১২:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

বাঁশখালীতে পারিবারিক বিরোধে মামলায় জড়ানো ও চলাচল পথ বন্ধ করে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

Reporter Name
  • Update Time : ১২:০৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • / ১৫১ Time View
আনিছুর রহমান , ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রাম বাঁশখালী কাথরিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে সুজন দাশ নামের এক গরীব রিকশা চালককে একের পর এক মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার পাশাপাশি চলাচল পথে পাকা দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার মত জঘন্য অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় অরুণ দাশ ও বিজয় দাশের নেতৃত্বে একটি চক্র বাঁশখালীর কাথরিয়া চুনতি বাজারের রিকশা চালক এসোসিয়েশনের সদস্য সুজন দাশকে এর আগেও মারধর ও মিথ্যা মামলা দেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এই ঘটনায় শনিবার (২১ জুন) বিকেলে বিক্ষোভ করেছে শত শত মানুষ।
জানা গেছে, রিকশা চালক সুজনকে গ্রেপ্তারের পর প্রভাবশালীরা চলাচল পথে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে জনগনের চলাচল পথও বন্ধ করে দিয়েছে।
বিষয়টি তদন্তপূর্বক নিরীহ রিকশা চালককে মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় দিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানান, গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চুনতি বাজার থেকে যাত্রীবেসে তার মোটর রিকশায় চড়ে কৌশলে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। প্রথমে চুনতি বাজার থেকে বেড়িবাঁধ সেখান থেকে বাহারছড়া বশিরুল্লাহ মিয়াজী বাজার নিয়ে গিয়ে ৪৫টি ইয়াবা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় সুজনকে। রিকশা এসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কাসেম, সদস্য সুর আহমদ জানান, একজন পান সিগারেট তথা ধুমপান পযর্ন্ত না করা সবার প্রিয় ভদ্র ছেলেটাকে ইয়াবা দিয়ে পুলিশে হস্তান্তরের বিষয়টি কেউ মেনে নিতে পারছেনা। তার প্রতিবেশী স্বর্ণ ব্যবসায়ী এক প্রভাবশালীর সাথে সুজনের বিরোধ রয়েছে। বিরোধের জের ধরে তাকে একাধিকবার মারধর ও মামলা মোকদ্দমায় জড়ান। সর্বশেষ তাকে ইয়াবা দিয়ে চালান দেয়ার ঘটনায় ক্ষুদ্ধ এলাকার শত শত মানুষ।
তাদের অভিযোগ মুলত; অরুণ ও বিজয় দাশের সাথে সুজনদাশে পরিবারিক বিরোধ থেকে আক্রোষের বশবর্তী হয়ে রিকশা চালককে ফাঁসানো হয়েছে।
সুজন দাশ (৩২) কাথরিয়া ইউনিয়নের হালিয়াপাড়া এলাকার জেলেপাড়ার মৃত হরিদাশের ছেলে। সে ৩ সন্তানের জনক। অপরদিকে প্রতিপক্ষ মিলন দাশের ছেলে অরুণ দাশ ও বিপন দাশের ছেলে বিজয় দাশ প্রভাবশালী এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ী। কাথরিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া ইতিমধ্যেই রিকশা চালক সুজন দাশ একজন নিরীহ শান্তিপ্রিয় ছেলে হিসেবে লিখিত প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে। কোন ধরণের মাদক সেবন কিংবা অপরাধের সাথে তার সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন।
চুনতি বাজার রিকশা চালক শ্রমিক এসোসিয়েশনের সদস্যরা জানিয়েছেন, সুজন পান সিগারেট পযর্ন্ত খায়না। তাকে ইয়াবা দিয়ে চালান দেওয়া খুবই নিন্দনীয় ও দুঃখজনক।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, রিকশা চালক সুজন দাশকে ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে। কেউ তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখা হবে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

বাঁশখালীতে পারিবারিক বিরোধে মামলায় জড়ানো ও চলাচল পথ বন্ধ করে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

Update Time : ১২:০৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
আনিছুর রহমান , ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রাম বাঁশখালী কাথরিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে সুজন দাশ নামের এক গরীব রিকশা চালককে একের পর এক মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার পাশাপাশি চলাচল পথে পাকা দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার মত জঘন্য অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় অরুণ দাশ ও বিজয় দাশের নেতৃত্বে একটি চক্র বাঁশখালীর কাথরিয়া চুনতি বাজারের রিকশা চালক এসোসিয়েশনের সদস্য সুজন দাশকে এর আগেও মারধর ও মিথ্যা মামলা দেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এই ঘটনায় শনিবার (২১ জুন) বিকেলে বিক্ষোভ করেছে শত শত মানুষ।
জানা গেছে, রিকশা চালক সুজনকে গ্রেপ্তারের পর প্রভাবশালীরা চলাচল পথে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে জনগনের চলাচল পথও বন্ধ করে দিয়েছে।
বিষয়টি তদন্তপূর্বক নিরীহ রিকশা চালককে মিথ্যা মামলা থেকে রেহায় দিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানান, গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চুনতি বাজার থেকে যাত্রীবেসে তার মোটর রিকশায় চড়ে কৌশলে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। প্রথমে চুনতি বাজার থেকে বেড়িবাঁধ সেখান থেকে বাহারছড়া বশিরুল্লাহ মিয়াজী বাজার নিয়ে গিয়ে ৪৫টি ইয়াবা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় সুজনকে। রিকশা এসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কাসেম, সদস্য সুর আহমদ জানান, একজন পান সিগারেট তথা ধুমপান পযর্ন্ত না করা সবার প্রিয় ভদ্র ছেলেটাকে ইয়াবা দিয়ে পুলিশে হস্তান্তরের বিষয়টি কেউ মেনে নিতে পারছেনা। তার প্রতিবেশী স্বর্ণ ব্যবসায়ী এক প্রভাবশালীর সাথে সুজনের বিরোধ রয়েছে। বিরোধের জের ধরে তাকে একাধিকবার মারধর ও মামলা মোকদ্দমায় জড়ান। সর্বশেষ তাকে ইয়াবা দিয়ে চালান দেয়ার ঘটনায় ক্ষুদ্ধ এলাকার শত শত মানুষ।
তাদের অভিযোগ মুলত; অরুণ ও বিজয় দাশের সাথে সুজনদাশে পরিবারিক বিরোধ থেকে আক্রোষের বশবর্তী হয়ে রিকশা চালককে ফাঁসানো হয়েছে।
সুজন দাশ (৩২) কাথরিয়া ইউনিয়নের হালিয়াপাড়া এলাকার জেলেপাড়ার মৃত হরিদাশের ছেলে। সে ৩ সন্তানের জনক। অপরদিকে প্রতিপক্ষ মিলন দাশের ছেলে অরুণ দাশ ও বিপন দাশের ছেলে বিজয় দাশ প্রভাবশালী এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ী। কাথরিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া ইতিমধ্যেই রিকশা চালক সুজন দাশ একজন নিরীহ শান্তিপ্রিয় ছেলে হিসেবে লিখিত প্রত্যয়নপত্র দিয়েছে। কোন ধরণের মাদক সেবন কিংবা অপরাধের সাথে তার সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন।
চুনতি বাজার রিকশা চালক শ্রমিক এসোসিয়েশনের সদস্যরা জানিয়েছেন, সুজন পান সিগারেট পযর্ন্ত খায়না। তাকে ইয়াবা দিয়ে চালান দেওয়া খুবই নিন্দনীয় ও দুঃখজনক।
বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, রিকশা চালক সুজন দাশকে ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে। কেউ তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখা হবে।