০৯:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

প্রাসঙ্গিক রাজনীতির আলোচনা

Reporter Name
  • Update Time : ০৩:১৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৮৯ Time View

হাতে থাকলে কাচি, হারিয়ে গেলে দা। এখন যা বুঝি শেখ হাছিনা তিনি ছিলেন একাধারে দেশরত্ন, গণতন্ত্রের
মানস কন্যা এবং মানবতার মা। প্রতি পাঁচ বছর পরপর নিয়ম করে উনি নির্বাচন আয়োজন করেছেন।
জনগণকে নিয়ে উনি ও উনার সারগেদ (এম,পি) সাহেরবা প্রচুর ভাবতেন। জনগণকে যাতে কষ্ট করে
ভোটকেন্দ্রে যেতে না হয়, যাতে ভোটের দিনটি সবাই পরিবারের সাথে আনন্দে কাটাতে পারে, সেজন্য
রাতের অন্ধকারে ভোটের আয়োজন করেছিলেন; সেখানে তার কর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করে জনগনের হয়ে
ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে তাদের ভবিষ্যতের রাস্তা রেখেছিলেন। যারা আওয়ামী লীগের
আর্দশের ভোটার ছিলেন তারাও ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি নব্য আওয়ামী লীগের প্রতাপে। এরপর
নির্বাচনে জিতে উনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, "একমাত্র আওয়ামীলীগই জনগণের ভোটের
অধিকার নিশ্চিত করেছে"।
ওনার মনোজগতে একটাই চিন্তা ঘুরপাক খেত। তা হচ্ছে উন্নয়ন। যখন খালেদা জিয়া চ্যালেঞ্জ করেছিল
উনি পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করতে পারবেন না, যখন ইউনুস বিশ্বব্যাংককে ম্যানেজ করে লোনের টাকা
আটকে দিলো, তখন উনি ডোমেস্টিক সোর্স থেকে অর্থায়নের ব্যবস্থা করে সেতুর নির্মাণ শেষ করেন।
তবে উনি এবং ওনার দলের এমপি মন্ত্রীরা, এবং অনুগত আমলারা দেশের বাইরেও প্রচুর উন্নয়ন
করেছিলেন। প্রায় ১৬ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করে বিভিন্ন দেশে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ
করেছেন, এবং সেসব দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। যেমন আমাদের ইউনুস একবার (সম্ভবত ২০১০-
এর দিকে) জার্মানিতে গিয়ে বলেছিলেন, "বাংলাদেশের দারিদ্রকে জাদুঘরে পাঠিয়েছি, এবার জার্মানির
দারিদ্রকেও জাদুঘরে পাঠাবো।" উনিও দেশের টাকা ব্যয় করে বিদেশের উন্নয়ন করতে পছন্দ করতেন।
সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচনী তহবিলে, এবং ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে টাকা
দিযেছিলেন।
শেখ হাসিনা মানবতার মা। ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে উনি দেশে ঢুকতে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, "বাংলাদেশে যদি
১৮ কোটি লোকের জায়গা হয়, তাহলে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গারও জায়গা হবে।" আশা ছিল এতে উনি নোবেল
প্রাইজ পাবেন। কিন্তু পেলেননা।
সুদি ইউনুস নোবেল পেয়েছিলেন মাইক্রোক্রেডিট দিয়ে দারিদ্র দূর করার জন্য। কিন্তু সেই লোন নিয়ে কেউ
ধনী হয়নি। বরং সময়মত কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় গ্রামীণ ব্যাংকের কিস্তি কালেক্টররা কারো
ঘরের চাল খুলে নিয়েছে, কারো টিনের বেড়া খুলে নিয়েছে, কারো বা গরু নিয়ে চলে গেছে। এই কালেক্টররা
গ্রামে প্রবেশ করলেই মানুষ আতঙ্কিত হতো। কিস্তি দেবার ভয়ে, কেউ ধানক্ষেতে, কেউ পুকুরপাড়ের
ঝোপের মধ্যে, কেউবা প্রতিবেশীর ঘরে পালাতো। ইন এক্সট্রিম সিনারিও, কেউ ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস
দিয়েও মারা গেছে।
সেদিক থেকে বিচার করলে মানবতার মা শেখ হাসিনা অন্তত রোহিঙ্গা মানুষগুলোকে আশ্রয় দিয়ে প্রাণে
বাঁচিয়েছেন । নইলে বার্মিজ বুদ্ধিস্ট এবং জান্তার আর্মিরা তাদের মেরেই ফেলতো।
মাইক্রোক্রেডিট লোনের কনসেপ্টটাও কিন্তু ইউনূসের নিজের নয়। বরিশালের আর্যলক্ষী কো-অপারেটিভ
সেই ৮৬ বছর আগে প্রথম ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প চালু করেছিল এবং দশকের পর দশক অনেক দরিদ্র মানুষ
তাদের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে।
নোবেল শান্তি বিজয়ীদের মধ্যে নির্দ্বিধায় সত্য বলতে একজনকেই দেখলাম। সে হচ্ছে বারাক ওবামা।
ওনাকে একবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল উনি কেন শান্তি পুরস্কার পেলেন। বিশ্বশান্তির জন্য উনি কি
করেছেন? উনি মুচকি হেসে বলেছিলেন, "আমি জানিনা"

আজ বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ। প্রতিবছর ঢাকাতে বর্ষবরণের শোভাযাত্রা বের হয়, যেটা মঙ্গল
শোভাযাত্রা নামে পরিচিত। কিন্তু এবার "মঙ্গল" কথাটা বাদ দেওয়া হয়েছে, কারণ এটা হিন্দুয়ানী শোনায়।
প্রায় ২১ টা মোটিফ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়, যার প্রথমেই দৈত্যাকৃতির ভ্যাম্পায়ার-সদৃশ হাসিনার
মোটিফ, যেটাকে ফ্যাসিবাদের মুখ হিসেবে সিম্বোলাইজ করা হয়েছে।
তবে কিছুদিন আগে ঈদ শোভাযাত্রায় অনেক বেশি জনসমাগম হয়েছে, এবং বহুগুন উৎসাহ লক্ষ করা গেছে।
সেখানেও গাধার পিঠে উল্টো করে বসে থাকা দাড়িওয়ালা ইউনূসের মোটিফ ছিল। তবে কেউ কেউ বলেন এটা
জামায়াতের আমির। দুই এঙ্গেল থেকে দেখলে দুই জনের মুখাবয়ব ভেসে ওঠে। এর নির্মাতাকে অবশ্যই
কৃতিত্ব দিতে হয়; উনি এক ঢিলে দুই পাখি মারতে সক্ষম হয়েছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

প্রাসঙ্গিক রাজনীতির আলোচনা

Update Time : ০৩:১৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

হাতে থাকলে কাচি, হারিয়ে গেলে দা। এখন যা বুঝি শেখ হাছিনা তিনি ছিলেন একাধারে দেশরত্ন, গণতন্ত্রের
মানস কন্যা এবং মানবতার মা। প্রতি পাঁচ বছর পরপর নিয়ম করে উনি নির্বাচন আয়োজন করেছেন।
জনগণকে নিয়ে উনি ও উনার সারগেদ (এম,পি) সাহেরবা প্রচুর ভাবতেন। জনগণকে যাতে কষ্ট করে
ভোটকেন্দ্রে যেতে না হয়, যাতে ভোটের দিনটি সবাই পরিবারের সাথে আনন্দে কাটাতে পারে, সেজন্য
রাতের অন্ধকারে ভোটের আয়োজন করেছিলেন; সেখানে তার কর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করে জনগনের হয়ে
ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে তাদের ভবিষ্যতের রাস্তা রেখেছিলেন। যারা আওয়ামী লীগের
আর্দশের ভোটার ছিলেন তারাও ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি নব্য আওয়ামী লীগের প্রতাপে। এরপর
নির্বাচনে জিতে উনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, "একমাত্র আওয়ামীলীগই জনগণের ভোটের
অধিকার নিশ্চিত করেছে"।
ওনার মনোজগতে একটাই চিন্তা ঘুরপাক খেত। তা হচ্ছে উন্নয়ন। যখন খালেদা জিয়া চ্যালেঞ্জ করেছিল
উনি পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করতে পারবেন না, যখন ইউনুস বিশ্বব্যাংককে ম্যানেজ করে লোনের টাকা
আটকে দিলো, তখন উনি ডোমেস্টিক সোর্স থেকে অর্থায়নের ব্যবস্থা করে সেতুর নির্মাণ শেষ করেন।
তবে উনি এবং ওনার দলের এমপি মন্ত্রীরা, এবং অনুগত আমলারা দেশের বাইরেও প্রচুর উন্নয়ন
করেছিলেন। প্রায় ১৬ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করে বিভিন্ন দেশে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ
করেছেন, এবং সেসব দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। যেমন আমাদের ইউনুস একবার (সম্ভবত ২০১০-
এর দিকে) জার্মানিতে গিয়ে বলেছিলেন, "বাংলাদেশের দারিদ্রকে জাদুঘরে পাঠিয়েছি, এবার জার্মানির
দারিদ্রকেও জাদুঘরে পাঠাবো।" উনিও দেশের টাকা ব্যয় করে বিদেশের উন্নয়ন করতে পছন্দ করতেন।
সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচনী তহবিলে, এবং ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে টাকা
দিযেছিলেন।
শেখ হাসিনা মানবতার মা। ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে উনি দেশে ঢুকতে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, "বাংলাদেশে যদি
১৮ কোটি লোকের জায়গা হয়, তাহলে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গারও জায়গা হবে।" আশা ছিল এতে উনি নোবেল
প্রাইজ পাবেন। কিন্তু পেলেননা।
সুদি ইউনুস নোবেল পেয়েছিলেন মাইক্রোক্রেডিট দিয়ে দারিদ্র দূর করার জন্য। কিন্তু সেই লোন নিয়ে কেউ
ধনী হয়নি। বরং সময়মত কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় গ্রামীণ ব্যাংকের কিস্তি কালেক্টররা কারো
ঘরের চাল খুলে নিয়েছে, কারো টিনের বেড়া খুলে নিয়েছে, কারো বা গরু নিয়ে চলে গেছে। এই কালেক্টররা
গ্রামে প্রবেশ করলেই মানুষ আতঙ্কিত হতো। কিস্তি দেবার ভয়ে, কেউ ধানক্ষেতে, কেউ পুকুরপাড়ের
ঝোপের মধ্যে, কেউবা প্রতিবেশীর ঘরে পালাতো। ইন এক্সট্রিম সিনারিও, কেউ ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস
দিয়েও মারা গেছে।
সেদিক থেকে বিচার করলে মানবতার মা শেখ হাসিনা অন্তত রোহিঙ্গা মানুষগুলোকে আশ্রয় দিয়ে প্রাণে
বাঁচিয়েছেন । নইলে বার্মিজ বুদ্ধিস্ট এবং জান্তার আর্মিরা তাদের মেরেই ফেলতো।
মাইক্রোক্রেডিট লোনের কনসেপ্টটাও কিন্তু ইউনূসের নিজের নয়। বরিশালের আর্যলক্ষী কো-অপারেটিভ
সেই ৮৬ বছর আগে প্রথম ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প চালু করেছিল এবং দশকের পর দশক অনেক দরিদ্র মানুষ
তাদের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছে।
নোবেল শান্তি বিজয়ীদের মধ্যে নির্দ্বিধায় সত্য বলতে একজনকেই দেখলাম। সে হচ্ছে বারাক ওবামা।
ওনাকে একবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল উনি কেন শান্তি পুরস্কার পেলেন। বিশ্বশান্তির জন্য উনি কি
করেছেন? উনি মুচকি হেসে বলেছিলেন, "আমি জানিনা"

আজ বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ। প্রতিবছর ঢাকাতে বর্ষবরণের শোভাযাত্রা বের হয়, যেটা মঙ্গল
শোভাযাত্রা নামে পরিচিত। কিন্তু এবার "মঙ্গল" কথাটা বাদ দেওয়া হয়েছে, কারণ এটা হিন্দুয়ানী শোনায়।
প্রায় ২১ টা মোটিফ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়, যার প্রথমেই দৈত্যাকৃতির ভ্যাম্পায়ার-সদৃশ হাসিনার
মোটিফ, যেটাকে ফ্যাসিবাদের মুখ হিসেবে সিম্বোলাইজ করা হয়েছে।
তবে কিছুদিন আগে ঈদ শোভাযাত্রায় অনেক বেশি জনসমাগম হয়েছে, এবং বহুগুন উৎসাহ লক্ষ করা গেছে।
সেখানেও গাধার পিঠে উল্টো করে বসে থাকা দাড়িওয়ালা ইউনূসের মোটিফ ছিল। তবে কেউ কেউ বলেন এটা
জামায়াতের আমির। দুই এঙ্গেল থেকে দেখলে দুই জনের মুখাবয়ব ভেসে ওঠে। এর নির্মাতাকে অবশ্যই
কৃতিত্ব দিতে হয়; উনি এক ঢিলে দুই পাখি মারতে সক্ষম হয়েছেন।