আমেরিকার অর্থনীতিবিদ ব্রায়ান কুলটন বলেন, “মার্কিন বাণিজ্য নীতিতে শুল্ক সংক্রান্ত এই পরিবর্তন দ্রুত কার্যকর হবে। যেখানে বিশ্বব্যাপী আর্থিক বৃদ্ধির হার ২.৬ শতাংশ থেকে কমে ২.৩ শতাংশ হয়েছে, সেখানে আমেরিকার মূল্যবৃদ্ধির হার কমেছে ১.৫ শতাংশ।” শুল্ক প্রয়োগের পদ্ধতি নিয়ে কোনও তথ্য প্রকাশিত হয়নি। তবে, কোন দেশের পণ্যে কত শুল্ক বসছে তা জানা গিয়েছে। কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা দ্রব্যের ওপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে। ভারত, চিন, ব্রাজিল, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য নয়া শুল্কনীতি চাপানো হয়েছে। আমেরিকা ছাড়া অন্য যে কোন দেশের গাড়ির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের নতুন এই শুল্ক আরোপে ভারতের পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ, পাকিস্তানের পণ্যের ওপর ২৯ শতাংশ, চীনা পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ, মিয়ানমারের পণ্যে ৪৪ শতাংশ, লাওসের পণ্যে ৪৮ শতাংশ এবং মাদাগাস্কারের পণ্যের ওপর ৪৭ শতাংশ, ভিয়েতনামের পণ্যের ওপর ৪৬ শতাংশ, শ্রীলংকার পণ্যে ৪৪ শতাংশ, তাইওয়ানের পণ্যে ৩২ শতাংশ, জাপানের পণ্যে ২৪ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যে ২৫ শতাংশ, থাইল্যান্ডের পণ্যে ৩৬ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডের পণ্যে ৩১ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার পণ্যে ৩২ শতাংশ, মালয়েশিয়ার পণ্যে ২৪ শতাংশ, কম্বোডিয়ার পণ্যে ৪৯ শতাংশ, যুক্তরাজ্যের পণ্যে ১০ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার পণ্যে ৩০ শতাংশ, ব্রাজিলের পণ্যে ১০ শতাংশ, সিঙ্গাপুরের পণ্যে ১০ শতাংশ, ইসরাইলের পণ্যে ১৭ শতাংশ, ফিলিপাইনের পণ্যে ১৭ শতাংশ, চিলির পণ্যে ১০ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ার পণ্যে ১০ শতাংশ, তুরস্কের পণ্যে ১০ শতাংশ, কলম্বিয়ার পণ্যে ১০ শতাংশ আরোপ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্পের ঘোষণার পরেই ‘পাল্টা শুল্ক’ কার্যকর হয়ে যাবে। ট্রাম্পের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানান, আমেরিকার জনগণের জন্য যাতে দুর্দান্ত একটি শুল্ক চুক্তি হয়, তার জন্য সারা দিন অর্থনৈতিক উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হলে মার্কিন অর্থনীতিতে কী রকম এবং কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। হোয়াইট হাউসের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে, কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সংশ্লিষ্ট দেশে উৎপাদিত পণ্যে শুল্কের হার কমানোর আর্জি জানিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অবশ্যই তাতে সাড়া দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সোমবার আমেরিকা পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানিয়েছিল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমেরিকার দুগ্ধজাত দ্রব্যে ৫০ শতাংশ, জাপান আমেরিকায় উৎপাদিত চালে ৭০০ শতাংশ, ভারত আমেরিকার কৃষিজাত পণ্যে ১০০ শতাংশ, কানাডা আমেরিকার দুগ্ধজাত দ্রব্যে প্রায় ৩০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। অনেকেরই অনুমান, সংশ্লিষ্ট দেশগুলি থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া পণ্যে সম পরিমাণ শুল্ক চাপাতে পারে আমেরিকা। সোমবার অবশ্য ট্রাম্প জানান, তিনি শুনেছেন ভারত আমেরিকার পণ্যে শুল্কের হার কমাতে চলেছে। তবে এই বিষয়ে নয়াদিল্লির তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে প্রধান দুই রপ্তানি বাজারের একটি যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে বছরে রপ্তানি হয় প্রায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন (৮৪০ কোটি) ডলার। তবে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৭ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন (৭৩৪ কোটি) ডলার ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে এই শুল্ক আরোপে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব সম্ভাবনা রয়েছে।































Outstanding post, you have pointed out some superb points, I as well believe this s a very excellent website.