মুসলিম দেশে বিজয় শয়তানের এবং পরাজয় নবীজী (সা:)’র ইসলামের

- Update Time : ০৯:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ৫৫ Time View
ফিরোজ মাহবুব কামাল
বিজয় শয়তানের
আজকের মুসলিমদের সকল ব্যর্থতার মূল কারণ: তারা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে নবীজী (সা:)’র ইসলামকে। এবং সে সাথে ব্যর্থ হয়েছে নবীজী (সা:)’র ইসলামের পূর্ণ অনুসরণ নিয়ে বাঁচতে। তারা বরং ইতিহাস গড়েছে ইসলাম থেকে দূরে সরায়। ফলে তাদের অহংকার যেমন জাতীয়তাবাদ, বর্ণবাদ, দলবাদ, ফেরকাবাদ, সেক্যুলারিজম ও ফ্যাসিবাদের ন্যায় মতবাদের স্রোতে ভাসায়, তেমনি সে সব মতবাদের ভিত্তিতে সংগঠন ও রাষ্ট্র গড়ায়। ইসলাম থেকে দূরে সরার ফল, এসব মুসলিমগণ শতভাগ সফল হয়েছে নবীজী (সা:)’র ইসলামকে মুসলিম দেশগুলি থেকে বিলুপ্ত করায়। এবং বাংলাদেশের ন্যায় মুসলিম ভূমিতে তাদের বর্তমান লড়াইটি হলো ইসলামের সে বিলুপ্তিকে বহাল রাখা। তাই বলা যায়, মুসলিম দেশগুলিতে বিশাল বিজয়টি শয়তান ও তার অনুসারীদের। সেটির প্রমাণ, আফগানিস্তান ছাড়া আর কোন মুসলিম দেশেই বেঁচে নাই মহান আল্লাহ তায়ালার সার্বভৌমত্ব ও তাঁর শরিয়তী আইন। বেঁচে নাই তাঁর এজেন্ডা। এসব দেশের মুসলিমগণ রাজনীতি করে মহান আল্লাহ তায়ালার এজেন্ডাকে বাদ দিয়ে নিজের দলীয় বা রাজতান্ত্রিক এজেন্ডাকে বিজয়ী করতে। দেশে দেশে মুসলিমগণ গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার হলেও তা নিয়ে তারা ভাবে না।
ভণ্ড মুসলিমদের অপরাধনামা
যারা ইসলাম থেকে দূরে সরেছে, রাজনৈতিক অঙ্গণে তাদের বিজয়টি বিশাল। এবং বিশাল হলো তাদের অপরাধের মাত্রাও। সেটি ভাষা, বর্ণ ও অঞ্চলের নামে মুসলিম ভূগোলকে বিভক্ত করায়। তাদের অর্জন, তারা বিশাল বিজয় পৌঁছে দিতে পেরেছে ইসলামের শত্রু কাফিরদের ঘরে। তাই আরব মুসলিমগণ যেমন ১৯১৭ সালে আরবভূখণ্ডকে ২২ টুকরোয় বিভক্ত করে ইংরেজে ও ইহুদীদের বিজয় বাড়িয়েছে তেমনি ১৯৭১ সালে বাঙালি মুসলিমগণ বিজয় ও আনন্দ বাড়িয়েছে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদীদের। সেটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলম রাষ্ট্রকে খণ্ডিত করে। ১৯১৭ সালে দশ লাখের বেশী আরব মুসলিম ব্রিটিশ ও ফরাসী বাহিনীতে যোগ দিয়ে খলিফার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিল এবং ফিলিস্তিন, ইরাক ও সিরিয়ার ন্যায় মুসলিম ভূমিকে কাফিরদের হাতে তুলে দিয়েছিল। সমগ্র আরব ইতিহাসের সেটিই হলো সবচেয়ে কলংকিত ইতিহাস। তেমনি ১৯৭১’য়ে এক লাখের বেশী বাঙালি মুসলিম মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের উপর ভারতীয় বাহনীর বিজয় বাড়িয়েছিল। ইসলামী বিধানের বিরুদ্ধে এরূপ বিদ্রোহ এবং মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে এরূপ গুরুতর নাশকতা নিয়ে কেউ মুসলিম হতে পারেনা। এরা মুসলিমের মুখোশধারী ভণ্ড মুসলিম। এরাই মুসলিম উম্মাহর ঘরের শত্রু।
একাত্তরে সেক্যুলারিস্ট বাঙালি মুসলিমদের কাছে সবচেয়ে গৌরবের কর্ম ছিল, ভারতে গিয়ে শুধু হিন্দু্দের প্রতিপালন নেয়া নয়, বরং তাদের অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়ে পাক সেনাদের হ্ত্যা করা। সে সাথে তাদের আরো লক্ষ্য ছিল, লক্ষাধিক বিহারীদের হত্যার পাশাপাশি মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামী ইসলামী ইত্যাদি পাকিস্তানপন্থী দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের হত্যা করা। ১৯৭১’য়ের ১৬ ডিসেম্বরে বিজয়ের পর এদের অনেকেই লিপ্ত হয় বিহারী নারীদের ধর্ষণ এবং তাদের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে দখলে নেয়ায়। বাঙালি মুসলিমের সমগ্র ইতিহাসে এতবড় কলংকের কাজ কি পূর্বে কোন কালে হয়েছে? এসবই সম্ভব হয়েছে ইসলাম থেকে দূরে সরা এবং সেক্যুলারিজম, জাতীয়তাবাদ ও বামধারার স্রোতে ভেসে যাওয়ার কারণে। বেঈমানদের বেঈমানী এবং অপরাধীদের অপরাধ সেদিন পুরোপুরি উম্মোচিত হয়েছিল। আজও যারা একাত্তরে পাকিস্তান ভাঙ্গাকে সমর্থন করে, বুঝতে হবে তারা ইসলামের মূল শিক্ষাকে ধারণ করেনা। এরা বিভ্রান্ত। ইসলাম গড়াকে ফরজ করে এবং ভাঙ্গাকে হারাম করে। অথচ একাত্তরে তারা মুজিবের দেখানো দেশ ভাঙ্গার হারাম পথটিকে গ্রহন করেছিল। এবং একাজে তারা আগরতলা ষড়যন্ত্রের আসামী, ভারতের চর এবং গণতন্ত্রের খুনি ফ্যাসিস্ট মুজিবকে অনুসরণ করেছিল। মুজিবের ন্যায় প্রমাণিত অপরাধীকে সমর্থন করা কি কম অপরাধ? মুজিবের বড় সাফল্য হলো সে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিকে বেকুব বানাতে সফল হয়েছিল। যেমন শয়তান সফল হয়েছে ভারতের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষকে গোপূজারী, মূর্তি পূজারী ও লিঙ্গ পূজারী করতে।
মুসলিমদের ব্যর্থতা মুসলিম হওয়ায়
মুসলিমদের বিশাল ব্যর্থতাটি মুসলিম হওয়ায়। তারা বেঁচে স্রেফ মুসলিম নাম নিয়ে, ইসলাম নিয়ে নয়। নবীজী (সা:)’র ইসলাম বুঝায় এবং সে কুর’আনী ইসলাম পালনে মুসলিমদের ব্যর্থতার নমুনা দেয়া যাক। আজকের মুসলিমদের ইবাদত সীমিত হয়ে গেছে নামাজ-রোজা, হজ্জ-যাকাত, কুর’আন পাঠ ও তাসবিহ-তাহলিলে। অথচ ইবাদত শুধু নামাজ-রোজা, হজ্জ-যাকাত কুর’আন পাঠ ও তাসবিহ-তাহলিল নয়। বরং ইবাদতের অর্থ মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতিটি হুকুমের প্রতি পূর্ণ দাসত্ব। ইবাদত হলো, তাঁর এজেন্ডার সাথে পূর্ণ একাত্মতা। পবিত্র কুর’আনের ভাষায় মহান আল্লাহ তায়ালার এজেন্ডা হলো: “লি’ইউয হিরাহু আলা কুল্লিহি।” অর্থ: সকল ধর্ম ও সকল মতবাদের উপর তাঁর একমাত্র মনোনীত দ্বীন ইসলামের পূর্ণ বিজয়। এ এজেন্ডার ঘোষণা এসেছে সুরা তাওবা, সুরা ফাতহা ও সুরা সাফে। সুরা সুরা সাফ’য়ে ঘোষিত সে এজেন্ডাটি হলো:
هُوَ ٱلَّذِىٓ أَرْسَلَ رَسُولَهُۥ بِٱلْهُدَىٰ وَدِينِ ٱلْحَقِّ لِيُظْهِرَهُۥ عَلَى ٱلدِّينِ كُلِّهِۦ وَلَوْ كَرِهَ ٱلْمُشْرِكُونَ ٩
অর্থ: “তিনিই সে মহান সত্ত্বা যিনি সত্য দ্বীনসহ তাঁর রাসূলকে প্রেরণ করেছেন যেন সকল ধর্ম ও সকল মতাদর্শের উপর ইসলাম বিজয়ী হয় -যদিও তা মুশরিকদের কাছে অপছন্দের।”
সুরা আনফালে ঘোষিত সে এজেন্ডাটি হলো:
وَيُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُحِقَّ ٱلْحَقَّ بِكَلِمَـٰتِهِۦ وَيَقْطَعَ دَابِرَ ٱلْكَـٰفِرِينَ ٧
لِيُحِقَّ ٱلْحَقَّ وَيُبْطِلَ ٱلْبَـٰطِلَ وَلَوْ كَرِهَ ٱلْمُجْرِمُونَ ٨
অর্থ: “আল্লাহ ইচ্ছা পোষণ করেন যে, তিনি তাঁর বাণীসমূহ দিয়ে সত্যকে সত্য রূপে প্রতিষ্ঠা দিবেন এবং কাফিরদের শিকড় কেটে দিবেন। যাতে তিনি সত্যকে সত্য রূপে প্রমাণ করতে পারেন এবং বাতিল করতে পারেন বাতিলকে -যদিও অপরাধীরা তা অপছন্দ করে।” –(সুরা আনফাল ৭-৮)।
জিহাদ ছাড়া পূর্ণ ইসলাম পালন অসম্ভব
তাই ঈমানদারকে শুধু নামাজ-রোজা ও হজ্জ-যাকাত পালন করলে চলে না; তাকে এগুলির বাইরেও দ্বীন পালনে বহুদূর যেতে হয়। নইলে মহান আল্লাহ তায়ালার এজেন্ডার সাথে একাত্ম হওয়ার কাজটি হয়না। আর সেটি করতে হলে তাকে অবশ্যই জিহাদে নামতে হয় -যেমনটি নেমেছিলেন নবীজী (সা:)’র প্রত্যেক সাহাবা। কারণ জিহাদ ছাড়া মহান আল্লাহ তায়ালার এজেন্ডার সাথে একাত্ম হওয়ার কাজটি হয়না। আর জান্নাত তো তারাই পায় যার তার এজেন্ডার সাথে একাত্ম নয়। কিন্তু সেরূপ দ্বীন পালন আজকের মুসলিমদের মাঝে নাই। দ্বীন পালনে তারা মহান আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা ও নবীজী (সা:)’র ত্বরিকাকে তারা অনুসরণ করে না, তারা অনুসরণ করে তাদের মনগড়া ত্বরিকাকে -যাতে আল্লাহ তায়ালার দ্বীনকে বিজয়ী করার কোন ইচ্ছা ও এজেন্ডা নাই।
মুসলিম জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ হলো, ইসলামের দেশী-বিদেশী শত্রু ও নানারূপ দুর্বৃত্তদের থেকে মুসলিম দেশকে পাহারা দেয়া। শত্রুপক্ষের হাত থেকে দেশের স্বাধীনতা বাঁচলে পূর্ণ ইসলাম পালনের স্বাধীনতা বাঁচে। শুধু মসজিদ-মাদ্রাসা গড়লে মুসলিম নর-নারীর জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না, তাতে পূর্ণ ইসলাম পালনের সহায়ক পরিবেশও মেলে না। ভারতে যত মসজিদ আছে তা বিশ্বের আর কোন দেশে নাই; কিন্তু তাতে কি ভারতীয় মুসলিমদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা বেড়েছে। মুসলিমদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার জন্য চাই ইসলামী রাষ্ট্রের নির্মাণ ও সে রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার জিহাদ। একমাত্র এমন এক রাষ্ট্রেই মুসলিমগণ পায় “আ’মারু বিল মারুফ ওয়া নেহি আনিল মুনকার” অর্থাৎ ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের নির্মূলের সহায়ক পরিবেশ। এটিই হলো মুসলিম জীবনের মিশন।
ইতিহাসের আরেক বাস্তবতা হলো, মুসলিম জীবনে জিহাদ না থাকলে বিলুপ্ত হয় নবীজী (সা:)’র ইসলাম। কারণ শত্রুর বিজয়ে অসম্ভব করা হয় পূর্ণ ইসলাম পালন। যেমন ব্রিটিশদের বিজয়ের ফলে ভারতের আদালত থেকে শরিয়া বিলুপ্ত করা হয়। এবং মাদ্রাসাগুলির জমি কেড়ে নিয়ে সেগুলি বন্ধ করা হয়। ফলে বন্ধ করা হয় দ্বীনের শিক্ষা। শরিয়া ও ইসলামের শিক্ষা না বাঁচলে ইসলাম বাঁচে কিরূপে? তখন বিজয়ী হয় শত্রুদের ইসলামকে পরাজিত রাখার এজেন্ডা। কুর’আন শিক্ষা বন্ধ করার ফল হলো, জনগণের চেতনা থেকে তখন বিলুপ্ত হয় ইসলামের সঠিক ধারণা। সে সঠিক ধারণা বিলুপ্ত হওয়ার কারণে ভারতের বুকে নবীজী (সা:)’র ইসলাম বেঁচে নাই। সে ধারণা বেঁচে থাকলে তো মুসলিমদের মাঝে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জিহাদ শুরু হতো এবং ইসলামী রাষ্ট্রও প্রতিষ্ঠিত হতো -যেমনটি নবীজী (সা:) ও তাঁর সাহাবাদের আমলে দেখা গেছে। কিন্তু সেটি হয়নি। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজে তাদের নিরেট ব্যর্থতাই প্রমাণ করে, নবীজী (সা:)’র ইসলাম বুঝতে ও পালনে আজকের মুসলিমদের ব্যর্থতা কত বিশাল।
বিপুল সংখ্যায় বাড়ছে মসজিদ-মাদ্রাসা, কিন্তু ইসলামের বিজয় বাড়ছে না
বাংলাদেশের মত দেশে মসজিদ-মাদ্রাসা বিপুল সংখ্যায় গড়ে উঠেছে। সেগুলির যথেষ্ট আধুনিকীকরণও হয়েছে। আগে যে মসজিদ-মাদ্রাসা কাঠ, বাঁশ ও টিন দিয়ে নির্মিত হতো, আজ সেগুলি বহুতল বিল্ডিং। দেখা যায় সেগুলির কারুকার্য খচিত দরজা-জানালা, মোজাইক করা মসৃণ মেঝে এবং মেঝেতে বিছানো সুদৃশ্য কার্পেট। শুধু শহরগুলিতে নয়, সেগুলি দেখা যায় গ্রামেও। যেন প্রতিযোগিতা লেগে আছে মসজিদগুলিকে আরো সুন্দর ও আধুনিক করার। কিন্তু তাতে দ্বীনের প্রতিষ্ঠা বা বিজয় কতটুকু বেড়েছে? জনগণের মাঝে বেড়েছে কি কুর’আনের জ্ঞান? নামাজীদের মাঝে বেড়েছে কি তাকওয়া ও ইসলামকে বিজয়ী করার তাড়না? সংগঠিত হচ্ছে কি ইসলামী রাষ্ট্র নির্মাণের জিহাদ?
নবীজী (সা:) জামানায় মদিনার মসজিদটি ছিল মাটির; খুঁটি ছিল খেজুর গাছের, ছাদ ছিল খেজুর পাতার। কিন্তু সেটিই ছিল ইসলামের দুর্গ। মসজিদ শুধু জামায়াতে নামাজ আদায়ের জন্য ব্যবহৃত হয়নি, ব্যবহৃত হয়েছে কুর’আন শিক্ষার মূল কেন্দ্র, প্রশাসনিক হেড কোয়ার্টার, সাহাবীদের মিলন স্থল এবং জিহাদে মুজাহিদ সংগ্রহ ও জিহাদ পরিচালনার মূল কেন্দ্র রূপে। কিন্তু আজকের মসজিদগুলি নবীজী (সা:)’র মসজিদের সে সূন্নত ধরে রাখতে পারিনি; পরিণত হয়েছে শুধু ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের ঘরে। নামাজ শেষ হলে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। ফলে অব্যবহৃত থাকছে লক্ষ লক্ষ টাকায় গড়া মসজিদগুলির বিশাল ও সুন্দর অবকাঠামো। অথচ মুসলিমদের গৌরব যুগে মসিজদগুলি পরিণত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। মসজিদগুলি গড়া হতো বিশাল আকারে, মসজিদের কোনে কোনে বসতো শিক্ষককে ঘিরে ক্লাস। অথচ আজ ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ফেরকা, মজহাব ও গ্রাম্য রাজনীতির নামে গড়ে উঠা তিক্ততা ও বিভক্তিকে বাঁচিয়ে রাখার হাতিয়ার রূপে।