বিগত ফ্যাসিবাদের বিচার ও পাচারকৃত অর্থ আদায়ে ব্যবস্থা নিন ——-ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্ট

- Update Time : ০৩:৫৯:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
- / ১৩৪ Time View
ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহবায়ক শাহসূফী ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আবদুল হান্নান আল হাদী বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিগত ১৬ বছরে ২৮ লক্ষ কোটি টাকা অর্থ পাচার করে দেশকে দেউলিয়া করেছে। ঘুষ, দুর্নীতিতে দেশ সয়লাব করে দেশকে ভঙ্গুর অবস্থায় নিপতিত করেছে। ঘুষ ছাড়া অফিস আদালতে কোন কাজ হয় নাই অতীতে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক বলে খোদ শেখ হাসিনা বক্তব্য দিয়েছে। এমন আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের বিচার ছাড়া নির্বাচন দিলে জনগণের কোন কল্যাণ হবে না।
আজ সোমবার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আবদুল হান্নান আল হাদী বলেন, বিগত সরকারের আমলে দেশব্যাপি চাঁদাবাজি, দখলবাজি, ব্যাংক, শিল্প প্রতিষ্ঠান, অন্যের বাড়ি দখল চলছে অসংখ্য। এটা জাতিকে ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। তিনি বলেন, অফিস আদালতসহ কোথাও কোন ন্যায় বিচার ছিল না। থানায় নিজ দলের বাইরে কারোই মামলা না নেওয়া, দেশব্যাপি ধর্ষণ, জুয়া, ক্যাসিনো, মদ ও ইয়াবায় ছয়লাবে যুব চরিত্র ধ্বংস।
ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আবদুল হান্নান আল হাদী বলেন, একজন সরকার দলীয় কর্মীও কোটি কোটি টাকার মালিক। ইসলাম বর্জনের ন্যায়, নীতি ও ধর্মীয় মুল্যবোধ বিলীনের পথে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের তিনটি ভূয়া নির্বাচন দিয়ে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে ফ্যাসিবাদ সরকার। বিরোধী রাজনৈতিক তৎপরতা বন্ধ ও বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদ। কিন্তু বিএনপি অল্পতেই সেই জুলুম নির্যাতন ভুলে গেছে।
তিনি বলেন, বড় বড় নেতাদের ঘুষ দিয়ে বিরোধী আন্দোলন বন্ধ করে রেখেছিল। শাপলা চত্তরে হেফাজতের সমাবেশ নস্যাৎ করতে বিজিবি, র্যাব, পুলিশের হত্যাকান্ড প্রায় ৩০০ নিহত, পিলখানা বিডিআরের ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৫ জন হত্যা, ২০২৪ সালে জুলাই আগস্টে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, আনসারের গুলিতে দুই সহস্রাধিক ছাত্র-জনতা হত্যা করে এবং ৫০ হাজার ছাত্র-জনতা পঙ্গুত্ববরণ ও রক্তাক্ত হয়। এ সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে দলীয় নেতা কর্মীরা কোন প্রতিবাদ করেনি কখনও, শেষ পর্যন্ত সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য তারা চেষ্টা করে গেছে। তাই আওয়ামী লীগসহ অংগ সংগঠনের সকল সদস্যের বিচার ও শাস্তি ও সরকারেরও বিচার ও শাস্তি হওয়া ছাড়া কোন নির্বাচন নয়।
১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদ করে জেনারেল ওসমানী, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ও ছাত্র নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু এবার আ,লীগের কেউ অন্যায়ের প্রতিবাদ করেনি। কাজেই তাদের সকলেরই শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।