বাঁশখালীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন: রাজনৈতিক দলের সমাবেশ

- Update Time : ০১:৪৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ৬১ Time View
আনিছুর রহমান
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম) বাঁশখালীতে
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আজ বাঁশখালীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে র্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই দিনটিকে স্মরণ করতে এবং আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একাধিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন ৫ই আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখে বাঁশখালী পৌরসদরে তাদের কর্মসূচি পালন করে।
সকাল থেকেই বাঁশখালীর প্রধান সড়কগুলো ছিল মিছিল আর স্লোগানে মুখরিত। জানা গেছে, মূলত দুইটি প্রধান রাজনৈতিক দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো পৃথকভাবে এই কর্মসূচির আয়োজন করে। প্রতিটি দলই নিজ নিজ ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়, এসময় অনেকের হাতে দলীয় প্রতিক ও দেখা যায়, যেখানে তারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, গুরুত্ব এবং বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে একটি বিশাল র্যালী পৌর সদর আলাওল সরকারি ডিগ্রী কলেজ গেইট হতে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে দলের নেতারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে একটি ঐতিহাসিক গণআন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তারা বলেন, এই আন্দোলন সমাজের সব স্তরের মানুষের মধ্যে সমতার দাবিকে জোরালো করেছে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা পর্যায়ে কযেকজন ও উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জামায়াতে ইসলামী বাঁশখালী শাখার পক্ষ থেকে আরেকটি র্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলাটির জামাতের নেতৃত্বে বিশাল র্যালীটি পৌর সদর আলাওল সরকারি ডিগ্রী কলেজ গেইট হতে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা সদরে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা পর্যায়ে কযেকজন ও উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা। র্যালীতে কারো কারো হাতে দাঁড়ি পাল্লা দেখা যায়।
তারা ৫ই আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ গঠন ছিল এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। জামায়াতের নেতারা আন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং দাবি করেন, তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।
ইসলামী আন্দোলন বাঁশখালী শাখা ও এই দিনটি উপলক্ষে একটি কর্মসূচি পালন করে। তারা একটি ছোট র্যালি নিয়ে সমাবেশস্থলে আসে এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ইসলামী আন্দোলন নেতারা বলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করে একটি উন্নত ও সমতাপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবার একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
সমাবেশগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। গণঅভ্যুথান উদযাপন উপলক্ষে
পৃর্বে ঘোষিত কর্মসূচি অংশ বিশেষ রাজনৈতিক দল গুলো সমাবেশ ও একটার পর একটা র্যালী সহকারে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণে সাধারন ও যাত্রী পরিবহন গুলো এবং রোগীবাহি এ্যাম্বুলেন্স ও জ্যামে আটকে পড়ে।
নাম প্রকাশ না শর্তে দূর পাল্লার অনেক যাত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো পৃর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালন করুক ভালো। তবে অপরিকল্পিত র্যালী ও সমাবেশ এর কারণে সড়কে জ্যাম লেগে ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে আটকে আছি। তার আরো বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল্য ছিল স্বেচ্ছাসেবক এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
সড়কের এক পাশে র্যালী, অন্য পাশ দিয়ে গাড়ি চলা চলের সুযোগ সৃস্টি করা হলে এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড ইউনিয়ন থেকে আসা গাড়ি গুলো পৌর সদরের মিয়ার বাজারের উত্তরে দেলাইয়ার দোকান এবং থানা গেইটের দক্ষিণে সড়কের উপর পার্কিং করলে এমনটা হতোনা।
রাজনৈতিক দল গুলোর সেচ্চাসেবকরা বলেন, আমরা নিজেদের সর্বোচ্চ মেধা আর শ্রম দিয়ে যানযট মুক্ত রাখার আপ্রান চেস্টা করেও সফল হইনি। উপজেলাটির বিভিন্ন ওয়ার্ড ইউনিয়ন থেকে আগত নেতাকর্মীরদের গাড়ি গুলো সড়কের উপর দাঁড় করে এবং সড়কের মধ্যখানে ঘুরানো ফলে যানজট সৃস্টি হয়েছে। তারা আরো বলেন, পরবর্তী কর্মসূচিতে এমনটা হতে দেওয়া যাবেনা।
তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত এই সমাবেশগুলো বাঁশখালীর রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।