রাসূল (সাঃ) এর আদর্শ বুকে ধারণ করে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে : জাতীয় ঐক্য জোট

- Update Time : ১১:৫৬:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৫৫ Time View

জাতীয় ঐক্য জোটের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের প্রধান সমন্বয়কারী ও ইসলামী জনকল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা আলতাফ হোসাইন মোল্লার সভাপতিত্বে ও জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদ হোসেনের পরিচালনায় সিরাতুন্নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর আলোচনা সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, রাসুল (সাঃ) এর পৃথিবীতে আগমন হয়েছে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে। অন্যান্য নবী রাসূলগণ নিজ নিজ জাতির উপর আগমন ঘটলেও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আগমন ঘটেছিল সারা পৃথিবীর মানবজাতির উপর। নবীর আদর্শের প্রথম ভিত্তি হল তিনি ছিলেন আল আমিন অর্থাৎ বিশ্বাসী। মক্কা নগরী ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন বর্বর জাতিদের আবাসস্থল। যেখানে অর্থনীতির অবস্থা ছিল নাজুক। নারীদের সম্ভ্রম ইজ্জত ছিল মূল্যহীন। নারীরা একা চলতে পারত না। খুন ধর্ষণ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছিল। সেই অন্ধকার বর্বর জাতির উপর মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন রাসূল (সাঃ) এর আগমন ঘটালেন বিশ্ব শান্তির প্রতীক হিসেবে। মক্কা যখন বিজয় হল তখন কাফেররা আতঙ্কগ্রস্ত ছিল। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ঘোষণা করলেন এই মক্কা নগরী আজ থেকে সবার জন্য নিরাপদ। বিধর্মীরা মক্কা নগরীতে বসবাস করতে পারবে কিন্তু শর্ত হলো তাদেরকে জিজিয়া কর দিতে হবে। রাসুল (সাঃ) যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতির ব্যবস্থা করলেন। যার মাধ্যমে দ্রুত মক্কার অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হল। পর্দার বিধান করলেন,, ব্যভিচার ধর্ষণ বন্ধ হয়ে গেল। হত্যা বন্ধে কেসাস আইন অর্থাৎ হত্যার বদলে হত্যা চালু করলেন, হত্যা বন্ধ হয়ে গেল। এইভাবে কোরআনের বাণী শরিয়া আইন চালুর মাধ্যমে অন্ধকারাচ্ছন্ন বর্বর মক্কা নগরীতে শান্তির আলো ফিরে এলো। আমাদেরকেও রাসুল (সাঃ) এর আদর্শ বুকে ধারণ করে আগামী দিনে বাংলাদেশে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, দেশ প্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম, গণ আজাদী লীগের চেয়ারম্যান আতাউল্লাহ খান, ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টি চেয়ারম্যান প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, একামতে ইসলাম আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি মাহবুবুর রহমান বিননুরী, একামতে ইসলাম আন্দোলনের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মাও. মো. ইসমাইল খান, মুক্তির লড়াই পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন ভুঁইয়া, বাংলাদেশ জেনারেশন পার্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টির সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রফিক উল্লাহ ভূঞা প্রমুখ।