংকারে, প্রতিকেজি রডের মধ্যে, প্রতি টুকরা লোহার টুকরায়, প্রতি কয়েল বৈদ্যূতিক ক্যাবলে, প্রতিটি বৈদ্যূতিক বাল্বে, প্রতি খন্ড টাইল্সে ও প্রতিটি কাঁচের ছোট-বড় গ্লাসে পড়ে আছে। অর্থাৎ, উন্নয়ন ও নির্মানের প্রতি পরতে পরতেই- ভোলা জেলা পুলিশ প্রশাসনসহ সকল প্রশাসনের প্রতিটি ব্যক্তির কর্তব্য কর্ম ও দায়িত্ব কর্ম চুরি-ডাকাতি-লুটপাট-বেখাত করার মতই— দূর্নীতি, সন্ত্রাস ও অসভ্যতা লেগে আছে। ভাগ্যভালো যে, ভোলা সদরের ছাত্রলীগ নেতা আরিফ ও ভোলার ইসলামী নেতা নোমানী হুজুরকে সপরিবারে ঐ স্টেডিয়ামের আশেপাশে কেউ খুন করতে পারে নাই- যদি স্টেডিয়ামের আশেপাশে খুনচেষ্টা করার সুযোগ পেত তবে ঐ দুই মার্ডারের পরিবারের একজনও রেহাই পেত না। আর খুন হলেই জেলার পুলিশ সুপার জেলার সাংবাদিকদেরকে ঢেকে নিয়ে মাইকে আরবী কিংবা ভূগোল ভাষায় আযান দিয়ে বলত যে, খুন হওয়া ব্যক্তিরা স্টেডিয়ামের উপরের তলা থেকে পড়ে মারা গিয়েছে।

তবে ঐ গজনবী স্টেডিয়ামের নাম করন সূত্রেও পাওয়া গেছে বিশাল সত্য দূর্নীতি। স্টেডিয়ামের নামকরণের রাষ্ট্রীয় যথাযত বিধানের কিছুই পালন করা হয় নাই। শুধু জোর যার মুল্লুক তার নীতিতে- গায়ের জোরেই নামকরণ করা হয়েছে গজনবী স্টেডিয়াম। আমেরিকা, ক্যানাডা ও বৃটেনের কথা বাদ দিয়ে- আর্জেনটিনা, ব্রাজিল, চিলি, উরুগুয়ে, মৌরিতানিয়া, মঙ্গোলিয়া কাতার সহ পুথিবীর বিভিন্ন স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে গভীর মূলীয় চট ঘাস বন লাগিয়ে প্লে-গ্রাউন্ডের প্লেয়িং লেবেল ঠিক করে নির্মান করার রেওয়াজ থাকলেও ঐ মাঠে আন্তর্জাতিক মানের ঘাসবন উৎপাদন করার মাটিও দেওয়া হয় নাই। প্লে গ্রাউন্ডের মাটি খুঁড়ে অন্তত দশ গজ পর্যন্ত নীচে উষ্ঞ বালি ছাড়া এক চায়ের চামচ পলি মাটিও পাওয়া যায় নাই। যাতে বিদেশী ঘাসের বীজ ছিটিয়ে ঘাস উৎপাদন করে প্লে-গ্রাউন্ডে খেলোয়ারে খেলার সকল মান, পরিবেশ ও প্লেয়িং সিকিউরিটির ঘাসবন স্থাপন করা যায়। কোন ফুটবল টিমের শুধু দুই নং জার্সি পরিহিত খেলোয়ারের সামান্য ধরনের জোড়ালো শর্টকে চ্যালেঞ্জকারী খেলোয়ারের চোখ যে- শর্ট প্রদানকারীর পায়ের বুটের দ্বারা মাঠের উড়ন্ত বালিকনার আঘাত থেকে নিরাপদ নয়- তা ঐ স্টেডিয়ামে দিবালোকের মত স্পষ্ট। অন্যান্য প্লেয়িং শর্টে তো কোন খেলোয়ারেরই নিরাপত্তা নাই-ই। প্লে-গ্রাউন্ডের মাটি ও বালির সংমিশ্রনে খেলোয়ার ও দর্শকের কারোরই তাপমাত্রাগত নিরাপত্তা সংরক্ষন না করেই স্টেডিয়ামকে “আধুনিক” শব্দ দিয়ে বিশেষিত করে “আধুনিক” কথাটির চরম অপব্যবহার করা হয়েছে— বিশ্ব মানচিত্রে বিদ্যমান একটি অসভ্য দেশ নামে খ্যাত বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত, অসভ্য জনগোষ্ঠির ও দক্ষিনের ভোলা জেলায়। এছাড়াও ভোলা সদর পৌরসভা ম্যানুয়েল এবং পৌর ভূমি ব্যবহারের আইন সংক্রান্ত নীতিমালায় স্টেডিয়াম নির্মানের প্লেসমেন্টের বিবেচনায় আইনের চরম অবৈধ ও চরম অসভ্য স্থানে নির্মিত হয়েছে- স্টেডিয়ামটি। তাই অনতিবিলম্বে বাংলাদেশের ক্রীড়া মন্ত্রনালয় বাতিল ঘোষণা করে ঐ অবৈধ ও বেআইনী স্টেডিয়ামের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা প্রয়োজন যাতে স্টেডিয়ামকে ভোলা জেলার দূর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করে স্টেডিয়ামের নির্মান সংক্রান্ত দূর্নীতি মামলা চালুর মাধ্যমে স্টেডিয়াম নির্মানের নামে আত্মসাৎকৃত রাষ্ট্রীয় টাকাগুলো আদায় করা যায়। এবং স্টেডিয়াম পৌরসভার সীমানার বাহিরের আইনসিদ্ধ যথাস্থানে স্থাপন করা যায়। তবে মহল বিশেষ উন্নয়নের নামে রাষ্ট্রীয় দূর্নীতি ও সন্ত্রাস (Most criminally) কে আড়াল করার জন্য স্টেডিয়ামের উদ্ভোধনের নামে স্টেডিয়ামকে দ্রুত সরকারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার দৌড়-ঝাঁপে নিয়োজিত থাকার খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে ভোলা সদর পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে আছে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার। বিধিগতভাবে পৌর এলাকায় স্টেডিয়াম করার ভূমি বিধান না থাকায় এবং বর্তমানে বাংলাদেশের সকল পৌরসভার চেয়ারম্যান পদবী বিলুপ্ত থাকায় বাংলাদেশের কোন প্রশাসনই পৌর সীমা এলাকায় বিদ্যমান ও নব নির্মিত স্টেডিয়ামগুলোর কোনটাই গ্রহন করার আইনগত বিধান নাই। ভুল ক্রমে কোন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি এইরুপ কোন স্টেডিয়ামের গ্রহীতা হলে অদূর ভবিষ্যতে স্বপ্রণোদিতভাবে তিনিও দুদকের মামলার আসামী হয়ে চাকরি হারানোর ও রাষ্ট্রীয় অর্থ জরিমানা প্রদানের আওতাভূক্ত হবেন। ছবিতে- ভোলা জেলার দূর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের জেলা সদর স্টেডিয়াম।































