১২:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

রোহিঙ্গা শরণার্থী মিয়ানমারে পঠানো হোক ——- মোশারফ হোসেন

Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৪৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৩৯ Time View

মরার উপর খারার ঘা । আমাদের বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র জনবহুল দেশ
হিসেবে চিহ্নিত। আমাদের অভাব শেষ হয় না, এরমধ্যে বাহাবা পাওয়ার লক্ষে
রোহিঙ্গাদের প্রবেশের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়। একেই বলে বাপ দাদার নামনেই চাঁন
মোল্লার বিয়াই। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের হিসেব অনুযায়ী, ২৫ আগস্ট ২০১৭
সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দ্বারা শুরু হওয়া গণহত্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে
প্রায় ৬,৫৫,০০০ থেকে ৭,০০,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বিগত
তিন দশক ধরে মিয়ানমার সরকারের সহিংস নির্যাতন থেকে ৩,০০,০০০ এর অধিক
রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে অবস্থান করছে। এ মুহূর্তে কক্সবাজারে সব মিলিয়ে
অন্তত ২২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ৭৩ তম জাতিসংঘের
সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে
বাংলাদেশে এখন ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। রোহিঙ্গা মিয়ানমারের

একটি মুসলিম সংখ্যালঘু জাতি, যাদেরকে অনেক মিয়ানমারের বৌদ্ধরা বাংলাদেশের
অবৈধ অভিবাসী হিসাবে গণ্য করে।  রোহিঙ্গারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারে
বসবাস করে আসছে এবং বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমার সরকারকে শরণার্থীদের ফিরিয়ে
নেবার জন্য বলছে। মিয়ানমারে তাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং
তাদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাচারিত সংখ্যালঘু হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বিশ্বের
বড় বড় দেশের কর্তারা বাংলাদেশের উপর এতবড় জুলুম কেন চাপিয়ে দিল ? যেহেতু
আমাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। আমাদের নিজেদের থাকার জায়গা নাই। একমাস
দুইমাস না বছরের পর বছর রোহিঙ্গাদের দেখভাল করতে হচ্ছে। রোহিঙ্গারা মুসলিম
ঠিকই কিন্তু খুব ভাল চরিত্রের না। আমরা  মনে করি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্বারা
পার্বত্য চট্রগ্রাম এলাকাটির পর্যটন প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শরণার্থীদের
অপরাধ এবং কক্সবাজারে ২০১২ রামু সহিংসতার জন্যও দোষারূপ করা হয়। বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের এদেশে অনাগমনমুখী নীতি তৈরির অনুসরণ করছে। অধিকাংশ
শরণার্থী অনিবন্ধিত রয়ে গেছে, শুধুমাত্র ৩২ হাজার শরণার্থী
নিজেদের ইউএনএইচসিআর এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে নিবন্ধন করেছে। আনুমানিক
২,০০,০০০-এর অধিক শরণার্থী অনিবন্ধিত অবস্থায় বাংলাদেশে বসবাস করছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ডিসেম্বর ২০১৬-এর একটি প্রতিবেদনে বলেছে
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ধর্ষণ, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, এবং রোহিঙ্গাদের
বাসভবন দখলে তত্ত্বাবধান করছে।পার্বত্য চট্টগ্রামে শরণার্থীরা আদিবাসী
জনগোষ্ঠী সরিয়ে দিচ্ছে।  শরণার্থী রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের তৈরী মরনঘাতক
নেশা ইয়াবা আমদানি করে আমাদের নিস্পাপ যুব সমাজকে ধ্বংশের পথে ঠেলে দিচ্ছে।
আর কিছুদিন এরা শরণার্থীর সার্টিফিকেট নিয়ে বসবাস করলে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে

পার্বত্য চট্রগ্রাম তাদের আবাস ভূমি হয়ে যাবে। শরণার্থী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা এ
পর্যন্ত মোট ২ হাজার বাংলাদেশীকে নির্মমভাবে করেছে।  ১। ওমর ফারুক(সাবেক
সভাপতি, জাদিমুরা এমআর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) – জাদিমুড়া, হ্নীলা, টেকনাফ
২২ আগস্ট -২০১৯ ইং। ২। ২০ অক্টোবর -২০১৯ টেকনাফ উপজেলার শাপলাপুর
ইউনিয়ের ২ কিশোরী (লাকি ও তসলিমা) অপহরণ করেছে কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী।
৩। টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজার এলাকার দুই ভাইকে কতিপয়
রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে
রেখেছিল। ৩ মে ২০২০ সালে পুলিশ আকতারুল্লাহ নামে একজনের লাশ উদ্ধার করে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজারের মৌলভী আবুল কাছিমের ছেলে আক্তারুল্লাহ
(২৪)। অপহৃত অপর দুজন হলেন মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ শাহেদ (২৫), মৃত
মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩০)।
৪। ২০২১ সালের ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৩টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে
মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে হানা দেয়া ভাড়াটে কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এ সময়
তাঁকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী মোহসেনা আক্তারকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে খুন
করে তাঁরা। ৫। ৩০ জুন রাতে হোয়াইক্যং শামলাপুর সড়ক হয়ে ফেরার স্থানীয় মাহমুদুল
করিম ও মিজানুর রহমান রোহিঙ্গাদের হাতে অপহরণের শিকার হন। দুদিন পরে
মুক্তিপণ দিয়ে মিজান ফিরলেও মাহমুদুল করিমের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে বসে
সশস্ত্র কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। বিকাশে কয়েক দফায় ৫৫ হাজার টাকা নিলেও
মুক্তি মেলেনি তাঁর। একপর্যায়ে ১ মাস ১২ দিন পরে পাহাড়ে তাঁর অর্ধগলিত লাশ মেলে।
এছাড়া তাঁদের হাতে খুন হন। ৬। টেকনাফ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি
সিরাজুল ইসলাম। ৭। ২০১৮ সালে হোয়াইক্যং উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি আব্দুর রশিদ।
নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা শুভ করার দরকার নাই। বিশ্বের ধনীদেশের কর্তারা
একটু সহযোগিতা করে বাংলাদেশ থেকে রোহিংঙ্গাদেরকে তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত
পাঠানোর ব্যবস্থা করলে ভাল হত।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

রোহিঙ্গা শরণার্থী মিয়ানমারে পঠানো হোক ——- মোশারফ হোসেন

Update Time : ০৪:৪৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

মরার উপর খারার ঘা । আমাদের বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র জনবহুল দেশ
হিসেবে চিহ্নিত। আমাদের অভাব শেষ হয় না, এরমধ্যে বাহাবা পাওয়ার লক্ষে
রোহিঙ্গাদের প্রবেশের জন্য সীমান্ত খুলে দেয়। একেই বলে বাপ দাদার নামনেই চাঁন
মোল্লার বিয়াই। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের হিসেব অনুযায়ী, ২৫ আগস্ট ২০১৭
সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দ্বারা শুরু হওয়া গণহত্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে
প্রায় ৬,৫৫,০০০ থেকে ৭,০০,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বিগত
তিন দশক ধরে মিয়ানমার সরকারের সহিংস নির্যাতন থেকে ৩,০০,০০০ এর অধিক
রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে অবস্থান করছে। এ মুহূর্তে কক্সবাজারে সব মিলিয়ে
অন্তত ২২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ৭৩ তম জাতিসংঘের
সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে
বাংলাদেশে এখন ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। রোহিঙ্গা মিয়ানমারের

একটি মুসলিম সংখ্যালঘু জাতি, যাদেরকে অনেক মিয়ানমারের বৌদ্ধরা বাংলাদেশের
অবৈধ অভিবাসী হিসাবে গণ্য করে।  রোহিঙ্গারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারে
বসবাস করে আসছে এবং বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমার সরকারকে শরণার্থীদের ফিরিয়ে
নেবার জন্য বলছে। মিয়ানমারে তাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং
তাদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাচারিত সংখ্যালঘু হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বিশ্বের
বড় বড় দেশের কর্তারা বাংলাদেশের উপর এতবড় জুলুম কেন চাপিয়ে দিল ? যেহেতু
আমাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। আমাদের নিজেদের থাকার জায়গা নাই। একমাস
দুইমাস না বছরের পর বছর রোহিঙ্গাদের দেখভাল করতে হচ্ছে। রোহিঙ্গারা মুসলিম
ঠিকই কিন্তু খুব ভাল চরিত্রের না। আমরা  মনে করি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্বারা
পার্বত্য চট্রগ্রাম এলাকাটির পর্যটন প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শরণার্থীদের
অপরাধ এবং কক্সবাজারে ২০১২ রামু সহিংসতার জন্যও দোষারূপ করা হয়। বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের এদেশে অনাগমনমুখী নীতি তৈরির অনুসরণ করছে। অধিকাংশ
শরণার্থী অনিবন্ধিত রয়ে গেছে, শুধুমাত্র ৩২ হাজার শরণার্থী
নিজেদের ইউএনএইচসিআর এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে নিবন্ধন করেছে। আনুমানিক
২,০০,০০০-এর অধিক শরণার্থী অনিবন্ধিত অবস্থায় বাংলাদেশে বসবাস করছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ডিসেম্বর ২০১৬-এর একটি প্রতিবেদনে বলেছে
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ধর্ষণ, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, এবং রোহিঙ্গাদের
বাসভবন দখলে তত্ত্বাবধান করছে।পার্বত্য চট্টগ্রামে শরণার্থীরা আদিবাসী
জনগোষ্ঠী সরিয়ে দিচ্ছে।  শরণার্থী রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের তৈরী মরনঘাতক
নেশা ইয়াবা আমদানি করে আমাদের নিস্পাপ যুব সমাজকে ধ্বংশের পথে ঠেলে দিচ্ছে।
আর কিছুদিন এরা শরণার্থীর সার্টিফিকেট নিয়ে বসবাস করলে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে

পার্বত্য চট্রগ্রাম তাদের আবাস ভূমি হয়ে যাবে। শরণার্থী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা এ
পর্যন্ত মোট ২ হাজার বাংলাদেশীকে নির্মমভাবে করেছে।  ১। ওমর ফারুক(সাবেক
সভাপতি, জাদিমুরা এমআর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) – জাদিমুড়া, হ্নীলা, টেকনাফ
২২ আগস্ট -২০১৯ ইং। ২। ২০ অক্টোবর -২০১৯ টেকনাফ উপজেলার শাপলাপুর
ইউনিয়ের ২ কিশোরী (লাকি ও তসলিমা) অপহরণ করেছে কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী।
৩। টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজার এলাকার দুই ভাইকে কতিপয়
রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে
রেখেছিল। ৩ মে ২০২০ সালে পুলিশ আকতারুল্লাহ নামে একজনের লাশ উদ্ধার করে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজারের মৌলভী আবুল কাছিমের ছেলে আক্তারুল্লাহ
(২৪)। অপহৃত অপর দুজন হলেন মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ শাহেদ (২৫), মৃত
মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩০)।
৪। ২০২১ সালের ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৩টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে
মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে হানা দেয়া ভাড়াটে কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এ সময়
তাঁকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী মোহসেনা আক্তারকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে খুন
করে তাঁরা। ৫। ৩০ জুন রাতে হোয়াইক্যং শামলাপুর সড়ক হয়ে ফেরার স্থানীয় মাহমুদুল
করিম ও মিজানুর রহমান রোহিঙ্গাদের হাতে অপহরণের শিকার হন। দুদিন পরে
মুক্তিপণ দিয়ে মিজান ফিরলেও মাহমুদুল করিমের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে বসে
সশস্ত্র কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। বিকাশে কয়েক দফায় ৫৫ হাজার টাকা নিলেও
মুক্তি মেলেনি তাঁর। একপর্যায়ে ১ মাস ১২ দিন পরে পাহাড়ে তাঁর অর্ধগলিত লাশ মেলে।
এছাড়া তাঁদের হাতে খুন হন। ৬। টেকনাফ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি
সিরাজুল ইসলাম। ৭। ২০১৮ সালে হোয়াইক্যং উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি আব্দুর রশিদ।
নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা শুভ করার দরকার নাই। বিশ্বের ধনীদেশের কর্তারা
একটু সহযোগিতা করে বাংলাদেশ থেকে রোহিংঙ্গাদেরকে তাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত
পাঠানোর ব্যবস্থা করলে ভাল হত।