০৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

বি এন পি ক্ষমতার জন্য ইসলামি দলের সহযোগিতা চায়

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  • Update Time : ০৫:২৪:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫
  • / ২৭৬ Time View

 

মজলুমের ডাক সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি পীরজাদা সৈয়দ মোঃ আহসান ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার আনসারী যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন। ৫ আগষ্টের পরে ড. ইউনুস ক্ষমতা গ্রহণের আগেই ভারত হাসিনার বিকল্প হিসাবে বিএনপিকে বেছে নেয় এবং ফোন আলাপে বিএনপি পজিটিভ হলে ভারত বিএনপিকে শর্ত দেয় বিএনপি যদি জামাত সহ সকল ধর্মীয় দল হতে নিজেকে আলাদা করে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে তবে ভারত বিএনপিকে সরকার গঠনে সবরকম সহযোগিতা করবে।

শুরু হয় নতুন অধ্যায়, ভারতের মধ্যস্ততায় সেনাপ্রধান ও বিএনপি একমত হলে ঐ দিনই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় এবং কয়দিনের মধ্যে বিএনপির নেতা আমীরখসরু সহ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল গোপনে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আমিতশাহ সাথে দেখা করে এবং কিছু গোপন চুক্তি করে। ফলে দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র জামাত ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের সাথে মুহূর্তের মধ্যে তৈরী হয় বিএনপির যোজন যোজন দূরত্ব। হঠাৎ করেই ক্ষমতা পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর বিএনপি ভারতের ইশারায় হাসিনার নিয়োগকৃত রাষ্ট্রপতিকে পরিবর্তনে বাধা দেয়,ফলে সেনাপ্রধান হয় শক্তিশালী। সেই সুযোগে সেনাপ্রধান ৬২৬ জন আওয়ামীলীগের নেতাদেরকে সেনানিবাসে আশ্রয় দেয় ও পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। এবং গ্রেফতার হওয়ার পরও জামিনে মুক্তি দিয়ে বিদেশে যেতে সাহায্য করে ৫০০ অধিক জন আওয়ামীলীগ নেতাকে। এদিকে সংস্কার ইচ্ছুক ইউনূস সরকার ক্ষমতা নিয়েই যেন অকার্যকর সরকার। প্রায় সকল দপ্তরই সেনাপ্রধান সরাসরি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্রদের চিকিৎসা এবং নিহত ছাত্রদের ক্ষতিপুরনের সকল প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্ররা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করলেও ড. ইউনূস তাদেরকে কোন সাহায্যই করতে পারে নি। কিন্তু ড. ইউনূস অত্যান্ত সংযমি এবং কৌশলে সংস্কার কাজ চালিয়ে নিতে চেষ্টা করছে। এদিকে বিএনপি ইচ্ছে করেই কোন কারণ ছাড়াই ছাত্রদলকে দিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদেরকে দমনের চেষ্টা করছে যাতে ভারত খুশি হয়। অন্যদিকে সেনাপ্রধান ওয়াকারের নিরবতায় বিএনপি ইতিমধ্যে চাঁদাবাজের দল হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্টে উঠে এসেছে আগামী নির্বাচন যদি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয় তবে বিএনপির জয়লাভের কোন সুযোগই নেই। তাই সেনাপ্রধান ওয়াকার বিএনপি ও ভারত এখন ক্ষনে ক্ষনে রুপ বদল করছে। কখনো ধমক দিচ্ছে কখনো বা নিজেকেই রাষ্ট্রের প্রধান ভাবছে। ঐ দিকে ভারত হাসিনার দল আওয়ামীলীগকে আবারও প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে এবং বিএনপি তার কোন বিরোধিতা করছে না। বিএনপি যদি ভারতের ফাঁদে পা না দিতো তবে সকল ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করতে পারতো এবং দেশ ও জাতির প্রকৃত মুক্তি হতো এবং দেশও শক্তিশালী হতো ও এগিয়ে যেতো। জাতির সাথে গাদ্দারী করার জন্য বিএনপিকে মির্জাফরের পরিনতি ভোগ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ । বিজ্ঞপ্তি)

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

বি এন পি ক্ষমতার জন্য ইসলামি দলের সহযোগিতা চায়

Update Time : ০৫:২৪:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫

 

মজলুমের ডাক সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি পীরজাদা সৈয়দ মোঃ আহসান ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার আনসারী যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন। ৫ আগষ্টের পরে ড. ইউনুস ক্ষমতা গ্রহণের আগেই ভারত হাসিনার বিকল্প হিসাবে বিএনপিকে বেছে নেয় এবং ফোন আলাপে বিএনপি পজিটিভ হলে ভারত বিএনপিকে শর্ত দেয় বিএনপি যদি জামাত সহ সকল ধর্মীয় দল হতে নিজেকে আলাদা করে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে তবে ভারত বিএনপিকে সরকার গঠনে সবরকম সহযোগিতা করবে।

শুরু হয় নতুন অধ্যায়, ভারতের মধ্যস্ততায় সেনাপ্রধান ও বিএনপি একমত হলে ঐ দিনই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় এবং কয়দিনের মধ্যে বিএনপির নেতা আমীরখসরু সহ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল গোপনে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আমিতশাহ সাথে দেখা করে এবং কিছু গোপন চুক্তি করে। ফলে দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র জামাত ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের সাথে মুহূর্তের মধ্যে তৈরী হয় বিএনপির যোজন যোজন দূরত্ব। হঠাৎ করেই ক্ষমতা পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর বিএনপি ভারতের ইশারায় হাসিনার নিয়োগকৃত রাষ্ট্রপতিকে পরিবর্তনে বাধা দেয়,ফলে সেনাপ্রধান হয় শক্তিশালী। সেই সুযোগে সেনাপ্রধান ৬২৬ জন আওয়ামীলীগের নেতাদেরকে সেনানিবাসে আশ্রয় দেয় ও পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। এবং গ্রেফতার হওয়ার পরও জামিনে মুক্তি দিয়ে বিদেশে যেতে সাহায্য করে ৫০০ অধিক জন আওয়ামীলীগ নেতাকে। এদিকে সংস্কার ইচ্ছুক ইউনূস সরকার ক্ষমতা নিয়েই যেন অকার্যকর সরকার। প্রায় সকল দপ্তরই সেনাপ্রধান সরাসরি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্রদের চিকিৎসা এবং নিহত ছাত্রদের ক্ষতিপুরনের সকল প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্ররা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করলেও ড. ইউনূস তাদেরকে কোন সাহায্যই করতে পারে নি। কিন্তু ড. ইউনূস অত্যান্ত সংযমি এবং কৌশলে সংস্কার কাজ চালিয়ে নিতে চেষ্টা করছে। এদিকে বিএনপি ইচ্ছে করেই কোন কারণ ছাড়াই ছাত্রদলকে দিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদেরকে দমনের চেষ্টা করছে যাতে ভারত খুশি হয়। অন্যদিকে সেনাপ্রধান ওয়াকারের নিরবতায় বিএনপি ইতিমধ্যে চাঁদাবাজের দল হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্টে উঠে এসেছে আগামী নির্বাচন যদি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয় তবে বিএনপির জয়লাভের কোন সুযোগই নেই। তাই সেনাপ্রধান ওয়াকার বিএনপি ও ভারত এখন ক্ষনে ক্ষনে রুপ বদল করছে। কখনো ধমক দিচ্ছে কখনো বা নিজেকেই রাষ্ট্রের প্রধান ভাবছে। ঐ দিকে ভারত হাসিনার দল আওয়ামীলীগকে আবারও প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে এবং বিএনপি তার কোন বিরোধিতা করছে না। বিএনপি যদি ভারতের ফাঁদে পা না দিতো তবে সকল ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করতে পারতো এবং দেশ ও জাতির প্রকৃত মুক্তি হতো এবং দেশও শক্তিশালী হতো ও এগিয়ে যেতো। জাতির সাথে গাদ্দারী করার জন্য বিএনপিকে মির্জাফরের পরিনতি ভোগ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ । বিজ্ঞপ্তি)