০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

বাঁশখালীতে টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, কৃষকের মাথায় হাত, বেকাদায় দিনমজুর

Reporter Name
  • Update Time : ০১:৫৩:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২৪২ Time View
আনিছুর রহমান ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম): গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলা বাঁশখালীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা এবং পাহাড়ি ঢলে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন এবং দিনমজুররা কাজ হারিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
কয়েক দিন টানা বৃষ্টির কারণে বাঁশখালীর বিস্তীর্ণ কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে সবজি চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। পটল, শসা, ঝিঙে, করলা, বরবটিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক কৃষক ধার-দেনা করে সবজি চাষ করেছিলেন, এখন সব হারিয়ে তারা দিশেহারা। এছাড়াও, নতুন করে রোপণ করা আমন ধানের চারাও অনেক জায়গায় পানিতে তলিয়ে গেছে, যা কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
বিভিন্ন এলাকার দিনমজুররা কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। নির্মাণ কাজ, কৃষি কাজ এবং অন্যান্য ছোটখাটো কাজ বন্ধ থাকায় তাদের রোজগার প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। প্রতিদিনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল এসব পরিবারগুলো এখন চরম অর্থ সংকটে পড়েছে। অনেকেই জানিয়েছেন, তাদের ঘরে খাবার নেই এবং কীভাবে পরিবার চালাবেন তা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় আছেন।
০১ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে খানখানাবাদ, কাথরিয়া, সরল, বৈলছড়ি, পুইছড়ি, শীলকূপ,ছনুয়া, সাধনপুর, কালিপুর পুকুরিয়া  ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সরজমিন ঘুরে দেখা যায় বৃষ্টির ফলে বাঁশখালীর বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বেশ কিছু জায়গায় সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজনেও মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না।
nip
উপজেলার পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিধস এবং পাহাড়ি ঢলের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢল ও সাগরের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে আরও ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার সালাউদ্দিন কামাল, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও দিনমজুরদের পাশে দাঁড়াতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্হ এলাকাবাসী। অতি দ্রুত তাদের জন্য ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করা হয়েছে
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

বাঁশখালীতে টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, কৃষকের মাথায় হাত, বেকাদায় দিনমজুর

Update Time : ০১:৫৩:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
আনিছুর রহমান ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম): গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলা বাঁশখালীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা এবং পাহাড়ি ঢলে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন এবং দিনমজুররা কাজ হারিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
কয়েক দিন টানা বৃষ্টির কারণে বাঁশখালীর বিস্তীর্ণ কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে সবজি চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। পটল, শসা, ঝিঙে, করলা, বরবটিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক কৃষক ধার-দেনা করে সবজি চাষ করেছিলেন, এখন সব হারিয়ে তারা দিশেহারা। এছাড়াও, নতুন করে রোপণ করা আমন ধানের চারাও অনেক জায়গায় পানিতে তলিয়ে গেছে, যা কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
বিভিন্ন এলাকার দিনমজুররা কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। নির্মাণ কাজ, কৃষি কাজ এবং অন্যান্য ছোটখাটো কাজ বন্ধ থাকায় তাদের রোজগার প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। প্রতিদিনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল এসব পরিবারগুলো এখন চরম অর্থ সংকটে পড়েছে। অনেকেই জানিয়েছেন, তাদের ঘরে খাবার নেই এবং কীভাবে পরিবার চালাবেন তা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় আছেন।
০১ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে খানখানাবাদ, কাথরিয়া, সরল, বৈলছড়ি, পুইছড়ি, শীলকূপ,ছনুয়া, সাধনপুর, কালিপুর পুকুরিয়া  ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সরজমিন ঘুরে দেখা যায় বৃষ্টির ফলে বাঁশখালীর বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বেশ কিছু জায়গায় সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজনেও মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না।
nip
উপজেলার পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিধস এবং পাহাড়ি ঢলের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢল ও সাগরের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে আরও ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার সালাউদ্দিন কামাল, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও দিনমজুরদের পাশে দাঁড়াতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্হ এলাকাবাসী। অতি দ্রুত তাদের জন্য ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করা হয়েছে