১১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশে ও বাহরাইনে সন্তান জন্মদানের অক্ষম পুরুষের একাধিক চোরাই সন্তান

Reporter Name
- Update Time : ০১:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
- / ১০০ Time View
মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি :বাহরাইনে চার দশক পর জানলেন তার স্ত্রীর গর্ভের পাঁচ সন্তানের এবং বাংলাদেশে তিন দশকের পর জানলেন স্ত্রীর গর্ভের তিন ছেলের বাবা নন তারা। বাহরাইনের এই ফুটন্ত ও ঘটন্ত ঘটনার মত- বাংলাদেশের ভোলা জেলার শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের এক ঘটনা ধরা পড়েছে। ঘটনার সত্যতার জন্য- বাংলাদেশের ভোলা জেলার শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামকে কঠোর গোপনে ওমানে নিয়ে ওমানের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা তার (রফিকুল ইসলাম, পিতা- মৃত: আব্দুর রশিদ কয়াল) জৈবিকতা বা ক্রোমোজোমাল স্ট্যাটাস পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে, সে (রফিকুল ইসলাম, পিতা- মৃত: আব্দুর রশিদ কয়াল) সন্তান জন্মদানের জৈবিকতা (XY Cromosome) বিহীন পুরুষ।

বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে যে, বাংলাদেশের ডি:এন:এ:(DNA) টেস্ট সহ বিভিন্ন মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট দেশে-বিদেশে ত্রুটিযুক্ত, সত্যতাহীন, অগ্রহণযোগ্য ও অবিশ্বাসযোগ্য বিধায়- ঐ রফিকুল ইসলাম (পিতা- মৃত: আব্দুর রশিদ কয়াল) এর জৈবিকতার বা ক্রোমোজোমাল স্ট্যাটাসের বা সন্তান জন্মদানের সক্ষমতার পরীক্ষাটি বিদেশের মাটিতে করানো হয়েছে। অন্য দিকে ঐ রফিকুল ইসলাম (পিতা- মৃত: আব্দুর রশিদ কয়াল) এর কথিত বাংলাদেশী স্ত্রী রিনা বেগমের এগার বছর বয়সের বাল্যকালীন পারিবারিক স্ট্যাটাস থেকেও জানা গিয়েছিল যে, রিনা বেগম সন্তান ধারণের ক্ষেত্রের জৈবিকতাবিহীন (XX Cromosome) মেয়েদের একজন। তাই তার কতেক বায়োলজিক্যাল স্বামীর সাথে বিরোধ ঘটার ঘটনাও রয়েছে। অন্যদিকে উক্ত রফিকুল ইসলাম টাকার নেশায় ওমানে পলাতক থাকাকালে, ওমানী অর্থোডক্স গীর্জার একাধিক পাদ্রীর যোগসাজশে গোপনে গোপনে খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহণ করে, একাধিক খ্রীষ্টান মহিলা বিবাহ করেও বিবাহিত স্ত্রীদেরকে কোন সন্তান দিতে না পারায়, তার ওমানী স্ত্রীরা তাকে (প্রতারক রফিকুল ইসলামকে) বাংলাদেশে ফেরত হতে বাধ্য করছে। রফিকুল ইসলামের সাথে আলাপ করে জানা গেছে যে, তার অনেক ইচ্ছা ছিল ওমানে তার বিবাহিত স্ত্রীদের কারো না কারো কাছে স্থায়ীভাবে বসবাস করার। কিন্তু ওমানী খ্রীষ্টান মহিলাদের মূল চাহিদা হলো তাদেরকে সন্তান দেওয়া এবং সে (রফিকুল ইসলাম) সন্তানদানের জৈবিকতায় অক্ষম বিধায় বর্তমানে সে দেশে ফেরত আসতে বাধ্য হয়েছে। রফিক আরো জানিয়েছে যে, বাংলাদেশের মত ওমানে অন্যের সন্তান ও স্ত্রী চুরি করা যায় না। সন্তান চুরি করারও কয়েক দফা চেষ্টা- সে ওমানে করেছে। কিন্তু তার ওমানের খ্রীষ্টান স্ত্রীগণ চোরাই সন্তানকে নিজের সন্তান বলে লালন-পালন করতে রাজি হন নাই। তাই তার প্রতারণা ওমানী মহিলাদের কাছে স্পষ্ট হওয়ায়, তার ওমানী গোপন স্ত্রীদের ন্যায়বাদী জ্বালা-যন্ত্রনায় তাকে ওমান পুলিশের কাছে ধরা দিয়ে বাংলাদেশে ফিরতে-ই হয়েছে। এদিকে গত শুক্রবার, ১লা আগস্ট ২০২৫ ইং বা ১৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বাংলা তারিখে প্রকাশিত সময় নিউজের বরাতে বা সূত্রে, বাহরাইনের ঘটনায় জানা গেছে যে, চার দশক (চল্লিশ বছর) পর জানলেন স্ত্রীর গর্ভের ৫ সন্তানের বাবা নন তিনি। ৪০ বছরের দাম্পত্য জীবনে কি ঘটেছে – জীবন বূননের এমন ঘটনায় আইনের কাছে আইনের বিরোধী হয়ে কিছুই করার নাই— ঐ স্বামীর। একে একে তাদের ঘরে এসেছে পাঁচ সন্তান। যাদের নিজের সন্তান বলে আদর-স্নেহ দিয়ে লালন-পালন করেছেন বাবা। কিন্তু সম্প্রতি এক ডি:এন:এ: পরীক্ষায় জানতে পারলেন তারা আসলে তার সন্তান নন। পরে আদালতও এক রায়ে জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি পাঁচ সন্তানেরই জৈবিক বা ক্রোমোজোমাল পিতা নন। বাহরাইনের উচ্চ শরিয়াহ আদালত এক রায়ে জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি পাঁচ সন্তানেরই জৈবিক পিতা নন। বাহরাইনের উচ্চ শরিয়াহ আদালত এক রায়ে জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি পাঁচ সন্তানেরই বায়োলজিক্যাল পিতা নন। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজও। প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবাদকে বস্তুনিষ্ট করার জন্য রিপোর্টার আদালতের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, বাহরাইনে চার দশক আগে এক নারীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এক ব্যক্তি। লোকমুখে কথিত আছে যে, তাদের দাম্পত্য জীবনে একে একে জন্ম নিয়েছে পাঁচটি সন্তান। সম্প্রতি বাহরাইনের এক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সিভিল সার্জনের মাধ্যমে আদালত জানতে পারে যে, ওই ব্যক্তি শারীরিকভাবে সন্তান জন্মদানে অক্ষম। পরে সন্দেহ থেকেই স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেয়া সন্তানদের ডি:এন:এ: (ডিঅক্সি রাইবো নিউক্লিক এসিড) পরীক্ষা করানো হয়। এতেই ফাঁস হয় ৪০ বছরের নির্মম অকাট্য সত্য ঘটনা। ঘটনার পর ওই ব্যক্তি আদালতের দ্বারস্থ হলে বাহরাইনের উচ্চ শরিয়াহ আদালত এক রায়ে জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি পাঁচ সন্তানের কোনো কিছুর সঙ্গেই জৈবিক বা আইনি সম্পর্ক রাখেন না। রায়ে বলা হয়, বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে শরিয়াহ আইনে পিতৃত্ব বাতিল যোগ্য। আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছেন, সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্টসহ সব কাগজপত্র থেকে ওই ব্যক্তির নাম মুছে ফেলা হবে। বাদীর আইনজীবী ইবতিসাম আল সাবাগ বলেন, ৪০ বছর ধরে এই ব্যক্তি সন্তানদের বাবার দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। সম্প্রতি একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দেখা গেছে, তিনি সন্তান জন্মদানেই সক্ষম নন। পরে পাবলিক প্রসিকিউশনের ফরেনসিক ল্যাব পরিচালিত পরবর্তী ডি:এন:এ: পরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই পাঁচ সন্তানের জৈবিক বা ক্রোমোজোমাল পিতা নন তিনি। আইনজীবী ইবতিসাম বলেন, এটি শুধুমাত্র আইনের বিষয় নয়, এটি একটি সত্য ঘটনা। তিনি বাবা হিসেবে এত বছর কাটানো সত্ত্বেও জৈবিক বা ক্রোমোজোমাল বাস্তবতা এখন নিশ্চিত হয়ে গেছে। এছাড়া এই বিষয়ে একটা আইনি ভিত্তি এখন সামনে এল। এখন বাংলাদেশের ভোলা জেলার শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামকেও বাহরাইনের ঘটনার মত নিজের জীবনের ঘটনাকে চ্যালেঞ্জ করতে হলে তাকে, সন্তান ধারণে সক্ষম এক বাংলাদেশী এক নয়া রমনীকে নতুনভাবে বিবাহ করে নতুন সন্তান জন্ম দিয়ে সকলের সামনে দেখিয়ে দিতে হবে যে, জৈবিকভাবে সে সন্তানদানে সক্ষম। কোন মেডিকেল রিপোর্টের আশ্রয় নিয়ে দাবী করলে হবে না- যে, সে সন্তানদানে সক্ষম বা বিগত অমুক, তেমুক, সেমুক বা এক্স, ওয়াই, জেড তার সন্তান। কেননা – বাংলাদেশের কোন মেডিকেল রিপোর্ট-ই সত্যতার দরবারে সঠিক নয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের সকল দপ্তরের-ই উচিত উক্ত রফিকুল ইসলামের এই বিষয়ে পরিপূর্ণ আইননিষ্ট দায়িত্ব পালন করা। যাতে সে বা কেউ-ই উক্ত ব্যাপারে কোথায়ও কোন প্রভাব, ঘুষ, টাকা-পয়সা, উপঢৌকন, মদের বোতল, নেশা, ইয়াবা ট্যাবলেট, আরাম-আয়েশ, সুযোগ-সুবিধা, মেয়ে-নারী-তরুনী-যুবতি-রমনী-মহিলার যৌন বিলাস-সূড়সূড়ি, ক্ষমতার বলয় ইত্যাদি-প্রভৃতি নানান কিছু প্রয়োগ করে, প্রদান করে রফিকুল ইসলামকে সন্তানদানের সক্ষম পুরুষ হিসেবে দেখাতে না পারে।
Tag :