পঞ্চগড়ে জুয়ার ৪00 টাকার জন্য খুনের স্বীকার ==রফিকুল ইসলাম ডুবু সংবাদ সম্মেলনেপুলিশ সুপার

- Update Time : ০৫:১৮:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৪৫ Time View
পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃমোখলেছুর রহমান চৌধুরী : পঞ্চগড়ে সদর ইউনিয়ন টুনির হাট বাজারের নিরাপত্তা প্রহরী রফিকুল ইসলাম( ডুবু )খুনের ১ এক মাস যাবত তল্লাশি চালিয়ে পরে প্রধান আসামী আরমান ইসলাম আমজাদকে(২৬)আটক করেছে পুলিশ।গত সোমবার বিকেলে তাকে সদর উপজেলার হাড়ীভাসা ইউনিয়নের সাহেব বাজার এলাকায় তার শ্বশুর বাড়িতে এক মাস যাবত আত্নগোপনে জীবন যাপন করে।সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।টুনির হার্ট প্রধান পাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে তিনি।পরে আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবান বন্দী ও দিয়েছে।আমজাদ জুয়া খেলার দ্বন্দের জেরেই বৃদ্ধ রফিকুল ইসলাম ডুবু কে খুন করেছেন আমজাদ।এমন টাই দ্বাবী করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার মোঃমিজানুর রহমান (মুন্সী) মহোদ্বয় নিজ কার্যালয়ে জরুরী সংবাদ সম্মেলন করে এসব গোপন তথ্য সাংবাদিকদের জানান।আরো পুলিশ সুপার জানান,হত্যার স্বীকার নিরাপত্তা প্রহরী বৃদ্ধ রফিকুল ইসলাম ডুবু(70) দীর্ঘদিন ধরে টুনির হাট বাজার মাহাবুব আলম প্রধানের খড়িঘরে থাকতেন।টুনির হাটের পার্শ্বে তার বাড়ী।বৃদ্ধ বয়সে ও জুয়া ছিলো তার একমাএ নেশা।গত 4 আগস্ট দিবাগত গভীর রাত্রে টুনির হাট বাজারেই হত্যাকারী আরমানের সাথে খেলতে শুরু করেন।তারা 400 টাকা করে খেলার বোর্ডে জমা করেন।খেলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হঠাৎ বাক-বিতন্ডা তুমুল শুরু হয়।খেলা বন্দ রেখে আরমান টাকা পয়সা নিয়ে চলে যেতে চাইলে বৃদ্ধ রফিকুল ইসলাম শুপারী কাটার ব্যবহৃত ধারালো চাকু দিয়ে প্রথমে আমজাদের পিঠে আঘাত করে।এতে ক্ষুব্ধ হয়ে যুবক আমজাদ এই চাক্কু কেড়ে নিয়ে বৃদ্ধ রফিকুল ইসলাম ডুবুর গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে।পরদিন গলাকাটা মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশ কে খবর দেয়।পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরন করে।এই ঘটনায় ঐ দিনই নিহতের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন অজ্ঞাত নামা আসামী করে পঞ্চগড় সদর থানায় জরুরী মামলা দায়ের করেন।পুলিশ সুপার মোঃমিজানুর রহমান (মুন্সী)বলেন সম্প্রতির কয়েকটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তার বেশীর ভাগই রহস্য উন্মোচন সহ আমরা আসামীদের কে গ্রেপ্তার করেছি এবং শিগগিরই আরো দুটি হত্যাকান্ডের আসামীদের কে ও শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে।ঐ বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীকে শনাক্ত নিশ্চিত করি।এরপর এর উপর কঠোর নজর দারী করা হয়।গ্রেপ্তারের দিন তিনি ঢাকায় পালিয়ে গিয়ে আত্নগোপনে থাকার জন্য সম্পুর্ন রুপে প্রস্তুুতী নিলে পুলিশ জানতে পেরে সঠিক সময়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন।এমনকি প্রধান আসামী আদালতে গিয়ে তার নিজ হাতে হত্যার কথা নিজেই স্বীকার করে জবান বন্দি দিয়েছেন।