বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক পরিষদের উদ্যোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- Update Time : ০২:২৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৮ Time View

বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল (ভারপ্রাপ্ত) আ জ ম কামাল উদ্দিনের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক পরিষদের সহ-সভাপতি ড. ইকবাল হোসেন ভূইয়া, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক পরিষদের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল যথাক্রমে অধ্যক্ষ তৌহিদ হোসেন ও অধ্যক্ষ জামাল হোসেন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক পরিষদের সদস্য উপাধ্যক্ষ রুহুল আমীন প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত বিভিন্ন কলেজ ও মাদ্রাসার প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভায় বক্তারা ‘শিক্ষাকে জাতীয়করণ করা’, ‘সকল শিক্ষককে জাতীয়করণ করা’, ‘বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি করা’, ‘এমপিও কলেজভূক্ত শিক্ষকদের পদোন্নতি চালু করা’, ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নামে সাত কলেজের অধিগ্রহণ বাতিল করে শুধু অধিভূক্ত করে অ্যাফিলিয়েটেড ইউনিভার্সিটি করা’, ‘স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি শিক্ষার প্রসার করা’- ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। বক্তরা বলেন, বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যাচ্ছে , সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে বিষয় কমানো হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী হ্রাস পাবে এবং কয়েকশত শিক্ষক প্রতিষ্ঠান জটিলতায় ভুগবেন যা চরম জুলুম। ইডেন মহিলা কলেজ ও বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ আর স্বতন্ত্র মেয়েদের শিক্ষা থাকছে না সহশিক্ষা চালু হচ্ছে এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যা বাস্তবায়ন করতে দেয়া যায় না।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব বলেন, একটি আদর্শ জাতি গড়তে হলে আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামি তথা নৈতিক শিক্ষার সমন্বয় বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, ধর্মীয় শিক্ষাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে গুরুত্ব দিয়ে সকল পর্যায়ের কারিকুলামে প্রয়োগ করলে একটি দায়িত্বশীল জাতি তৈরি হবে। বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. এম কোরবান আলী বলেন, শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর হলেও শিক্ষকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখে সরকার মূলত একটা প্রহসন করছে। তিনি সরকারকে এই প্রহসনের খেলা বন্ধ করে শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধিসহ তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পূরণের আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক নুর নবী মানিক বলেন, ‘শিক্ষাকে জাতীয়করণ করা শিক্ষক সমাজের মূখ্য দাবি’। এই দাবি পূরণ করতে যতদিন সময় লাগবে সেই সময় পর্যন্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক যেই যেই সুবিধা পাচ্ছে সমান সুবিধা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকেও দিতে হবে। ইউজিসি’র ভিসির সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই ইউজিসি’র ভিসি ঢাবিতে থাকাকালীন নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্র লীগের পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকা রেখেছে। এখন ইউজিসির ভিসি হয়ে তিনি ১১টি বিষয় নির্ধারণ করলেও ইসলামের ইতিহাস এবং ইসলামি শিক্ষা বিষয় অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়নি। তিনি সেকুলারিজম বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। অধ্যাপক নুর নবী মানিক বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দলীয়করণের ফলে শিক্ষাখাতের বৈষম্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করলেও পরবর্তীতে সরকার ঐ কমিশন বাতিল করে। শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করে যুগোপযোগী শিক্ষা নীতি প্রণয়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মকে জাতি গঠনের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করতে শিক্ষাখাতের বৈষম্য দূরীকরণ এবং আধুনিক ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নের বিকল্প নেই।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি )

























