০৯:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশের জন্য সকল বৈশ্বিক সাহায্য বন্ধ হয়ে গেছে

Reporter Name
- Update Time : ১০:৩০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৫৪ Time View

ভোলা প্রতিনিধি : প্রবাস ফেরত ভোলা জেলাবাসীসহ বাংলাদেশি প্রবাসীরা আফ্রিকান সাগরের টাইগার ফিসের মত অন্যের ক্ষতি করে নিজেরা বড় হয়। তাই জাতিসংঘ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। তাতে আন্তর্জাতিক আইন লংঘনের দায়ে প্রবাস ফেরত ভোলাবাসীরা দ্রুত সাজা পাবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশি প্রবাসী বিতারণের মত যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ারও ৩০০ জনের বেশি প্রবাসী নাগরিক আটক করেছে। প্রবাসে গিয়ে মাফিয়া চক্রের সদস্য হয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের ভূমি আইন, আবাসন আইন, ভোক্তা আইন, অর্থ আইন, শ্রম আইন, শিক্ষা আইন, মানি লন্ডারিং আইন, ফৌজদারী আইন, মাদক আইন, রাষ্ট্রীয় সীমানা লঙ্ঘন আইন, পাচার আইন,কর্ম আইন, অনধিকার প্রবেশ আইন, আশ্রয় গ্রহণ আইন, বিবাহ আইন সহ দেশি-বিদেশি অসংখ্য আইন লঙ্ঘনের কারনে অবৈধ অভিবাসন বিরোধী ধর-পাকড়ের মধ্যে পৃথিবীর সকল দেশ হতেই প্রবাসী বাংলাদেশী হিসেবে ভোলাবাসীদেরকে বিতারণ চলছে। এতে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশির অধিকাংশ ভোলা জেলাবাসীরা দেশে ফেরা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে আমেরিকা হতে প্রচুর বাংলাদেশি প্রবাসীকে ধরে হাত-পা বেঁধে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। এক ফ্লাইটেই হাত-পা শিকলে বাঁধা ত্রিশ বাংলাদেশি প্রবাসী ঢাকায় অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। মালয়শিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে হাতে-পায়ে কড়া ও শিকল দিয়ে বেঁধে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য প্রায় ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) প্রবাসীকে গ্রেফতার করেছে। তাতে প্রায় ষাট জনেরও বেশি ভোলা জেলার বলে খোঁজ পাওয়া গেছে। প্রায় চার শত কেজি বিষ্ফোরক পদার্থ নিয়ে এক বাংলাদেশি জঙ্গী ভারতে প্রবেশ করে ধরা পরার কারনে ভারতের প্রায় সকল প্রবাসী বাংলাদেশিকে ভারতীয় পুলিশের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একই কারণে সৌদি আরবের প্রায় সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপর বড় ধরনের ধর-পাকড় শুরু করার খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে ভারতের পুলিশের কাছে আটক দুই বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত এনে বাংলাদেশের বর্ডার বা সীমানা লঙ্ঘনের গুরুতর অপরাধ করার দায়ে আইন আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। পাকিস্থানের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বলেছে যে, তারাও অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশি ধর-পাকড় শুরু করবে। এম্বেসী সূত্রে জানা গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৪৫০ জন ‘অবৈধ বিদেশিকে’ আটক করেছে। এর মধ্যে ৩০০ জনের বেশি মার্কিন মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ইং) দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লি জে-উং সাংবাদিকদের বলেন, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি ব্যাটারি প্ল্যান্টে বড় ধরনের অভিযানের সময় মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ‘একাধিক কোরিয়ান নাগরিককে আটক করেছে। লি উল্লেখ করেন, ‘আমাদের বিনিয়োগকারীদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এবং আমাদের নাগরিকদের বৈধ অধিকার ও স্বার্থ অন্যায়ভাবে লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’ এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালকোহল, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক ব্যুরোর আটলান্টা অফিস এক্স-পোস্টে জানিয়েছে, তারা হুন্দাই এবং এলজির ব্যাটারি সাইটে আইন প্রয়োগের সময় প্রায় ৪৫০ জন ‘অবৈধ বিদেশিকে’ আটক করেছে। একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে ইয়োনহাপ সংবাদপত্র জানিয়েছে, প্ল্যান্টে ৩০০ জনেরও বেশি দক্ষিণ কোরিয়ান নাগরিককে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কূটনৈতিক কর্মী পাঠানো হয়েছে এবং পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হুন্দাই মোটর গ্রুপ এএফপিকে জানিয়েছে, অভিযানের বিষয়ে তাদের কোনো মন্তব্য নেই। এলজি এনার্জি সলিউশন এএফপিকে জানিয়েছে, তারা ঘনিষ্ঠভাবে’ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রাসঙ্গিক সকল তথ্য সংগ্রহ করছে। ‘আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সর্বদা আমাদের কর্মী এবং অংশীদারদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করা। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।’ এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক কারখানাসহ গুরুত্বপূর্ণ অটোমেকার এবং ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনকারী দেশ। গত জুলাই মাসে দেশটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি কমাতে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মার্কিন বাজারে প্রবেশাধিকার পেতে এবং শুল্ক এড়াতে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা নির্মাণে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। আবার প্রবাসে অবস্থান নিয়ে আইন লংঘন করায় দেশে ফেরত আসা প্রতিটি প্রবাসীকে আইনের আওতায় সাজা প্রদানের জন্য জাতিসংঘের মাধ্যমে চাপ আসতেছে বাংলাদেশ সরকারের উপর। প্রবাস ফেরত বাংলাদেশীদের উপর কি কি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তারও তালিকা চাইবে জাতিসংঘ। এমন কি ঐ সকল বাংলাদেশিদেরকে কেন বাংলাদেশ ত্যাগ করতে হয়েছে তার জবাবও সরকারকে দিতে হবে বলে জাতিসংঘ সূত্রে জানা গেছে। তাই নতুন ও পুরাতন প্রবাসী নিয়ে বাংলাদেশ ভীষণ সংকটে আছে। যে সকল বাংলাদেশি প্রবাসী- ভাগ্য বদলের নামে মাদক পাচারের কাজের জন্য প্রবাসী হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক চোরাচালান আইনে ব্যবস্থা গ্রহন করবে। প্রবাসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত করতে প্রবাস ফেরত সকল বাংলাদেশীদের উপর আইনী ব্যবস্থায় শাস্তি প্রদানের উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। কেন তারা (বাংলাদেশি প্রবাসীরা) প্রবাস জীবনে দেশের ভূমি আইন, আবাসন আইন, ভোক্তা আইন, অর্থ আইন, শ্রম আইন, শিক্ষা আইন, মানি লন্ডারিং আইন, ফৌজদারী আইন, মাদক আইন, বর্ডার বা সীমানা লঙ্ঘন আইন, বিষ্ফোরক আইন, পাচার আইন, কর্ম আইন, অনধিকার প্রবেশ আইন, আশ্রয় গ্রহণ আইন, বিবাহ আইন সহ দেশি-বিদেশি অসংখ্য আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে জড়িত হয়েছে। এই ভাবে রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে জড়িত হওয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে রাষ্ট্র ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাই বাংলাদেশের জন্য সকল বৈশ্বিক সাহায্য বন্ধ হয়ে গেছে। ইতিপূর্বে ওমান, জাপান, কাতার, আবুধাবী, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত হতে বহু ভোলা জেলাবাসীকে প্রবাসী বাংলাদেশী আকারে পাগলের মত দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। আদিকালে রাজ দরবারে গোপনে গোপনে কস্তুরী রাখলে কস্তুরীর গন্ধে রাজারা রাজ দরবার ত্যাগ করে অন্দর মহলের রানীর কাছে চলে আসার মত ইতিপূর্বের বাংলাদেশি প্রবাসীদের কেহই কস্তুরীর গন্ধে দেশে ফেরত আসে নাই। ছবিতে- বাংলাদেশি প্রবাসীদের নেতিবাচক কর্মকান্ডের ফলাফল।
Tag :