ফেসবুক: https://www.facebook.com/BangladeshNezameislamparty
ইউটিউব:www.youtube.com/@bangladeshnezameislamparty
সরকার ডেস্ক: বাস্তবতা হচ্ছে ফিটনেস ধরে রাখা মানেই যে ভারোত্তোলন বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে, তা নয়। আমাদের প্রতিদিনকার জীবনেই এমন কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব যা শরীরকে সচল ও সুস্থ রাখে। যেমন-
১. অফিসে যাওয়ার সময় বাসা থেকে কিছুটা আগে বেরিয়ে কিছুটা পথ হেঁটে যাওয়া, কিংবা বাজারে গিয়ে পণ্য কেনার সময় রিকশা না নিয়ে হেঁটে ফেরা এই অভ্যাসগুলোও শরীরের উপকারে আসে।
২. বাসার কাজেও রয়েছে ব্যায়ামের ছোঁয়া। ঝাঁট দেওয়া, কাপড় ধোয়া, বাসন মাজা সব কাজেই শরীর নড়াচড়া করে এবং ক্যালোরি খরচ হয়। অনেকে এসব কাজকে অবহেলা করেন, কিন্তু একটু সচেতন হলেই দেখা যায় এসবই একেকটা ছোট ব্যায়ামের মতো। যেমন রান্নার সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছু হালকা স্ট্রেচিং করাও শরীরের জন্য ভালো। এমনকি মোবাইলে কথা বলার সময় বসে না থেকে হাঁটাহাঁটি করলেও কাজ হয়।
৩. খাবারদাবার নিয়ন্ত্রণ করাও ফিটনেস রক্ষার বড় অংশ। প্রতিদিন একটু বাড়তি খেয়েই শরীরে মেদ জমতে শুরু করে। তাই বাইরে খাওয়ার প্রবণতা কমানো, চিনি ও তেলযুক্ত খাবার কমিয়ে ফ্রেশ ফলমূল ও শাকসবজির দিকে ঝুঁকে পড়া দরকার। অনেক সময় কাজের চাপে পানি খাওয়ার কথাও ভুলে যান অনেকে, অথচ পর্যাপ্ত পানি শরীরের বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে এবং ক্লান্তিভাব দূর করে।
৪. আরেকটি উপেক্ষিত দিক হলো ঘুম। শরীরকে ঠিকভাবে বিশ্রাম না দিলে, তার কর্মক্ষমতাও কমে যায়। গভীর ও টানা ঘুম শরীর ও মন দুয়োকেই চাঙ্গা করে তোলে। দিনের শেষে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে, সকালে উঠে ক্লান্ত লাগে এবং সারাদিন ধীরগতিতে চলে।
৫. এছাড়াও ধ্যান বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম একান্তই প্রয়োজন। কর্মব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপ অতি সাধারণ এক ব্যাপার। নিয়মিত মেডিটেশন মনকে শান্ত করে, দুশ্চিন্তা দূর করে এবং এক ধরনের মানসিক ফিটনেস এনে দেয়। যা শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
সবচেয়ে বড় কথা হলো ব্যায়ামের সময় না পেলেও সচেতন জীবনধারা ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমেই ফিটনেস ধরে রাখা যায়। শরীরকে ভালবাসা মানে শুধু ব্যায়াম করা নয়, বরং প্রতিদিন তাকে সজীব ও সচল রাখার চেষ্টাই হচ্ছে আসল যত্ন। সময় না থাকলেও, ইচ্ছা থাকলে পথ মেলে। আর সে পথেই লুকিয়ে আছে সুস্থ, দীর্ঘ ও সুন্দর জীবনের গোপন রহস্য।
দক্ষিণ ইংল্যান্ডের শিপটন বেলিঙ্গার গ্রামের বাসিন্দা ইথেল ক্যাটেরহাম, বয়স ১১৫ বছর। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি তিনি। কারও সঙ্গে তর্ক না করা— এটিই তার এই দীর্ঘ জীবনের রহস্য বলে জানিয়েছেন এই নারী।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জেরেন্টোলজি রিসার্চ গ্রুপের (জিআরজি) তথ্যমতে, গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) ব্রাজিলিয়ান সিস্টার ইনাহ কানাবারো ১১৬ বছর বয়সে মারা যান। এরপর থেকে ইথেলই বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধেরও পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ১৯০৯ সালের ২১ আগস্ট শিপটন বেলিঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ইথেল। আট ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।
নিজের এই দীর্ঘ জীবনের রহস্য জানতে চাইলে ইথেল বলেন, ‘আমি কখনো কারও সঙ্গে তর্ক করি না। আমি সবার কথা শুনি, তবে যেটা আমার ভালো লাগে সেটিই করি।’
ইথেল তার জীবনে বেশ ঘোরাঘুরিও করেছেন। তিনি মাত্র ১৮ বছর বয়সে একটি ব্রিটিশ পরিবারে সঙ্গে শিশুদের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ভারতে এসেছিলেন। তিন বছর থাকার পরে আবার ইংল্যান্ডে ফিরে যান।
জিআরজির ভাষ্যে, ইথেলের স্বামী নরম্যান ব্রিটিশ আর্মিতে মেজর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৩১ সালে একটি ডিনার পার্টিতে তাদের পরিচয় হয়েছিল। চাকরি সূত্রে পরে হংকং ও জিব্রাল্টারেও ছিলেন তারা। এই দম্পতির দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। নরম্যান ১৯৭৬ সালে মারা গিয়েছিলেন।
ইথেল বর্তমানে হলমার্ক লেকভিউ লাক্সারি কেয়ার হোম নামক একটি পরিচর্যাকেন্দ্রে রয়েছেন। সেখান থেকেই গত বৃহস্পতিবার (১ মে) ১১৫ লেখা একটি মুকুট পরিয়ে কেক কাটা অবস্থায় তার একটি ছবি দেওয়া হয় ফেসবুকে।
সেখানে পৃথিবীর প্রবীণতম ব্যক্তি হওয়ার জন্য ইথেলকে অভিনন্দন জানানো হয়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী, ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী ব্যক্তি ছিলেন ফ্রান্সের জ্যাঁ কালমঁ, যিনি বেঁচে ছিলেন ১২২ বছর ১৬৪ দিন।
imkgr5
xds70q
dsrg72