রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া আজ পর্যন্ত যারা ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে বৃহস্পতিবারের (১৩ মার্চ) পর থেকে আইন ভঙ্গ করে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে ডিএমএফ ডিগ্রিধারী সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের (স্যাকমো) কয়েকজন বিএমডিসি আইনকে চ্যালেঞ্জ করে নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করার জন্য আদালতে একটি রিট দায়ের করেন। ওই বছরের ৩০ এপ্রিল এই রিটের প্রথম শুনানি হয়, তারপর থেকে রিটটি আদালতে ৬৭ বার কজ লিস্টে আসে। তবে ব্যাখ্যাহীন কারণের ওপর শুনানি হয়নি। এরপর বহুবার রিটের শুনানি পেছানো হয়।
সর্বশেষ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ডাক্তার পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত ২৭৩০/২০১৩ এবং ডাক্তার পদবি সংক্রান্ত ‘বিএমডিসি অ্যাক্ট ২০১০ এর ধারা ২৯’কে চ্যালেঞ্জ করে ১৩০৪৬/২০২৪—এই দুটি রিটের শুনানি হয়। ওই দিন রিটটির ৯১তম শুনানি ছিল। আদালত উভয় রিটের রায় ঘোষণার জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য করেন।
এদিকে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পাঁচ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন চিকিৎস এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সকল চিকিৎস এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীরা যোগ দিয়েছেন। নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার হতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবেন তারা।
কর্মসূচির আওতায় সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন সারা দেশের মেডিকেল এবং ডেন্টাল শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া সরকারি বেসরকারি সব হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোর সেবা বন্ধ রয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, বৈকালিক সেবায়ও বন্ধ রাখবেন চিকিৎসকরা। তবে হাসপাতালের জরুরি সেবা বিশেষ করে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ), ক্যাজুয়ালটি বিভাগ, এডমিশন ইউনিট, লেবার ওয়ার্ড চালু থাকবে।
চিকিৎসকরা বলেন, জনসাধারণকে অপচিকিৎসার হাত থেকে রক্ষা করে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্য খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং চিকিৎসা পেশায় মর্যাদা রক্ষায় চিকিৎসক সমাজ পাঁচ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চলমান আমলাতান্ত্রিত কূটকৌশলের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ডাক দেওয়া হয়েছে।
রায়ে আদালত বলেছে, এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া আজ পর্যন্ত যারা ডাক্তার পদবি ব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে বৃহস্পতিবার থেকে আইন ভঙ্গ করে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া অন্য কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না– এই নিয়মসহ পাঁচ দফা দাবিতে সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কর্মবিরতির মধ্যেই আদালতের এ সিদ্ধান্ত এল।
মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন, যাদের একটি দাবি হল তাদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ লেখার বৈধতা দেওয়া। এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসকরা সেটি মানতে রাজি নন।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন হয়। ‘ডিএমএফ’ (ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি) ডিগ্রিধারীদের (ডিপ্লোমাধারী হিসেবে নিবন্ধিত) ক্ষেত্রে আইনটির ‘বৈষম্যমূলক প্রয়োগের’ অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন আহ্বায়ক শামসুল হুদাসহ অন্যরা ২০১৩ সালে একটি আবেদন রিট করেন।
ওই আইনের ২৯ ধারার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিশনের সভাপতি ও সেক্রেটারি গত বছর অপর রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ১১ মার্চ হাই কোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়। দ্বিতীয় রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৫ নভেম্বর হাই কোর্ট রুল দেয়।
রুলে ‘বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০’ এর ২৯ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
এ দুটি রিটের ওপর একসঙ্গে শুনানি শেষে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টের এই বেঞ্চ রায়ের জন্য ১২ মার্চ দিন ধার্য করে।
এই রায়কে কেন্দ্র করে পাঁচ দফা দাবিতে বুধবার সকাল থেকে সব সরকারি হাসপাতালে ইনডোর ও আউটডোর সেবা বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। তবে হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু রাখা হয়েছে।
রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মনির ও মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম সাইফুল করিম শুনানি করেন। মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কাজী এরশাদুল আলম।
রায়ের পর সাদ্দাম হোসেন বলেন, “আদালত রায়ে বলেছে, এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে এ পর্যন্ত যারা এ পদবি ব্যবহার করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আদালত আরও বলেছেন, এরপর ব্যবহার করলে শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারবে ।
It’s appropriate time to make some plans for the future and it is time to be happy. I’ve read this post and if I could I want to suggest you few interesting things or advice. Maybe you can write next articles referring to this article. I wish to read more things about it!
You actually make it appear so easy with your presentation but I to find this matter to be actually one thing that I feel I’d never understand. It kind of feels too complex and extremely vast for me. I’m having a look ahead in your next post, I will try to get the hold of it!