বিতর্কিত পিতৃত্বের সন্তান আওলাদও আদম পাচারকারী দালাল চক্রে হাতে পড়েছে

- Update Time : ০৬:৫৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ৯২ Time View
মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি : ভোলা জেলার আওলাদ আদম পাচারকারী চক্রের হাতে পড়ে ইহকালীন জীবনের সর্বস্ব হারানোর পথে উঠেছে। তার বিতর্কিত পৈতৃক সূত্রের ও মাতৃক সূত্রের উর্ধ্বতন প্রজন্মের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ, পারিবারিক বিরোধ, স্থানীয় গ্রাম্য রাজনীতি সংক্রান্ত বিরোধ ও ক্ষুদ্র স্বার্থজনিত বিরোধ বিদ্যমান আছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, তার পৈতৃক সূত্রের ও মাতৃক সূত্রের উর্ধ্বতন প্রজন্মের সাথের বিরোধিতা ১৯৭২ ইং সাল হতেই এওয়াজপুরের মাটিতে চলমান আছে। ইসলাম ধর্মীয় নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর পৈতৃক পরিবারের ঝগড়া-বিবাদ-তুফানের মতই তার (আওলাদের) পৈতৃক-মাতৃক উর্ধ্বতন বিতর্কিত প্রজন্মের প্রতিপক্ষের সাথে শত্রুতার ও বিপক্ষের সাথে শত্রুতা থাকার কারনে- ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার শশীভূষণ থানা এলাকার এওয়াজপুর ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের বিধাতাগত সন্তান আওলাদের সর্বস্ব খোয়ানোর জন্যই- কে বা কাহারা আওলাদকে ক্ষতিগ্রস্ত করার শ্রেণিবিভাগ ভিত্তিত কর্মযজ্ঞে পড়ার ষড়যন্ত্রে-চক্রান্তে নেমেছে বলে বিজ্ঞ মহল মনে করে। ইহকালে- হযরত আদম (আঃ) ব্যতীত হযরত আদম (আঃ) এর বিবাহহীন স্ত্রী বিবি হাওয়ার গর্ভজাত সন্তান হযরত শীচ (আঃ) ও ইঞ্জিল কিতাবের বার্তা বাহকের মা বিবি মরিয়মের পিতৃত্বহীন গর্ভজাত সন্তান হযরত ঈসা (আঃ) এর মতই ভূমিষ্ঠ সন্তান আওলাদ। কেউ কেউ বলেছে যে, কৃষ্ঞের মায়ের গর্ভের সন্তান কৃষ্ঞকে গর্ভান্তরের মাধ্যমে কৃষ্ঞের মায়ের বান্ধবী রোহিনীর স্বামীর ঔরসহীনভাবে গর্ভজাত (রোহিনীর গর্ভজাত) সন্তান শ্রীকৃষ্ঞের ভূমিষ্ঠতার মতই আওলাদের ভূমিষ্ঠপাত ঘটেছে। কেউ কেউ বলেছে যে, শয়তান বিষ্ঞু পার্বতী দেবতার সন্তানদেরকে মেরে ফেলার আশঙ্কা থাকায় পার্বতীর গুপ্ত স্বামীর জৈবিকতায় ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানের মতই বর্তমান ঐ আওলাদের জন্ম ও ভূমিষ্ঠতা। এক কথায় বিতর্কিত পিতৃত্বজনিত সন্তান আওলাদ।
সে টাকার নেশায় পড়ে বর্তমানে সৌদি আরবে যাওয়ার প্রলোভনে আদম পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। ইতিপূর্বে আওলাদের এক সহোদর ভাই হৃদয়ও অনুরূপভাবে আদম পাচারকারী চক্রের হাতে পড়ে বর্তমানে কম্বোডিয়ায় আছে। সে (হৃদয়) বর্তমানে আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রের অধীনে আছে। এক মাসের জন্য সেখানে ভ্রমন করার উদ্দেশ্যে গিয়েছিল। বর্তমানে তার পাসপোর্টও তার সাথে নাই। কম্বোডিয়ায় তার সব কেড়ে নিয়ে তাকে বন্ধী রাখার খবর পাওয়া গিয়েছে। এমনকি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সর্বশেষ সীমান্ত বিরোধের যুদ্ধের সময়ও ভ্রমন ভিসায় যাওয়া হৃদয়কে গৃহবন্ধী ও গৃহে নজরবন্ধী করে রাখা হয়েছে। কম্বোডিয়ার বিখ্যাত সংবাদ মাধ্যম দৈনিক কম্বোডিয়ান নিউজের সাংবাদিক (প্রত্যক্ষদর্শী) সূত্রে জানা গেছে যে, হৃদয়কে রাতের বেলায় কাজের চাপে নিয়োজিত রেখে দিনের বেলায় হাত-পা বেঁধে তার শরীরে ফোঁটায় ফোঁটায় গরম গলিত প্লাস্টিক ঢালা হয়। তাতে সে উক্ত অত্যাচারে নির্যাতিত হয়ে দিন কাটাতে বাধ্য আছে। আবার সে যাতে নির্যাতনের এই খবরও বাংলাদেশের কারো কাছে পৌছাতে না পারে সেই ব্যবস্থাও করা আছে। আদম পাচারকারীরা হৃদয়ের বড় ভাই আওলাদের সাথেও অনুরূপ আচরণ করার জন্য আওলাদকে সৌদি আরব নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রের বীজ বুনেছে। যদিও শ্রীকৃষ্ঞের জন্মের আগে তার (শ্রীকৃষ্ঞের) মৃত্যূর জন্য শ্রীকৃষ্ঞের মায়ের নিকট হুমকি ছিল। পার্বতি দেবতার সন্তানদেরকে মেরে ফেলার জন্য বিষ্ঞু শয়তানের হুমকি ছিল। আওলাদকে ও হৃদয়কে মেরে ফেলার জন্য কোন হুমকির চাক্ষুষ খোঁজ না পাওয়া গেলেও অনুরূপ হুমকি পাওয়ার লক্ষণ বিদ্যমান আছে। কেননা- আওলাদ ও হৃদয়ের মত ভূমিষ্ঠ হওয়া তাদের আরেক ভাই রাব্বি জন্ম থেকেই জীবিকা নির্বাহের নানান বৈরীতার কারণে নিজস্ব মা-ঘর-বাড়ি থাকা সত্ত্বেও নানার বাড়িতে নানীর কাছে লালিত-পালিত হয়েছে। তাই বিতর্কিত পিতৃত্বের ঐ তিন সন্তান যেখানেই থাকুক না কেন তাদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশেই তাদের রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা প্রয়োজন। ইতিপূর্বে এলাকার ইউনুস মাঝি নামক এক কুখ্যাত ডাকাত ও মাগিবাজের দালালের খপ্পরে পড়ে আওলাদের জৈবিকতারও অপব্যবহারের খবর পাওয়া গেছে। মাফিয়া চক্রের তৎপরতায় একই রকম কু-কীর্তিতে পড়ে ঐ এলাকার রিয়াদ নামক এক ছেলে নিজের নাম ওদল-বদল করে ইমতিয়াজ আহম্মদ নামে একবার সিঙ্গাপুর গিয়েছে, একবার দক্ষিন আফ্রিকা, কয়েককার ইন্ডিয়া গিয়ে বর্তমানে পুরোপুরি নষ্ট জীবন-যাপন করছে। ঐ ইউনুস মাঝির গুপ্ত চক্রান্তে তার জৈবিকতারও অপব্যবহার ঘটিয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ছবিতে- আওলাদ-হৃদয়-শিশু রাব্বি এবং ঊনবিংশ শতাব্দির ষাট দশকীয় কাল হতেই তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মোতালেব মেম্বার ও চরফ্যাসন বাজারের দেহ ব্যবসার আস্তানা খ্যাত মারুফ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল