১০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

শান্তি রঞ্জন দাস ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হয়েই কোটিপতি!

Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৪৪ Time View


ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শান্তি রঞ্জন দাস । তৃতীয় শ্রেণির এই চাকরি ১১তম গ্রেডের এই
চাকরি করেই কোটিপতি তিনি। বাস করেন নরসিংদী শহরের প্রাণকেন্দ্র মালাকার মোড়েরর তার নিজস্ব
বিলাসবহুল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ফ্ল্যাটে।


অভিযোগ উঠেছে, এই চাকরি করেই সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বাবু শান্তি রঞ্জন দাস আয়ের সঙ্গে
নজিরবিহীন এমন বৈসাদৃশ্য থাকা এ ভূমি কর্মকর্তা বর্তমানে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার
মহেশপুর ইউনিয়নে ও চাঁনপুর ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। জানা গেছে, শান্তি রঞ্জন দাস উচ্চ
মাধ্যমিক পাস করার পর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী পদে যোগ দেন। পরে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী হিসেবে
পদোন্নতি পান। এরপরই কপাল খুলে যায় এ কর্মকর্তার। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মাত্র কয়েক
বছরের ব্যবধানে জমি খারিজ, খাজনা, নামজারি ও পর্চার কাজে ঘুস নিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েন তিনি।
ইতোমধ্যে তিনি বিভিন্ন জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করে গ্রাম বাংলার সহজ সরল মানুষের খাজনা
পরিশোধের নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। খাজনা পরিশোধ রসিদ ছাড়া জমি বেচা কেনা হয় না।
তাই সুযোগে সে প্রতি খতিয়ানের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাজনার টাকা থেকে প্রতি রসিদে ২/৪ হাজার
টাকা ঘুষ দিতে হয় বলে নির্যাতিত জনগন জানিয়েছেন। সাধারন মানুষ নামজারী করতে গেলে প্রতি
নামজারীতে কমপক্ষে ৫০/৬০ হাজার তাকে ঘুষ দিতে হয়। ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে যত অবৈধ
রোজগারকৃত টাকা ভারতে তার নিকট আত্মীয়ের কাছে পাঠিয়ে অনেক সম্পদ গড়েছে বলে তার গ্রামের
বাড়ীর লোকেজন জানিয়েছেন। তথ্যানুসন্ধান ও সরেজমিনে ঘুরে আরও জানা যায়, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা
শান্তি রঞ্জন দাস শুধু নিজের নামেই নয়, স্ত্রীর নামেও বিভিন্ন স্থানে জায়গা-জমি ও ফ্ল্যাট কিনেছেন।
রয়েছে ব্যাংক-ব্যালেন্স ও এফডিআর।
ছাড়তে পারেননি ঘুস নেওয়া। শান্তি রঞ্জন দাসের আঙুল ফুলে কলা গাছ হওয়ায় বিস্মিত আত্মীয়স্বজন ও
স্থানীয়রা । নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার এক স্বজন বলেন, শান্তি রঞ্জন দাস ইউনিয়ন সহকারী ভূমি
কর্মকর্তা হয়েই ঘুস লেনদেনে জড়িয়ে পড়েন । এসব কারণে অল্প সময়ে অনেক অভিযোগে কয়েকবার
বদলিও হয়েছেন। কিন্তু ঘুস নেওয়ার নীতিগত অভ্যাস আজও ছাড়তে পারেননি । বৈষম্য বিরোধী
আন্দোলনের অন্তরবর্তী কালীন সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে বলে সকলেরই ধারনা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

শান্তি রঞ্জন দাস ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হয়েই কোটিপতি!

Update Time : ০৮:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫


ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শান্তি রঞ্জন দাস । তৃতীয় শ্রেণির এই চাকরি ১১তম গ্রেডের এই
চাকরি করেই কোটিপতি তিনি। বাস করেন নরসিংদী শহরের প্রাণকেন্দ্র মালাকার মোড়েরর তার নিজস্ব
বিলাসবহুল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ফ্ল্যাটে।


অভিযোগ উঠেছে, এই চাকরি করেই সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বাবু শান্তি রঞ্জন দাস আয়ের সঙ্গে
নজিরবিহীন এমন বৈসাদৃশ্য থাকা এ ভূমি কর্মকর্তা বর্তমানে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার
মহেশপুর ইউনিয়নে ও চাঁনপুর ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। জানা গেছে, শান্তি রঞ্জন দাস উচ্চ
মাধ্যমিক পাস করার পর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী পদে যোগ দেন। পরে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী হিসেবে
পদোন্নতি পান। এরপরই কপাল খুলে যায় এ কর্মকর্তার। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মাত্র কয়েক
বছরের ব্যবধানে জমি খারিজ, খাজনা, নামজারি ও পর্চার কাজে ঘুস নিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েন তিনি।
ইতোমধ্যে তিনি বিভিন্ন জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করে গ্রাম বাংলার সহজ সরল মানুষের খাজনা
পরিশোধের নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। খাজনা পরিশোধ রসিদ ছাড়া জমি বেচা কেনা হয় না।
তাই সুযোগে সে প্রতি খতিয়ানের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খাজনার টাকা থেকে প্রতি রসিদে ২/৪ হাজার
টাকা ঘুষ দিতে হয় বলে নির্যাতিত জনগন জানিয়েছেন। সাধারন মানুষ নামজারী করতে গেলে প্রতি
নামজারীতে কমপক্ষে ৫০/৬০ হাজার তাকে ঘুষ দিতে হয়। ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে যত অবৈধ
রোজগারকৃত টাকা ভারতে তার নিকট আত্মীয়ের কাছে পাঠিয়ে অনেক সম্পদ গড়েছে বলে তার গ্রামের
বাড়ীর লোকেজন জানিয়েছেন। তথ্যানুসন্ধান ও সরেজমিনে ঘুরে আরও জানা যায়, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা
শান্তি রঞ্জন দাস শুধু নিজের নামেই নয়, স্ত্রীর নামেও বিভিন্ন স্থানে জায়গা-জমি ও ফ্ল্যাট কিনেছেন।
রয়েছে ব্যাংক-ব্যালেন্স ও এফডিআর।
ছাড়তে পারেননি ঘুস নেওয়া। শান্তি রঞ্জন দাসের আঙুল ফুলে কলা গাছ হওয়ায় বিস্মিত আত্মীয়স্বজন ও
স্থানীয়রা । নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার এক স্বজন বলেন, শান্তি রঞ্জন দাস ইউনিয়ন সহকারী ভূমি
কর্মকর্তা হয়েই ঘুস লেনদেনে জড়িয়ে পড়েন । এসব কারণে অল্প সময়ে অনেক অভিযোগে কয়েকবার
বদলিও হয়েছেন। কিন্তু ঘুস নেওয়ার নীতিগত অভ্যাস আজও ছাড়তে পারেননি । বৈষম্য বিরোধী
আন্দোলনের অন্তরবর্তী কালীন সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে বলে সকলেরই ধারনা।