রাজশাহী ৪নং মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ৮ সদস্যের দুর্নীতি ও অনিয়মে চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
- Update Time : ০১:৫৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৬৪ Time View

স্টাফ রিপোর্টার :মো: আতিকুর রহমান :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ৪নং মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদের আটজন মেম্বারের বিরুদ্ধে নানান দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ নানা ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই ইউনিয়নের কিছু জনপ্রতিনিধি সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, ভিজিডি-ভিজিএফ, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ অন্যান্য অনুদান কার্ড বিতরণে অনিয়ম করে আসছেন। সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেছেন— তারা সরকারি কার্ড বা অনুদান পেতে গেলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
একাধিক ভুক্তভোগী জানান, স্থানীয় কিছু সদস্য জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগে সরকারি সহায়তা আত্মসাৎ করছেন এবং সুবিধাভোগীর তালিকায় স্বজন ও রাজনৈতিক সমর্থকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করছেন। এতে প্রকৃত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য সুযোগ থেকে।
সম্প্রতি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউনিয়নের অন্যায্য কর্মকাণ্ড নিয়ে এলাকায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, পরিষদের নীতিমালা ও স্বচ্ছতা বিঘ্নিত করে নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে মেজর আলী বিশ্বাসকে শপথ করানো হয়
যা অনেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ,বর্তমানে।
স্থানীয় প্রশাসন দায়িত্ব পেলেও , এলাকাবাসী বলেন প্যানেল চেয়ারম্যান মেজর আলী বিশ্বাস একাই অপরাধী নয় এই মেম্বার গুলো সকল ওয়ার্ডের দায়িত্ব থাকাকালীন অবস্থা থেকেই বিভিন্ন অনিয়ম বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত ছিলেন।
দায়িত্বে থাকা, চেয়ারম্যান মেজর আলী বিশ্বাস এর সকল ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষরা মেম্বারদের বিভিন্ন অপকর্ম অনিয়মের কথা তুলে ধরেন, চেয়ারম্যান সঠিক বিচার করলে, মেম্বারদের ব্যক্তিগত স্বার্থে বাদে।
এই মেম্বারদের অনৈতিক কার্যকলাপ মেনে না নেওয়ার কারণে, মেজর আলী বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসে এই মেম্বারা।
স্থানীয় লোকজন আরো বলেন এই সম্প্রতি সাত আট মাসে, কোন মেম্বারকে আমরা দেখতে পাইনাই ইউনিয়ন পরিষদে, আজকের চাল দিচ্ছে, সকল মেম্বারকে দেখতে পাচ্ছি। এরা আমাদের ভালো চাই না সকল স্বার্থবাদী প্রতিনিধি আমাদের কারো দরকার নাই। সামনে নির্বাচন আসলে আমরা এদের মত প্রতিনিধি চাই না, এলাকার সচেতন নাগরিকরা বলেন।
জনগণের টাকায় যারা জনগণের জন্য কাজ করার কথা, তারাই এখন দুর্নীতির জালে জড়িয়ে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়াচ্ছেন। আমরা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও কয়েকজন সদস্য কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্তের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এবং প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যেন দুর্নীতিগ্রস্ত মেম্বারদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়, যাতে জনগণ তাদের ন্যায্য সেবা ফিরে পেতে পারে।
























