ষড়যন্ত্রবাজ ও চক্রান্তবাজ শামীমকে ও শামীম গ্যাংদেরকে গ্রেফতারের দাবী

- Update Time : ০২:২২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
- / ৯৪ Time View
ফেসবুক: https://www.facebook.com/BangladeshNezameislamparty
ইউটিউব:www.youtube.com/@bangladeshnezameislamparty
মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি : আগামী ০৫/০৮/২০২৫ ইং তারিখে ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলায় ঢাকসুর প্রাক্তন ছাত্র নেতা এবং ক্যানাডার এক উচ্চ আদালত কর্তৃক ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি নেতা নাজিমুদ্দিন আলমের আগমন উপলক্ষ্যে ভোলায় আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। চুরি-ডাকাতি ব্যাপক বেড়েছে। ধর্ষণ ও লুটপাট হয়েছে অজস্র সংখ্যায়। চরফ্যাসন পৌরসভার পলাতক ও সাবেক মেয়র মোর্শেদকে তার খালাতো বোনের মিরপুরের বাসা হতে- ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের গ্রেফতারের খবরের আনন্দে চরফ্যাশনের সন্ত্রাসী বিএনপির যুবদল সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বেপরোয়া চুরিতে-সন্ত্রাসীতে-ডাকাতিতে নিয়োজিত হয়েছে। চরফ্যাসনে একসাথে ১০ বাড়িতেও চুরি-সন্ত্রাসী-ডাকাতি ঘটেছে। গত ২০২৪ ইং সালের ৫ই আগষ্ট হতে বিগত টানা এক বছরে চরফ্যাসনের আঞ্জুর হাট এলাকার-ই বিভিন্ন পরিবারের পারিবারিক ১৩৫ টি গরু নিখোঁজের পরেও ১৩৬তম নিখোঁজ গরুর চামড়া, মাথা, নাড়ী-ভূড়ি নিখোঁজ স্থানে পেয়েছে আঞ্জুর হাটের লোকজন। কথিত আছে যে, দলীয় পোষ্ট পজিশনের অগ্রমূল্যায়নী পদবীর জন্য গত রমজান মাসে চরফ্যাসনের প্রাক্তন এমপি ও প্রাক্তন ঢাকসু নেতা এবং ক্যানাডার আদালতের ঘোষণার আইনী রীতিনীতিতে বাংলাদেশেরও সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির নেতা নাজিমুদ্দিন আলমের চরফ্যাসনের পৌর ছয় নং ওয়ার্ডের বাসায়- ছয়টি জবাই গরুর মাংস দিয়ে রান্না-বান্না করা ইফতারি উপাদানের ছয়টি গরু-ই তাকে তার নেতা-কর্মীরা চুরি করে এনে দিয়েছে। তার মনপুরার বাসায় তিনটি জবাই গরুর রান্না মাংস দিয়ে করানো ইফতারির গরুগুলো চোরাই গরু ছিল কিনা তার খবর অবশ্য এখনো নিশ্চিতভাবে পাওয়া যায় নাই। অন্যদিকে বাংলাদেশের গোপনে গোপনে খারাপ কাজ করা- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নেত্রী এবং গত ২০২৪ ইং সালের ৫ই আগষ্ট তারিখে প্রধানমন্ত্রীত্বের পদবীচ্যূত শেখ হাসিনা পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে উড়ে গিয়ে গাজিয়াবাদে অবস্থান নেওয়ার পর বাংলাদেশের জনগণের রাজনীতির ব্যটিংয়ের পাওয়া ছক্কার আড়ালে ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা “ক্ষমতা পাইছিরে-রে-রে” ভাব-স্বভাব ধারন করে প্রকাশ্যে-ই জনগণের জন্য সরকারী বরাদ্ধের সর্বকিছুই সরকারের প্রশাসনের কাছ থেকেও লুটেপুটে নিয়ে যায়। যার ধারাবাহিকতা গত ৫ই আগষ্ট ২০২৪ ইং হতে এখনো চলমান আছে। আবার মানুষের ঘর-দুয়ার ভেঙ্গে চুরেও সর্বস্ব নিয়ে যাওয়ার ইতিহাস তৈরি করেছে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের লেবাসধারী নেতাকর্মী ও তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গরা। বিএনপির এহেন চুরি-সন্ত্রাসী-ডাকাতিতে ভোলা জেলা দেশের জনগণ সর্বদা আতঙ্কিত জীবন-যাপন করছে। ভোলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের বিএনপি বাড়ি কথিত বেপারী বাড়ির লোকেরা ২০০১ ইং সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর প্রকাশ্যে দিনে ও রাতে মানুষের ঘর-বাড়ি লুটপাট করেছে। ২০০৮ ইং সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ঐ বেপারী বাড়ির লোকজনেরা গোপনে গোপনে সারাদেশে চুরি, ডাকাতি ও লুটপাট করেছে, প্রকাশ্যে চুরি, ডাকাতি ও লুটপাট কম করেছে। ২০২৪ ইং সালের ৫ই আগষ্টের পর হতে আবারো প্রকাশ্যে ও গোপনে চুরি, ডাকাতি, লুটপাট, হামলা, আক্রমন, রক্তপাত, ধর্ষণ ও নাশকতা করছে। সেই বাড়ির এক যুবদল নেতা শামীম বিগত সতের বছরের ফ্যাসিবাদী আমলে ফ্যাসিবাদের সাথে মাখামাখি করে জীবন-যাপন করলেও বর্তমানে সে বাংলাদেশের সাংবাদিকদেরকে প্রকাশ্যে-ই ধর্ষণ করে বলে ক্ষমতার হম্বি-তম্বি উক্তি করেছে। কখনো কখনো শুনা যায় যে, বিএনপির চুরিতন্ত্র, ডাকাতিতন্ত্র, লুটপাটতন্ত্র, খুনতন্ত্র, ধর্ষণতন্ত্রের গডফাদার, যুবদল নেতা, সন্ত্রাসী ও ব-খাটে শামীম ঐ নাজিমুদ্দিন আলমের ক্যাডার। ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার শশীভূষন থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির নেতা-কর্মীদের ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কান্ডকীর্তিও ঐ শামিম গুন্ডার মতই। কেবল নাজিমুদ্দিন আলমের চরফ্যাসনের আগমনের খবর পেলেই সে (শামীম) তার কু-মতলব কর্মকান্ড বাড়িয়ে তোলে। সেই শামীম গ্যাংদের তৎপরতায় ভোলা জেলার চরফ্যাশনে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে চুরি-ডাকাতি-ধর্ষণ-লুটপাট-দেহ ব্যবসা। এইসব কর্মকান্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ জনগন ও জনসাধারণ। চোর- ডাকাতরা কখন যে- কার সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে কেউ টেরও পাচ্ছে না। পুলিশসহ সকল প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব ঘটনা ঘটলেও কিছুতেই চোর- সন্ত্রাসী-ডাকাতদের আটকাতে পারছে না। আর এ সুযোগে চোর- ডাকাতরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। কয়েক বছর আগের এক সোমবার রাতে চরফ্যাশন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক মেয়র মোঃ মোরশেদের বাসা থেকে মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে। একই রাতে এওয়াজপুর ইউনিয়নের এওয়াজপুর গ্রামের নূরুল্লাহ মাষ্টার বাড়িতে প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক নেছার উদ্দিন নয়নের বাসার জানালার লোহার গ্রিল কেটে চোর ঘরে প্রবেশ করে- নগদ ১ লাখ ২১ হাজার টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। সেই বছরের একই সপ্তাহের রোববার দুপুরে চরফ্যাসন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মর্ডান পাড়া পারভেজের বাসার দুই ভাড়াটিয়ার বাসার দরজার তালা ভেঙ্গে নগদ, টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। একই দিনে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মফিজুল ইসলামের বাড়িতে সুপার স্টার কোম্পানীর প্রতিনিধি মেহেদি হাসানের বাসা থেকে নগদ ৫৮ হাজার টাকা, ব্যবহৃত ল্যাপটপ, স্বর্ণালঙ্কার ও চেক বইয়ের পাতা চুরি হয়েছে। সেই বছরের ৩১শে মে রাতে আসলামপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আবদুর রবের বাসার দরজা ভেঙ্গে অস্ত্রের মুখে হাত ও পা বেঁধে ৮ ভড়ি স্বর্নালংকারসহ নগদ ১৫ হাজার টাকা লুটে নেয় ডাকাতরা।
এর আগে চরফ্যাশন পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের বাসার দরজার তালা ভেঙ্গে নগদ ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ২০ ভড়ি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। একই ওয়ার্ডে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মোহাম্মদের বাড়ি, হালিমাবাদ ২নং ওয়াডের্র শাহিন ফরাজির মুদি দোকান, পৌরসভার এতিমখানার মোড়ে মিজানের ব্যাটারির দোকান চুরি হয়েছে। এ প্রসংগে চরফ্যাশন থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনির হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে সন্দেহজনক দুই চোরকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য চোরদের আটকের চেষ্টা চলছে। সেই চুরিগুলোও ঐ যুবদল নেতা শামীম এর নেতৃত্বে হয়েছে। পুলিশের সাথে শামীম গ্যাংদের একটি গোপন লিংক থাকায় ও ফ্যসিবাদী রানিং পার্টির লোকজনের সাথে শামিমের ঘনিষ্ঠ মাখামাখি থাকায় তদানীন্তন পুলিশ- অপরাধের ঘটনার দোষী শামীম ও শামীম গ্যাং (মহিউদ্দিন পিতা- জেবল হক, আফিফ আল ইমরান পিতা- জাহাঙ্গীর মাঝি, উভয় সাং- ০২ নং ওয়ার্ড, ইউনিয়ন- ১৩ নং এওয়াজপুর, থানা- শশীভূশন, উপজেলা- চরফ্যাসন, জেলা- ভোলা, বাংলাদেশ) আড়াল করার জন্য শামীমকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় নাই। তাই অনতিবিলম্বে উক্ত যুবদল নেতা, চোর, ডাকাত, ষন্ডা, গুন্ডা, লুইচ্চা, ধর্ষক, খুনী, সন্ত্রাসী, ষড়যন্ত্রবাজ ও চক্রান্তবাজ শামীমকে ও শামীম গ্যাংদেরকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে মৃত্যূদন্ড প্রদান করা জরুরী হয়ে পড়েছে। ক্যানাডার উচ্চ আদালত বিএনপির কার্যক্রম মনিটরিং করে ক্যানাডায় বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দিয়েছে। পৃথিবীর কোন দেশের কোন আদালত কোন ঘোষণা বা রায় দিলে ঐ বিষয়ে বা অনুরূপ বিষয়ে পৃথিবীর যেকোন দেশেরই বিচারিক আদালতের ভাবনায়- ঐ রায় বা ঘোষণা অগ্রমূল্যায়নী রায় বা অগ্রমূল্যায়নী ঘোষণা হিসেবে ধর্তব্য করার আইনগত রেওয়াজ রয়েছে। সেই হিসেবে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠনের- ক্যানাডার আদালতের ঘোষিত রায় মোতাবেক- বাংলাদেশের আদালতেও বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের রায়ের ঘোষণার অদৃশ্যপ্রাপ্ত। আর ভোলা জেলার চরফ্যসন উপজেলার শশিভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের বেপারী বাড়ির মৃত মোস্তফা মাষ্টারের ছেলে শামীম বিএনপির চরফ্যাসন যুবদলের সংগঠনের যুবদল নেতা বিধায়- সে বিচারিক আদালতের ঘোষণাপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী। এছাড়াও বাংলাদেশ পেনাল কোডের নিয়ম হলো- বাংলাদেশের কোন ব্যক্তি বিদেশে অবস্থান করে কোন ফৌজদারী অপরাধ করলে উক্ত অপরাধটি বাংলাদেশেও করেছে বলে ধৃত করা যাবে। তাই ক্যনাডার আদালতে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠনের রায় ঘোষণা দেওয়ায় বাংলাদেশের উক্ত শামীম পৃথিবীর সকল দেশেই সন্ত্রাসী। ছবিতে- সন্ত্রাসী শামিম, মোস্তফা, ইব্রাহিম, মান্নান ও শামিম গ্যাং এবং নাজিমুদ্দিন আলম, মহিউদ্দিন, এমরান/আফিফ।