০৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান, ৭ জনকে কারাদণ্ড

Reporter Name
  • Update Time : ১১:১৩:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৮০ Time View
 মোহাম্মদ হানিফ নোয়াখালী প্রতিনিধি:
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হয়রানি করার অভিযোগে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৭ জন দালালকে আটক করেছে জেলা প্রশাসন ও র‍্যাব। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে তাদের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের অভ্যন্তরে এবং আশপাশের এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাব হোসাইন এবং র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুন্ডু।
মিলন (৩৫), হারুন (৩৪) ও সজিব (২৫)  প্রত্যেকে ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড রতন (৩৮)  ৩০ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড. আকরাম হোসেন (২৫)  ৭ দিন কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা জরিমানা. স্বপন (৪৪) ও মাসুদ (৪৫)  প্রত্যেকে ১৫ দিন কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা জরিমানা
দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সক্রিয় একটি দালালচক্র সরকারি হাসপাতালে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন ও ভুল তথ্য দিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠিয়ে দিত। এর মাধ্যমে তারা প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিত। এছাড়াও রোগীদের নিকট থেকে ভুয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে ৭ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয় এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাৎক্ষণিকভাবে দণ্ড প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাব হোসাইন বলেন,হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্যে রোগীদের চিকিৎসা সেবায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছিল। তাই জনস্বার্থে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুন্ডু জানান,
রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এবং হাসপাতালের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে এসব দালালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযানে আটকদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।এই ধরনের অভিযান রোগীদের জন্য নিরাপদ ও হয়রানিমুক্ত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

One thought on “নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান, ৭ জনকে কারাদণ্ড

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান, ৭ জনকে কারাদণ্ড

Update Time : ১১:১৩:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
 মোহাম্মদ হানিফ নোয়াখালী প্রতিনিধি:
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হয়রানি করার অভিযোগে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৭ জন দালালকে আটক করেছে জেলা প্রশাসন ও র‍্যাব। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে তাদের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের অভ্যন্তরে এবং আশপাশের এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাব হোসাইন এবং র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুন্ডু।
মিলন (৩৫), হারুন (৩৪) ও সজিব (২৫)  প্রত্যেকে ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড রতন (৩৮)  ৩০ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড. আকরাম হোসেন (২৫)  ৭ দিন কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা জরিমানা. স্বপন (৪৪) ও মাসুদ (৪৫)  প্রত্যেকে ১৫ দিন কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা জরিমানা
দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সক্রিয় একটি দালালচক্র সরকারি হাসপাতালে আসা রোগীদের নানা প্রলোভন ও ভুল তথ্য দিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠিয়ে দিত। এর মাধ্যমে তারা প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন নিত। এছাড়াও রোগীদের নিকট থেকে ভুয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে ৭ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয় এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাৎক্ষণিকভাবে দণ্ড প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরাব হোসাইন বলেন,হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্যে রোগীদের চিকিৎসা সেবায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছিল। তাই জনস্বার্থে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুন্ডু জানান,
রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এবং হাসপাতালের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে এসব দালালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযানে আটকদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।এই ধরনের অভিযান রোগীদের জন্য নিরাপদ ও হয়রানিমুক্ত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।