০৯:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

মানবিক দেশ ও বিশ্ব গড়াতে ভারত’সহ মানবতাবাদি গণতান্ত্রিক বিশ্বের ঐক্য চাই মানবতা বিরোধী চীন পাকিস্তানকে রুখে দাঁড়ান

Reporter Name
  • Update Time : ০৫:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / ১৪১ Time View

ফেসবুক: https://www.facebook.com/BangladeshNezameislamparty

ইউটিউব:www.youtube.com/@bangladeshnezameislamparty

এম এ জলিল : বিশ্ব সৃষ্টির পর থেকেই মানবজাতির কিছু সংখ্যক জ্ঞানীদের মাঝে অনুভূতি তৈয়ার হয় কিভাবে মানবজাতিকে সুসৃংখলিত করা যায়। সেই লক্ষে মানবজাতি আদিকাল থেকে সমাজ পাড়া মহল্লা সুশৃংখলিত করার জোর প্রচেষ্টা চালায়। এর ফলে সমাজ, পাড়া, মহল্লা দেশ জাতি বিশ্বের সব জাতির মাঝে অনুভূতি হয়। একে অপরের কাজে কি ভাবে লাগতে পারি। মানব জাতিকে সুশৃংখলিত করার জন্য চিন্তা ভাবনা তৈয়ার করেন আমাদের আদি নাগরিকরা, সমাজ দেশ রাষ্ট্রের চিন্তা করেছিল সেই সময় থেকেই, বিশ্বে একটি রাষ্ট্র তৈয়ার হয়। পরবর্তিতে মধ্য যুগের মানব জাতি রাষ্ট্র কাঠামো তৈয়ার করে। বিশেষ ভাবে সক্রেটিস, প্লেটো, এরিসটটল এই তিনজনের দর্শনে বিশ্ব মানবজাতির মর্যাদা তৈয়ারের পথে অগ্রসর হতে থাকে। বিশ্বকে আলোকিত করেছে জেমস ওয়ার্ড তিনি বিদ্যুত আবিস্কার করে বিশ্বকে উন্নয়নের উচ্চ স্থানে নিয়াছে, বেতার আবিস্কার করে মার্কনি। কোন দেশে কি হয়েছে তা জানতে পাড়া গিয়াছে, অন্যায়ের প্রতিবাদ হয়েছে অসহায় মানুষদের পাশ্বে দাড়িয়েছে বেতারের মাধ্যমে। আব্রাহাম টেলিফোন আবিস্কার করে বিশ্বকে প্রতিটি মানুষের হাতের মুঠায় এনেছেন, রাইট ব্রাদার্স প্লেন আবিস্কার করে বিশ্বের প্রতিটি দেশের সাথে স্বল্প সময়ে যোগাযোগের ব্যবস্থা করেছে। এই সব দর্শন ও আবিস্কারের জন্য বিশ্বের অসহায় জনগণ উপকৃত হয়েছে তার প্রমান বাংলাদেশে বা বিশ্বের যেকোন দেশে দূর্যোগ ও মহামারি হলে বিশ্বের সব মানবিক দেশই সাহায্য নিয়া এগিয়ে আসে, তার কারনে অসহায় জনগণ বেঁচে যায় স্বাস্থ্য সেবা পায়। সব কাজ থেকে প্রমাণ হয় বিশ্ব এক মানবজাতি। বিশ্বের সেরা মানবজাতি সৃষ্টি করেছেন যারা, মাতৃভাষা আবিস্কার করেছে তারা। বিশেষ ভাবে বাংলা, ইংরেজী, আরবি, হিন্দি, ফরাসি, জাপানি, চিনা সহ বিশ্বের প্রায় ৫ হাজার ভাষার জন্মদাতাদের স্মরণ করি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ বিশ্বের প্রতিটি মানুষ তার মনের ভাব বিনিময় করতে পারে মানব জাতি, সকল কল্যাণকর মানবজাতির কাছে পৌছে দিতে পারে। আমরা বাঙালি জাতি বাংলা ভাষার জন্মদাতা রাজা পঞ্চানন কর্মকারকে বিশেষভাবে স্মরণ করছি কারন তার জন্য বিশ্বে বাঙালি জাতি হিসেবে সকল জাতির সাথে একাকার হয়েছে।

বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বাঙালিদের বাংলা ভাষা আজ নেতৃত্ব দিচ্ছে ২১ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতী দিয়াছে জাতিসংঘ ও বাঙালি জনপ্রতীনিধি হয়েছে বিশেষভাবে ব্রিটেনে ৯ জন বাঙালি আইন প্রনেতা হয়েছে। ইহার মধ্যে রওশনআরা আলী ব্রিটেনের মন্ত্রী হয়েছে। বাঙালি জাতি বিশেষভাবে বাংলাদেশের জনগণ আজ গর্বিত। মহিলা আইন প্রণেতা হওয়ায় রওশনআরা আলী, টিউলিব সিদ্দিকী, রুপা হক ও আফসানা বেগমদের জন্য।
অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ইংরেজদের শাসন শোষন থেকে বাঙালিদের বাংলা ভাষার দেশ গঠনের লক্ষে যারা ভূমিকা রেখেছেন ক্ষুধিরাম বসু, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্ম অশ্বিনী কুমার দত্ত, দেশবন্ধু সিআর দাস, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক, রুপশী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাস, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, চারণ কবি মুকুন্দ দাস, নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু, অসহায় মানুষদের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য।
উল্লেখিত নেতা কবিদের আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ইংরেজদের তাড়িয়ে উপমহাদেশে দুইটি দেশ প্রতিষ্ঠা পায় একটি পাকিস্তান ও অন্যটি মহান ভারত। আমরা পাকিস্তানের নাগরিক। এই নাগরিকরা স্বাধীন পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য অগ্রনী ভূমিকা রেখেছে এবং ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে পূর্ব বাংলার জনগণ পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। পাকিস্তানের গভর্ণর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নার পক্ষে সমর্থন দেয় অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বাংলার মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম, সাবেক বাংলার প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও যুব নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু জিন্নাহ সেই সমর্থনকে না করে পাকিস্তানের ৫৫% জনগণের মাতৃভাষা বাংলাকে বাতিল করে ১৪% জনগণের ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করতে চেয়েছিল, কিন্তু উর্দুভাষা পাকিস্তানের ৫ প্রদেশের একটি প্রদেশেও মাতৃভাষা নয় শুধু মাত্র পূর্ব বাংলার বাঙালিদের মাতৃভাষা বাংলা। জিন্নার দূরভিস্বন্ধি ও পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে যারা প্রশাসনের কাজ পাওয়ার যোগ্যতা ছিল তা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। মোহাম্মদ আলী জিন্নাকে নিয়া পূর্ব বাংলার জনগণ যে স্বপ্ন দেখেছে তা ধুলিৎসাত করে দিয়াছে। তখনই বাঙালিদের প্রিয় নেতা শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক যিনি ইংরেজদের তাড়িয়ে উপমহাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ চেয়েছিলেন। তার পরও উপমহাদেশ যদি একটি দেশ না হয় তবে বিহার, বাংলা, আসাম ও ত্রিপুরা নিয়া স্বাধীন দেশ হবে এর বিরোধীতা করেছে মোহাম্মদ আলী জিন্না তখনই শেরে বাংলা ১৯৪৬ সালের ইংরেজদের অধীনের সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন করেছেন সেই নির্বাচনে শেরে বাংলার দল কৃষক প্রজা পার্টি ৫টি আসনে জয়যুক্ত হয়েছে শেরে বাংলার আর্শিবাদ পুষ্ট অনেক নেতা তার বিরোধীতা করেছে। এই শেরে বাংলা তার দুঃখ কষ্ট ভুলে আবার পূর্ব বাংলার রাজধানী ঢাকায় হাইকোর্ট করেন। পরে বাঙালিদের পক্ষে  দাড়ান মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার জন্য এবং আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৫৪ সালের পাকিস্তানের নির্বাচনে অংশ নেন হক ভাসানী সোহরাওয়ার্দী যুক্তফ্রন্ট। যুক্তফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। শেরে বাংলা পূর্ব পাকিস্তানের মূখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর শেরে বাংলা বাঙালিদের জাগরণ সৃষ্টি করেন। ১। বাঙালিদের বাংলা নববর্ষ ১ বৈশাখকে সরকারি ছুটি ঘোষনা, ২। বাঙালিদের মাতৃভাষা জন্য যারা শহীদ হয়েছে তাদের স্মরণে ২১ ফেব্রুয়ারী সরকারী ছুটি ঘোষনা, ৩। বাংলা ভাষার উন্নয়নের জন্য বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা, ৪। গরীব কৃষকদের জন্য ঋনসালিশী বোর্ড গঠন এই ঋন সালিশী আইনের মাধ্যমে বাংলা কৃষকদের জাগর হয়েছে জমিদারদের নির্যাতন থেকে মুক্তি পেয়েছে।

বাঙালিদের জাগরণ দেখে পাকিস্তানি শাসক গোষ্টি ৫৪ নির্বাচনের উপর আঘাত হানে নির্বাচন বাতিল করেন পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সেন প্রধান আউবখান সামরিক শাষন জারি করেন এবং দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেন সামরিক শাসনের মাধ্যমে। যেই পাকিস্তানের জন্য শেরে বাংলা ১৯৪০ সালে ২৩ মার্চ লাহোর প্রস্তাব করেন ইংরেজদের তারিয়ে উপমহাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হবে। শেরে বাংলার স্বপ্নের স্বাধীন দেশ পাকিস্তানের শাসকরা তাকে অপমান করে সেই দুঃখে কষ্টে চিন্তায় অবস্থায় ১৯৬২ সালে শেরে বাংলা মৃত্যুবরণ করেন। শেরে বাংলার মৃত্যুর কিছু দিন আগে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধিন শেরে বাংলাকে দেখতে যান ভাষা শহীদের স্মরণে ২১ গানের রচয়িতা বিশ্বখ্যাত সাংবাদিক কলামিস্ট পলাশি থেকে ধানমন্ডি সিনামার লেখক ও পরিচালক বরিশালের কৃতি সন্তান আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন শেরে বাংলাকে লক্ষ করে নানা আপনি বাঙালি জাতিকে যা দিয়াছে তার ফিরিস্তি দেওয়ার যোগ্যতা আমার নাই। কিন্তু তার পরও আপনি কি করতে পারেন নাই। তখন শেরে বাংলা বলেছে একটি কাজ করতে পারি নাই। সেটি হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা সাথে সাথে তিনি আরো বলেছে এই কাজটি করবে আমার নাতি শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা বলেছে ৫৪ নির্বাচনের পর লন্ডন টাইমস এ পত্রিকার সাথে সাক্ষাতকারে। গাফফার চৌধুরী সেই শেরে বাংলার মুখের বাক্যটি শেখ মুজিব ভাইর কাছে বলেছেন শেখ মুজিব সেই কথাগুলো শুনে কেদে ফেলেছিল এবং বলেছে শেরে বাংলা বাঙালিদের যে সব কাজ করেছে তা বাঙালি জাতি চিরদিন স্মরন রাখতে হবে। ১৯৫৪ সালে শেরে বাংলার নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে বাঙালি ৪ জন নেতা ও দিকপাল সৃষ্টি করেছে। ১। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ২। মজলুর জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পাকিস্তানের সেরা অন্যতম নেতা তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রেরণ দিয়াছেন। ৩। দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করার সবই মানিক মিয়া ও দৈনিক ইত্তেফাক করেছে। ৪। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির পিতা ও মহান নেতা হয়েছেন।
শেখ মুজিব আইউবের ১৯৫৮ সাল থেকে ৬৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বিশেষভাবে ১৯৬৬ সালে বাঙালিদের মুক্তির সদন ৬ দফা ঘোষনা করেন ৬ দফা ঘোষনার পরপরই আইউব শাহী শেখ মুজিবকে ১নং ও লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২নং আসামী করে ৩৫ জনকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী করে। শেখ মুজিব লক্ষ ছিল সরকার পরিবর্তনের নীতি হবে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া আর লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনর স্বপ্ন ছিল যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করা। ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র যুবক শ্রমিক কৃষক পেশাজীবিরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইউব শাহীকে পরাস্ত করে। আইউব শাহী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে এবং ৬৯ এর ২২ ফেব্রুয়ারী শেখ মুজিবসহ সবাইকে মুক্তি দেয়। ২৩ ফেব্রুয়ারী ছাত্র যুবক জনতার পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা। সেই দিন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাঙালিদের জননন্দিত নেতা। আইউব শাহী বিতাড়িত হওয়ার পর পাকিস্তানের ২য় কুলাংগার পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন দেন ৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর ও ১৭ ডিসেম্বর। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয় পায় জাতীয় পরিষদে। কিন্তু ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধুর কাছে ক্ষমতা না দিয়া পূর্ব পাকিস্তানের নিরাস্ত্র জনগণের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। ২৫ মার্চ গণহত্যা চালায় এই হত্যার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষনা দেয়। এই ঘোষনার পর বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ নেন মানবতাবাদি মানবিক দেশ মহান ভারত। ভারতের জনগণ সরকার ও বিশ্বনন্দিত নেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি মিসেস ইন্দিরা গান্ধী। তিনি বাংলাদেশের সরকার গঠন করান পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গতাজ তাজউদ্দীনকে দিয়া ১০ এপ্রিল ও ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সরকারের শপথ গ্রহণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পরবর্তিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ৫ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষন দেয় অস্ত্র দেয়। পাকিস্তানের সামরিক জান্তার নির্যাতনে দেশ ছাড়া ১ কোটি স্মরণার্থিদের ভারতে আশ্রয় দেয়, খাদ্য দেয় এবং চিকিৎসা দেয়।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করে ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় হয়। যুদ্ধে মহান ভারতে ১৪ হাজার সেনা সদস্য শহীদ হয় সেই ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত মহান ভারত বাংলাদেশের বন্ধু দেশ। বিশেষভাবে উপমহাদেশ স্বাধীন হয়ে মানবতাবাদি মানবিক গণতান্ত্রিক মহান ভারতের ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট থেকে অজ অবদী যারা প্রধানমন্ত্রী হয়েছে প্রতিজনই মানবতাবাদি মানবিক ব্যক্তি ছিলেন। সেই সব ব্যক্তিরা হলেন মহান ভারতের জাতি পিতা মহাত্মা মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধী, প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জহর লাল নেহেরু, লাল বাহাদুর শাস্ত্রি, শ্রীমতি মিসেস ইন্দিরা গান্ধী, মোরারজী দেশাই, ভিপি সিং, রাজীব গান্ধী, দেবগৌড়া অটন বিহারী ভাজপেয়ী, ড. মনমোহন সিং ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নরেন্দ্রমোদী উপমহাদেশ স্বাধীন হয়ে যে ২টি দেশ জন্ম নিয়াছে একটি মহান ভারত ও অন্যটি বর্বর পাকিস্তান এই দুই দেশের সীমানা বিরোধ চলছিল এবং চলছিল স্বাধীন বাংলাদেশেও ৭৩ বছর পর্যন্ত। সীমান্তে যেসব লোক গুলোর নাগরিকতার পরিচয় ছিল না তাদের নাগরিক পরিচয় দিয়াছে। সীমানায় যারা বাস করতো তাদের ইচ্ছার উপর ভিত্তি করে সীমানা নির্ধারণ হয়েছে। এই কাজটি যিনি করেছে তিনি হলো মানবিক ব্যাক্তিত্ব সম্পূর্ণ মহান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকরা বাংলাদেশের ৩০ লক্ষ লোকদের হত্যা করেছে সারা বাংলাদেশে প্রায় ৫ লকক্ষ মা বোনদের ইজ¦ত হরণ করেছে তারা আজ বাংলাদেশের বন্ধু হতে চায়। বাংলার মাটিতে জিন্নার জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়। এই লজ্জা আমরা কোথায় রাখবো। আর চীন ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে লোক হত্যার জন্য অস্ত্র দিয়াছে। চীন মানবতা বিরোধী, ধর্ম বিরোধী। ১৯৪৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিশেষ ভাবে ১৯৭১ সালটি ছিল বাঙালির স্মরনি ও বাংলাদেশে বন্ধুত্বে শ্রেষ্ঠ সময়। ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু তার প্রমাণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির পর ৩ মাসের মধ্যে ভারতের সৈন্য প্রত্যাহার, ২৫ বছরের বন্ধুত্ব চুক্তি, পানি চুক্তি করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীদের বাধ্য করেছিল বাংলাদেশ সরকারের সাথে শান্তি চুক্তি করার জন্য, তাই শাস্তি চুক্তি হয়েছে সমুদ্র সীমানা পাওয়ার জন্য মহান ভারতের সহায়তা দিয়াছে। এই সবের জন্য বার বার প্রমান হয় মহান ভারত মানবতাবাদী মানবিক দেশ। মহান গণতান্ত্রিক মানবিক ভারতকে বর্তমানে যারা বিরোধীতা করে তারা দেশ বিরোধী দেশের উন্নয়ন বিরোধী উপমহাদেশের শান্তি বিরোধী। এই মুহুর্তে বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণের উচিত আসুন আমরা বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্বের সকল মানবতাবাদি মানবিক দেশগুলো ঐক্যচাই শান্তি চাই মনবতাবিরোধী চীন পাকিস্তানকে রুখে দাড়াই। বাংলাদেশ ভারতের বন্ধুত্ব অটুট হউক।প্রবন্ধ লেখক, –এম এ জলিল –সভাপতি –বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

মানবিক দেশ ও বিশ্ব গড়াতে ভারত’সহ মানবতাবাদি গণতান্ত্রিক বিশ্বের ঐক্য চাই মানবতা বিরোধী চীন পাকিস্তানকে রুখে দাঁড়ান

Update Time : ০৫:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

ফেসবুক: https://www.facebook.com/BangladeshNezameislamparty

ইউটিউব:www.youtube.com/@bangladeshnezameislamparty

এম এ জলিল : বিশ্ব সৃষ্টির পর থেকেই মানবজাতির কিছু সংখ্যক জ্ঞানীদের মাঝে অনুভূতি তৈয়ার হয় কিভাবে মানবজাতিকে সুসৃংখলিত করা যায়। সেই লক্ষে মানবজাতি আদিকাল থেকে সমাজ পাড়া মহল্লা সুশৃংখলিত করার জোর প্রচেষ্টা চালায়। এর ফলে সমাজ, পাড়া, মহল্লা দেশ জাতি বিশ্বের সব জাতির মাঝে অনুভূতি হয়। একে অপরের কাজে কি ভাবে লাগতে পারি। মানব জাতিকে সুশৃংখলিত করার জন্য চিন্তা ভাবনা তৈয়ার করেন আমাদের আদি নাগরিকরা, সমাজ দেশ রাষ্ট্রের চিন্তা করেছিল সেই সময় থেকেই, বিশ্বে একটি রাষ্ট্র তৈয়ার হয়। পরবর্তিতে মধ্য যুগের মানব জাতি রাষ্ট্র কাঠামো তৈয়ার করে। বিশেষ ভাবে সক্রেটিস, প্লেটো, এরিসটটল এই তিনজনের দর্শনে বিশ্ব মানবজাতির মর্যাদা তৈয়ারের পথে অগ্রসর হতে থাকে। বিশ্বকে আলোকিত করেছে জেমস ওয়ার্ড তিনি বিদ্যুত আবিস্কার করে বিশ্বকে উন্নয়নের উচ্চ স্থানে নিয়াছে, বেতার আবিস্কার করে মার্কনি। কোন দেশে কি হয়েছে তা জানতে পাড়া গিয়াছে, অন্যায়ের প্রতিবাদ হয়েছে অসহায় মানুষদের পাশ্বে দাড়িয়েছে বেতারের মাধ্যমে। আব্রাহাম টেলিফোন আবিস্কার করে বিশ্বকে প্রতিটি মানুষের হাতের মুঠায় এনেছেন, রাইট ব্রাদার্স প্লেন আবিস্কার করে বিশ্বের প্রতিটি দেশের সাথে স্বল্প সময়ে যোগাযোগের ব্যবস্থা করেছে। এই সব দর্শন ও আবিস্কারের জন্য বিশ্বের অসহায় জনগণ উপকৃত হয়েছে তার প্রমান বাংলাদেশে বা বিশ্বের যেকোন দেশে দূর্যোগ ও মহামারি হলে বিশ্বের সব মানবিক দেশই সাহায্য নিয়া এগিয়ে আসে, তার কারনে অসহায় জনগণ বেঁচে যায় স্বাস্থ্য সেবা পায়। সব কাজ থেকে প্রমাণ হয় বিশ্ব এক মানবজাতি। বিশ্বের সেরা মানবজাতি সৃষ্টি করেছেন যারা, মাতৃভাষা আবিস্কার করেছে তারা। বিশেষ ভাবে বাংলা, ইংরেজী, আরবি, হিন্দি, ফরাসি, জাপানি, চিনা সহ বিশ্বের প্রায় ৫ হাজার ভাষার জন্মদাতাদের স্মরণ করি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ বিশ্বের প্রতিটি মানুষ তার মনের ভাব বিনিময় করতে পারে মানব জাতি, সকল কল্যাণকর মানবজাতির কাছে পৌছে দিতে পারে। আমরা বাঙালি জাতি বাংলা ভাষার জন্মদাতা রাজা পঞ্চানন কর্মকারকে বিশেষভাবে স্মরণ করছি কারন তার জন্য বিশ্বে বাঙালি জাতি হিসেবে সকল জাতির সাথে একাকার হয়েছে।

বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বাঙালিদের বাংলা ভাষা আজ নেতৃত্ব দিচ্ছে ২১ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতী দিয়াছে জাতিসংঘ ও বাঙালি জনপ্রতীনিধি হয়েছে বিশেষভাবে ব্রিটেনে ৯ জন বাঙালি আইন প্রনেতা হয়েছে। ইহার মধ্যে রওশনআরা আলী ব্রিটেনের মন্ত্রী হয়েছে। বাঙালি জাতি বিশেষভাবে বাংলাদেশের জনগণ আজ গর্বিত। মহিলা আইন প্রণেতা হওয়ায় রওশনআরা আলী, টিউলিব সিদ্দিকী, রুপা হক ও আফসানা বেগমদের জন্য।
অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ইংরেজদের শাসন শোষন থেকে বাঙালিদের বাংলা ভাষার দেশ গঠনের লক্ষে যারা ভূমিকা রেখেছেন ক্ষুধিরাম বসু, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্ম অশ্বিনী কুমার দত্ত, দেশবন্ধু সিআর দাস, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক, রুপশী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাস, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, চারণ কবি মুকুন্দ দাস, নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু, অসহায় মানুষদের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য।
উল্লেখিত নেতা কবিদের আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ইংরেজদের তাড়িয়ে উপমহাদেশে দুইটি দেশ প্রতিষ্ঠা পায় একটি পাকিস্তান ও অন্যটি মহান ভারত। আমরা পাকিস্তানের নাগরিক। এই নাগরিকরা স্বাধীন পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য অগ্রনী ভূমিকা রেখেছে এবং ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে পূর্ব বাংলার জনগণ পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। পাকিস্তানের গভর্ণর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নার পক্ষে সমর্থন দেয় অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বাংলার মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম, সাবেক বাংলার প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও যুব নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু জিন্নাহ সেই সমর্থনকে না করে পাকিস্তানের ৫৫% জনগণের মাতৃভাষা বাংলাকে বাতিল করে ১৪% জনগণের ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করতে চেয়েছিল, কিন্তু উর্দুভাষা পাকিস্তানের ৫ প্রদেশের একটি প্রদেশেও মাতৃভাষা নয় শুধু মাত্র পূর্ব বাংলার বাঙালিদের মাতৃভাষা বাংলা। জিন্নার দূরভিস্বন্ধি ও পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে যারা প্রশাসনের কাজ পাওয়ার যোগ্যতা ছিল তা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। মোহাম্মদ আলী জিন্নাকে নিয়া পূর্ব বাংলার জনগণ যে স্বপ্ন দেখেছে তা ধুলিৎসাত করে দিয়াছে। তখনই বাঙালিদের প্রিয় নেতা শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক যিনি ইংরেজদের তাড়িয়ে উপমহাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ চেয়েছিলেন। তার পরও উপমহাদেশ যদি একটি দেশ না হয় তবে বিহার, বাংলা, আসাম ও ত্রিপুরা নিয়া স্বাধীন দেশ হবে এর বিরোধীতা করেছে মোহাম্মদ আলী জিন্না তখনই শেরে বাংলা ১৯৪৬ সালের ইংরেজদের অধীনের সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন করেছেন সেই নির্বাচনে শেরে বাংলার দল কৃষক প্রজা পার্টি ৫টি আসনে জয়যুক্ত হয়েছে শেরে বাংলার আর্শিবাদ পুষ্ট অনেক নেতা তার বিরোধীতা করেছে। এই শেরে বাংলা তার দুঃখ কষ্ট ভুলে আবার পূর্ব বাংলার রাজধানী ঢাকায় হাইকোর্ট করেন। পরে বাঙালিদের পক্ষে  দাড়ান মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার জন্য এবং আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৫৪ সালের পাকিস্তানের নির্বাচনে অংশ নেন হক ভাসানী সোহরাওয়ার্দী যুক্তফ্রন্ট। যুক্তফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। শেরে বাংলা পূর্ব পাকিস্তানের মূখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর শেরে বাংলা বাঙালিদের জাগরণ সৃষ্টি করেন। ১। বাঙালিদের বাংলা নববর্ষ ১ বৈশাখকে সরকারি ছুটি ঘোষনা, ২। বাঙালিদের মাতৃভাষা জন্য যারা শহীদ হয়েছে তাদের স্মরণে ২১ ফেব্রুয়ারী সরকারী ছুটি ঘোষনা, ৩। বাংলা ভাষার উন্নয়নের জন্য বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা, ৪। গরীব কৃষকদের জন্য ঋনসালিশী বোর্ড গঠন এই ঋন সালিশী আইনের মাধ্যমে বাংলা কৃষকদের জাগর হয়েছে জমিদারদের নির্যাতন থেকে মুক্তি পেয়েছে।

বাঙালিদের জাগরণ দেখে পাকিস্তানি শাসক গোষ্টি ৫৪ নির্বাচনের উপর আঘাত হানে নির্বাচন বাতিল করেন পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সেন প্রধান আউবখান সামরিক শাষন জারি করেন এবং দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেন সামরিক শাসনের মাধ্যমে। যেই পাকিস্তানের জন্য শেরে বাংলা ১৯৪০ সালে ২৩ মার্চ লাহোর প্রস্তাব করেন ইংরেজদের তারিয়ে উপমহাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হবে। শেরে বাংলার স্বপ্নের স্বাধীন দেশ পাকিস্তানের শাসকরা তাকে অপমান করে সেই দুঃখে কষ্টে চিন্তায় অবস্থায় ১৯৬২ সালে শেরে বাংলা মৃত্যুবরণ করেন। শেরে বাংলার মৃত্যুর কিছু দিন আগে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধিন শেরে বাংলাকে দেখতে যান ভাষা শহীদের স্মরণে ২১ গানের রচয়িতা বিশ্বখ্যাত সাংবাদিক কলামিস্ট পলাশি থেকে ধানমন্ডি সিনামার লেখক ও পরিচালক বরিশালের কৃতি সন্তান আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন শেরে বাংলাকে লক্ষ করে নানা আপনি বাঙালি জাতিকে যা দিয়াছে তার ফিরিস্তি দেওয়ার যোগ্যতা আমার নাই। কিন্তু তার পরও আপনি কি করতে পারেন নাই। তখন শেরে বাংলা বলেছে একটি কাজ করতে পারি নাই। সেটি হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা সাথে সাথে তিনি আরো বলেছে এই কাজটি করবে আমার নাতি শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা বলেছে ৫৪ নির্বাচনের পর লন্ডন টাইমস এ পত্রিকার সাথে সাক্ষাতকারে। গাফফার চৌধুরী সেই শেরে বাংলার মুখের বাক্যটি শেখ মুজিব ভাইর কাছে বলেছেন শেখ মুজিব সেই কথাগুলো শুনে কেদে ফেলেছিল এবং বলেছে শেরে বাংলা বাঙালিদের যে সব কাজ করেছে তা বাঙালি জাতি চিরদিন স্মরন রাখতে হবে। ১৯৫৪ সালে শেরে বাংলার নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে বাঙালি ৪ জন নেতা ও দিকপাল সৃষ্টি করেছে। ১। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ২। মজলুর জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পাকিস্তানের সেরা অন্যতম নেতা তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রেরণ দিয়াছেন। ৩। দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করার সবই মানিক মিয়া ও দৈনিক ইত্তেফাক করেছে। ৪। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির পিতা ও মহান নেতা হয়েছেন।
শেখ মুজিব আইউবের ১৯৫৮ সাল থেকে ৬৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বিশেষভাবে ১৯৬৬ সালে বাঙালিদের মুক্তির সদন ৬ দফা ঘোষনা করেন ৬ দফা ঘোষনার পরপরই আইউব শাহী শেখ মুজিবকে ১নং ও লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২নং আসামী করে ৩৫ জনকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী করে। শেখ মুজিব লক্ষ ছিল সরকার পরিবর্তনের নীতি হবে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া আর লেঃ কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনর স্বপ্ন ছিল যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করা। ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র যুবক শ্রমিক কৃষক পেশাজীবিরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইউব শাহীকে পরাস্ত করে। আইউব শাহী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে এবং ৬৯ এর ২২ ফেব্রুয়ারী শেখ মুজিবসহ সবাইকে মুক্তি দেয়। ২৩ ফেব্রুয়ারী ছাত্র যুবক জনতার পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা। সেই দিন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাঙালিদের জননন্দিত নেতা। আইউব শাহী বিতাড়িত হওয়ার পর পাকিস্তানের ২য় কুলাংগার পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন দেন ৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর ও ১৭ ডিসেম্বর। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয় পায় জাতীয় পরিষদে। কিন্তু ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধুর কাছে ক্ষমতা না দিয়া পূর্ব পাকিস্তানের নিরাস্ত্র জনগণের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। ২৫ মার্চ গণহত্যা চালায় এই হত্যার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষনা দেয়। এই ঘোষনার পর বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ নেন মানবতাবাদি মানবিক দেশ মহান ভারত। ভারতের জনগণ সরকার ও বিশ্বনন্দিত নেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি মিসেস ইন্দিরা গান্ধী। তিনি বাংলাদেশের সরকার গঠন করান পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গতাজ তাজউদ্দীনকে দিয়া ১০ এপ্রিল ও ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সরকারের শপথ গ্রহণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পরবর্তিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ৫ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষন দেয় অস্ত্র দেয়। পাকিস্তানের সামরিক জান্তার নির্যাতনে দেশ ছাড়া ১ কোটি স্মরণার্থিদের ভারতে আশ্রয় দেয়, খাদ্য দেয় এবং চিকিৎসা দেয়।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করে ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় হয়। যুদ্ধে মহান ভারতে ১৪ হাজার সেনা সদস্য শহীদ হয় সেই ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত মহান ভারত বাংলাদেশের বন্ধু দেশ। বিশেষভাবে উপমহাদেশ স্বাধীন হয়ে মানবতাবাদি মানবিক গণতান্ত্রিক মহান ভারতের ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট থেকে অজ অবদী যারা প্রধানমন্ত্রী হয়েছে প্রতিজনই মানবতাবাদি মানবিক ব্যক্তি ছিলেন। সেই সব ব্যক্তিরা হলেন মহান ভারতের জাতি পিতা মহাত্মা মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধী, প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জহর লাল নেহেরু, লাল বাহাদুর শাস্ত্রি, শ্রীমতি মিসেস ইন্দিরা গান্ধী, মোরারজী দেশাই, ভিপি সিং, রাজীব গান্ধী, দেবগৌড়া অটন বিহারী ভাজপেয়ী, ড. মনমোহন সিং ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নরেন্দ্রমোদী উপমহাদেশ স্বাধীন হয়ে যে ২টি দেশ জন্ম নিয়াছে একটি মহান ভারত ও অন্যটি বর্বর পাকিস্তান এই দুই দেশের সীমানা বিরোধ চলছিল এবং চলছিল স্বাধীন বাংলাদেশেও ৭৩ বছর পর্যন্ত। সীমান্তে যেসব লোক গুলোর নাগরিকতার পরিচয় ছিল না তাদের নাগরিক পরিচয় দিয়াছে। সীমানায় যারা বাস করতো তাদের ইচ্ছার উপর ভিত্তি করে সীমানা নির্ধারণ হয়েছে। এই কাজটি যিনি করেছে তিনি হলো মানবিক ব্যাক্তিত্ব সম্পূর্ণ মহান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকরা বাংলাদেশের ৩০ লক্ষ লোকদের হত্যা করেছে সারা বাংলাদেশে প্রায় ৫ লকক্ষ মা বোনদের ইজ¦ত হরণ করেছে তারা আজ বাংলাদেশের বন্ধু হতে চায়। বাংলার মাটিতে জিন্নার জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়। এই লজ্জা আমরা কোথায় রাখবো। আর চীন ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে লোক হত্যার জন্য অস্ত্র দিয়াছে। চীন মানবতা বিরোধী, ধর্ম বিরোধী। ১৯৪৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিশেষ ভাবে ১৯৭১ সালটি ছিল বাঙালির স্মরনি ও বাংলাদেশে বন্ধুত্বে শ্রেষ্ঠ সময়। ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু তার প্রমাণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির পর ৩ মাসের মধ্যে ভারতের সৈন্য প্রত্যাহার, ২৫ বছরের বন্ধুত্ব চুক্তি, পানি চুক্তি করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীদের বাধ্য করেছিল বাংলাদেশ সরকারের সাথে শান্তি চুক্তি করার জন্য, তাই শাস্তি চুক্তি হয়েছে সমুদ্র সীমানা পাওয়ার জন্য মহান ভারতের সহায়তা দিয়াছে। এই সবের জন্য বার বার প্রমান হয় মহান ভারত মানবতাবাদী মানবিক দেশ। মহান গণতান্ত্রিক মানবিক ভারতকে বর্তমানে যারা বিরোধীতা করে তারা দেশ বিরোধী দেশের উন্নয়ন বিরোধী উপমহাদেশের শান্তি বিরোধী। এই মুহুর্তে বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণের উচিত আসুন আমরা বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্বের সকল মানবতাবাদি মানবিক দেশগুলো ঐক্যচাই শান্তি চাই মনবতাবিরোধী চীন পাকিস্তানকে রুখে দাড়াই। বাংলাদেশ ভারতের বন্ধুত্ব অটুট হউক।প্রবন্ধ লেখক, –এম এ জলিল –সভাপতি –বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ