০৯:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

তানোরে উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার প্রতারণায় অসংখ্য মানুষ নিঃস্ব

Reporter Name
  • Update Time : ০৫:১৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৬ Time View

মোঃ নাসিরউদ্দিন, ক্রাইম রিপোর্টার : রাজশাহীর তানোরে উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা  নামে একটি কথিত (এনজিও) গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে পালিয়েছে।অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী জামায়াত মতাদর্শী খাইরুল ইসলামের সহযোগিতায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি’র (এমআরএ) অনুমোদন ব্যতিত কথিত এনজিও ‘উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে রাতারাতি উধাও হয়েছে।
জানা গেছে ,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় প্রধান কার্যালয় করে তানোর ও নাচোলসহ বিভিন্ন উপজেলায় শাখা অফিস খুলে অবৈধভাবে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার নামে সাধারণ গ্রাহকদের উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দিয়ে ডিপিএস ও সঞ্চয় জমা নিয়ে রাতারাতি উধাও। এঘটনায় আবু বাক্কার,সেলিনা ও রিপন বাদি হয়ে সাইদুর রহমান,খাইরুল ইসলাম,সুমন ও মুকুলকে আসামি করে আদালতে একটি মামলাও করেছেন যা বিচারাধীন রয়েছে। আসামিরা কিছুদিন কারাভোগও করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের জামায়াত মতাদর্শী খাইরুল ইসলামের সহযোগিতায় মুন্ডুমালা পৌর সদরে একটি ভাড়া বাড়িতে উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার শাখা অফিস খোলা হয়। দশ বছরে জমা টাকা দিগুন ও এক লাখ টাকায় বছরে ১৫ হাজার টাকা মুনাফা দেবার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকের কাছে থেকে ডিপিএস ও সঞ্চয় জমা নেয়া হয়। চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, এরিয়া ম্যানেজার শিবরামপুর গ্রামের মৃত আজাদ আলীর পুত্র খায়রুল ইসলাম এবং মাঠকর্মী সাতপুকুরিয়া গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের পুত্র মুকুল ও শিবরামপুর গ্রামের শাহজাহানের পুত্র সুমন আলী।
এদিকে শিবরামপুর গ্রামের মাঞ্জেরা বেগম, সেলিনা, সুমন রানা ও রুবিনা অভিযোগ করে বলেন,এরিয়া ম্যানেজার খাইরুল ইসলামের কথা বিশ্বাস করে তারা উত্তরবঙ্গ সমিতিতে টাকা জমা করেছেন।খাইরুল তাদের বলেছিলেন তিনি গ্রামের মানুষ টাকা যদি খোয়া যায় তাহলে তিনি তার ক্ষতিপূরণ দিবেন। এবং তারা  খাইরুলের কাছে টাকা জমা দিয়েছেন। কিন্ত্ত হঠাৎ করেই সমিতি উধাও হয়েছে। এখন তারা খাইরুল ইসলামের কাছে টাকা চাইলে তিনি বলছেন,তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন টাকার বিষয়ে কিছুই করতে পারবেন না।অথচ খাইরুল সমিতির টাকা হাতিয়ে রাতারাতি বিপুল টাকার মারিক হয়েছেন।
এদিকে উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) শিবরামপুর গ্রামের ২২ জন গ্রাহকের কাছে থেকে ৬৬ লাখ টাকা নিয়েছে।
শিবরামপুর গ্রামের মহাসিন আলী হিসাব নম্বর ২৬৭, টাকা জমার পরিমাণ ৩ লাখ,আলতাফুর রহমান হিসাব নম্বর ৪৫০,জমা টাকার পরিমাণ ২ লাখ, মেরিনা হিসাব নম্বর ২২৩২ জমা টাকার পরিমান এক লাখ ৫ হাজার,রুবিনা হিসাব নম্বর ৪২৫ জমা টাকার পরিমাণ এক লাখ ৪০ হাজার ও সুমন রানা হিসাব নম্বর ৩৩৬ জমা টাকার পরিমান ৫ লাখ।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

তানোরে উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার প্রতারণায় অসংখ্য মানুষ নিঃস্ব

Update Time : ০৫:১৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

মোঃ নাসিরউদ্দিন, ক্রাইম রিপোর্টার : রাজশাহীর তানোরে উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা  নামে একটি কথিত (এনজিও) গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে পালিয়েছে।অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী জামায়াত মতাদর্শী খাইরুল ইসলামের সহযোগিতায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি’র (এমআরএ) অনুমোদন ব্যতিত কথিত এনজিও ‘উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে রাতারাতি উধাও হয়েছে।
জানা গেছে ,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় প্রধান কার্যালয় করে তানোর ও নাচোলসহ বিভিন্ন উপজেলায় শাখা অফিস খুলে অবৈধভাবে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার নামে সাধারণ গ্রাহকদের উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দিয়ে ডিপিএস ও সঞ্চয় জমা নিয়ে রাতারাতি উধাও। এঘটনায় আবু বাক্কার,সেলিনা ও রিপন বাদি হয়ে সাইদুর রহমান,খাইরুল ইসলাম,সুমন ও মুকুলকে আসামি করে আদালতে একটি মামলাও করেছেন যা বিচারাধীন রয়েছে। আসামিরা কিছুদিন কারাভোগও করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের জামায়াত মতাদর্শী খাইরুল ইসলামের সহযোগিতায় মুন্ডুমালা পৌর সদরে একটি ভাড়া বাড়িতে উত্তরবঙ্গ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার শাখা অফিস খোলা হয়। দশ বছরে জমা টাকা দিগুন ও এক লাখ টাকায় বছরে ১৫ হাজার টাকা মুনাফা দেবার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকের কাছে থেকে ডিপিএস ও সঞ্চয় জমা নেয়া হয়। চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, এরিয়া ম্যানেজার শিবরামপুর গ্রামের মৃত আজাদ আলীর পুত্র খায়রুল ইসলাম এবং মাঠকর্মী সাতপুকুরিয়া গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের পুত্র মুকুল ও শিবরামপুর গ্রামের শাহজাহানের পুত্র সুমন আলী।
এদিকে শিবরামপুর গ্রামের মাঞ্জেরা বেগম, সেলিনা, সুমন রানা ও রুবিনা অভিযোগ করে বলেন,এরিয়া ম্যানেজার খাইরুল ইসলামের কথা বিশ্বাস করে তারা উত্তরবঙ্গ সমিতিতে টাকা জমা করেছেন।খাইরুল তাদের বলেছিলেন তিনি গ্রামের মানুষ টাকা যদি খোয়া যায় তাহলে তিনি তার ক্ষতিপূরণ দিবেন। এবং তারা  খাইরুলের কাছে টাকা জমা দিয়েছেন। কিন্ত্ত হঠাৎ করেই সমিতি উধাও হয়েছে। এখন তারা খাইরুল ইসলামের কাছে টাকা চাইলে তিনি বলছেন,তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন টাকার বিষয়ে কিছুই করতে পারবেন না।অথচ খাইরুল সমিতির টাকা হাতিয়ে রাতারাতি বিপুল টাকার মারিক হয়েছেন।
এদিকে উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) শিবরামপুর গ্রামের ২২ জন গ্রাহকের কাছে থেকে ৬৬ লাখ টাকা নিয়েছে।
শিবরামপুর গ্রামের মহাসিন আলী হিসাব নম্বর ২৬৭, টাকা জমার পরিমাণ ৩ লাখ,আলতাফুর রহমান হিসাব নম্বর ৪৫০,জমা টাকার পরিমাণ ২ লাখ, মেরিনা হিসাব নম্বর ২২৩২ জমা টাকার পরিমান এক লাখ ৫ হাজার,রুবিনা হিসাব নম্বর ৪২৫ জমা টাকার পরিমাণ এক লাখ ৪০ হাজার ও সুমন রানা হিসাব নম্বর ৩৩৬ জমা টাকার পরিমান ৫ লাখ।