দেশে বর্তমান সন্ত্রাস, নৈরাজ্য বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

- Update Time : ০২:৪৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৮ Time View
অদ্য ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি শফিকুল আলম বাবুল এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তফার সঞ্চালনায় দেশে বর্তমান সন্ত্রাস, নৈরাজ্য বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জোটের কেন্দ্রীয় নেতা কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, মিলন মল্লিক, বাউলশিল্পী করিম শাহ, অভিনেতা এবি বাদল, সঙ্গীতশিল্পী মোঃ রূপক চৌধুরী, রায়হান সুলতান নেহা, জেসমিন আক্তার আনিতা, মোঃ মঞ্জু প্রমুখ। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব রাজু আহমেদ সুজন।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে বর্তমানে যে ভয়াবহ সন্ত্রাস, নৈরাজ্য চলছে এতে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, আইন শৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে মানুষ মানুষকে মেরে ফেলেছে। অথচ প্রশাসনের সামনে ঘটনা ঘটলেও তারা দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। মনে হচ্ছে দেশের প্রশাসন সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। দুই দিন আগে ভোলাতে ১ আলেমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিছুদিন আগে ঢাকার চকবাজারে মানুষের সামনে এক ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা করা হয়েছে। গাজীপুরে একটি গার্মেন্টস এ একজন শ্রমিককে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে রাতভর পিটিয়ে হত্যা করেছে, গাজীপুরে একজন সাংবাদিককে শত মানুষের সামনে পিটিয়ে হত্যা করেছে। অসংখ্য হত্যা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। কেউ প্রতিবাদ করতে তাৎক্ষনিক আসেনি। দেশটা মনে হয় সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। এমতাবস্থায় এই অরাজগতা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা মনে করি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত জরুরী। কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই অরাজগতা থেকে দেশ রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। রাত গভীর হলেই ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হয় অনেক অপরাধীরা। রাস্তায় চলাচলে জীবনের হুমকি হয়ে দাড়ায়। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোন প্রকার তৎপরতা নেই। দেশে চলছে রাজনীতির প্রতিহিংসা। শুধু একে অপরকে দোসারোপ করা ছাড়া এদের আর কোন কাজ নেই। সোস্যাল মিডিয়ায় কিছুদিন আগে দেখলাম ১টি সিনেমার শুটিং এরদৃশ্য ক্যাপসন দেওয়া বিএনপির লোক হামলা করেছে, অথচ বিষয়টি শুধুমাত্র অভিনয়, তাই আমরা রাজণৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানাই আপনারা একে অন্যের উপর দোষ না দিয়ে কিভাবে দেশটাকে সন্ত্রাস, দুর্নীতিমুক্ত করা যায়, এটি নিয়ে এগিয়ে আসুন।
সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও উদার গণতন্ত্র চর্চার উদ্দেশ্য পূরণের জন্য আমরা মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু সেই স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।(সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)