০৫:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সুযোগের দাবিতে অবস্থান

Reporter Name
  • Update Time : ১০:৪৯:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৬৭ Time View

দেশের সব কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সরকার ঘোষিত বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ এবং এ বিষয়ে ১৭ জুলাইয়ের পরিপত্র বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে শান্তিপূর্ণ এই অবস্থান শুরু হয়। এ সময় ঐক্যপরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ ইস্কান্দার আলী হাওলাদার, মহাসচিব রেজাউল হক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন। এতে সারা দেশ থেকে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকরা জড়ো হন।

id

এক পর্যায়ে শিক্ষকদের ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামানের সঙ্গে আলোচনা করতে যান।

এ সময় মহাপরিচালক বলেছেন, একই বিষয়ে কে বা কাহারা আদালতে রিট পিটিশন করেছেন বিধায় আদালতের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।

পরে আন্দোলনকারীরা জানান, আমরা পরবর্তী রায়ের অপেক্ষায় আছি, রায় যদি বৈষম্যমূলক হয় তবে আমাদের কর্মসূচি কঠোর থেকে কঠোরতার হবে। দুপুর একটার দিকে তাদের কর্মসূচি শেষ হয়।

এর আগে গত ১৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (সাধারণ প্রশাসন) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দীর্ঘ ১৬ বছর পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা চালুর বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয় চলতি বছর থেকেই ডিসেম্বরের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে আলাদাভাবে এ বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। চারটি বিষয়ে এই পরীক্ষা আগামী ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষা নেওয়া হবে-বাংলা, ইংরেজি, প্রাথমিক গণিত এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ও প্রাথমিক বিজ্ঞান (এই দু’টি বিষয় একত্রে ধরা হবে)। প্রতিটি বিষয়ে পূর্ণমান থাকবে ১০০ এবং সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ হলো—সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।

এর আগে ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালু হওয়ার পর থেকে বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০২২ সালে এটি আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা চালু করা হয়নি। তবে বিকল্প হিসেবে বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় মেধাবৃত্তি। এছাড়া দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য চালু রাখা হয় উপবৃত্তি।
তবে সরকারের এই বৃত্তির সিদ্ধান্তে কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুলগুলোতে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকেও বৃত্তির সুযোগ দিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন শিক্ষকরা ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সুযোগের দাবিতে অবস্থান

Update Time : ১০:৪৯:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

দেশের সব কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সরকার ঘোষিত বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ এবং এ বিষয়ে ১৭ জুলাইয়ের পরিপত্র বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে শান্তিপূর্ণ এই অবস্থান শুরু হয়। এ সময় ঐক্যপরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ ইস্কান্দার আলী হাওলাদার, মহাসচিব রেজাউল হক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন। এতে সারা দেশ থেকে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকরা জড়ো হন।

id

এক পর্যায়ে শিক্ষকদের ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামানের সঙ্গে আলোচনা করতে যান।

এ সময় মহাপরিচালক বলেছেন, একই বিষয়ে কে বা কাহারা আদালতে রিট পিটিশন করেছেন বিধায় আদালতের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।

পরে আন্দোলনকারীরা জানান, আমরা পরবর্তী রায়ের অপেক্ষায় আছি, রায় যদি বৈষম্যমূলক হয় তবে আমাদের কর্মসূচি কঠোর থেকে কঠোরতার হবে। দুপুর একটার দিকে তাদের কর্মসূচি শেষ হয়।

এর আগে গত ১৭ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (সাধারণ প্রশাসন) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দীর্ঘ ১৬ বছর পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা চালুর বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয় চলতি বছর থেকেই ডিসেম্বরের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে আলাদাভাবে এ বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। চারটি বিষয়ে এই পরীক্ষা আগামী ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষা নেওয়া হবে-বাংলা, ইংরেজি, প্রাথমিক গণিত এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ও প্রাথমিক বিজ্ঞান (এই দু’টি বিষয় একত্রে ধরা হবে)। প্রতিটি বিষয়ে পূর্ণমান থাকবে ১০০ এবং সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ হলো—সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।

এর আগে ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালু হওয়ার পর থেকে বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০২২ সালে এটি আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা চালু করা হয়নি। তবে বিকল্প হিসেবে বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় মেধাবৃত্তি। এছাড়া দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য চালু রাখা হয় উপবৃত্তি।
তবে সরকারের এই বৃত্তির সিদ্ধান্তে কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুলগুলোতে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকেও বৃত্তির সুযোগ দিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন শিক্ষকরা ।