১০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

প্রকল্পের গেইট কিপারদের চাকরি স্থায়ীকরণে রেল সচিব বরাবরে পোষ্য সোসাইটির আবেদন

Reporter Name
  • Update Time : ০৭:০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১২ Time View

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্পের গেইট কিপারদের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য বিশেষ প্রশাসনিক পরিপত্র জারি সংক্রান্ত বিষয়ে ২২ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার দুপুরে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে আবেদন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি। এ আবেদনের একটি অনুলিপি বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক বরাবরেও পেশ করা হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রটি নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো-
১. প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতাঃ
বাংলাদেশ রেলওয়ের বিপুল সংখ্যক গেইট কিপার চুক্তি ভিত্তিক বা প্রকল্প ভিত্তিক ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বহু বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন।
তাদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ—ট্রেন চলাচলের নিরাপত্তা রক্ষা, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, জননিরাপত্তা ও সময়নিষ্ঠতা নিশ্চিত করা। তারা দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী কর্মচারীর মতো পূর্ণকালীন দায়িত্ব পালন করলেও, প্রকল্প শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চাকরি অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। ফলে একদিকে রেলওয়ে অভিজ্ঞ দক্ষ কর্মশক্তি হারানোর আশংকায় থাকে, অন্যদিকে এদের পরিবারগুলো অর্থনৈতিক ও মানসিক বিপর্যয়ে পড়ে।

২. বিদ্যমান আইনি কাঠামোঃ
(ক) সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮
এই আইনের ৫(১) ধারা  অনুসারে, “সরকারের স্থায়ী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকারি বিধি অনুসারে হবে।” ৫(২) ধারায় বলা আছে, “বিশেষ প্রয়োজনে সরকার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারে।” অর্থাৎ, প্রকল্পভিত্তিক কর্মচারীরা চুক্তিভিত্তিক হলেও, সরকার চাইলে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বা পরিপত্র দ্বারা তাদের স্থায়ী কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে, যদি তারা বয়সসীমা, যোগ্যতা ও ফিটনেস পূরণ করে।

(খ) বাংলাদেশ রেলওয়ে সার্ভিস রুলস
রেলওয়ের নিজস্ব সার্ভিস (নন-গেজেটেড) রুলস অনুযায়ী চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের রেগুলারাইজেশন বা স্থায়ীকরণ করা সম্ভব। রেলওয়ের বা  মন্ত্রণালয় সার্ভিস কমিটি/মানবসম্পদ কমিটির সুপারিশে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

৩. প্রশাসনিক পদক্ষেপে স্থায়ীকরণের সম্ভাবনাঃ
সরকার চাইলে একটি পরিপত্র (সার্কুলার) বা গভঃমেন্ট ডিসিশন জারি করেই প্রকল্প ভিত্তিক গেইট কিপারদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে পারে। এটির আইনি ও প্রশাসনিক ধাপগুলো নিম্নরূপ—

(ক) নীতিগত অনুমোদন:
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (এমওপিএ) ও অর্থ মন্ত্রণালয় নীতিগত অনুমোদন প্রদান করবে।

(খ) স্থায়ী পদ সৃজন ও শূন্য পদে সমন্বয়:
রেলওয়ে স্থায়ী রাজস্ব কাঠামোর আওতায় প্রয়োজনীয় পদ সৃজন বা শূন্যপদ সমন্বয় করবে।

(গ) অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার যাচাই:
চলমান প্রকল্পে কর্মরত গেইট কিপারদের সার্ভিস রেকর্ড, বয়স, শিক্ষা ও মেডিকেল ফিটনেস যাচাই করতে একটি “রেগুলারাইজেশন স্ক্রিনিং কমিটি” গঠন করা যেতে পারে।

(ঘ) চূড়ান্ত সরকারি পরিপত্র:
সব অনুমোদনের পর মন্ত্রণালয় “সরকারি আদেশ (জিও)” আকারে স্থায়ীকরণের ঘোষণা জারি করবে। এটি সংবিধান ও সরকারি প্রশাসনিক বিধি অনুযায়ী সম্পূর্ণ বৈধ ও কার্যকর।

৪. আইনি দৃষ্টিতে পরিপত্রের বৈধতাঃ
সংবিধানের ৫৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত। ফলে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বা পরিপত্র দ্বারা সরকার চুক্তিভিত্তিক বা প্রকল্পভিত্তিক কর্মচারীদের স্থায়ী কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করতে সম্পূর্ণ সক্ষম। এছাড়া হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায়ে (বাংলাদেশ বনাম মোঃ আব্দুল মান্নান এন্ড আদার্স, ৭১ ডিএলআর (এডি), ২০১৭) স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে— “যেসব প্রকল্পকর্মী দীর্ঘদিন ধরে  ধারাবাহিকভাবে সরকারি কাজ করে গেছেন এবং রাষ্ট্র তাদের শ্রমে উপকৃত হয়েছে, তাদের চাকরি স্থায়ীকরণে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ন্যায্য ও আইনসঙ্গত।”

৫. মানবিক ও প্রশাসনিক যুক্তিঃ

১. দীর্ঘ অভিজ্ঞতা:
বহু গেইট কিপার ৮-১০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। তারা পেশাগতভাবে দক্ষ ও দায়িত্বশীল।

২. জননিরাপত্তা:
ট্রেন চলাচলের নিরাপত্তা সরাসরি তাদের সতর্কতার ওপর নির্ভরশীল — এটি শুধু চাকরি নয়, জাতির নিরাপত্তার দায়িত্ব।

৩. অর্থনৈতিক স্থিতি ও মানবিক দিক:
প্রকল্প শেষ হলেই তাদের জীবিকা বন্ধ হয়ে যায় — এটি মানবিকভাবে অন্যায় ও সংবিধানের ১৫(গ) এবং ২০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত সামাজিক ন্যায়বিচারের নীতির পরিপন্থী।

৪. দক্ষ মানবসম্পদ ধরে রাখা:
প্রশিক্ষিত গেইট কিপারদের ধরে রাখা মানে নিরাপদ ট্রেন চলাচল, দুর্ঘটনা হ্রাস ও জনআস্থা বৃদ্ধি।

৫. রেলওয়ে প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধি:
স্থায়ী কর্মচারী হিসেবে তারা কর্মনিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে কাজ করবে, যা প্রকল্পনির্ভর অস্থিরতা দূর করবে।

৬. সংক্ষেপে করণীয় প্রস্তাব (পলিসি সাজেশন)
১. “বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকল্পভিত্তিক গেইট কিপার স্থায়ীকরণ নীতিমালা-২০২৫” নামে একটি বিশেষ পরিপত্র জারি করা।
২. প্রকল্পকালীন কর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ, অভিজ্ঞতা, বয়স, যোগ্যতা ও ফিটনেস যাচাইপূর্বক তাদের স্থায়ী রাজস্ব কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করা।
৩. রেলওয়েকে একটি বিশেষ স্ক্রিনিং কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া।
৪. স্থায়ীকরণপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সার্ভিস সিনিয়রিটি প্রথম নিয়োগ তারিখ থেকে গণনা করার বিধান রাখা।
৫. স্থায়ীকরণের ফলে নতুন নিয়োগ ব্যাহত না হয়—এজন্য শূন্যপদ নির্ধারণ ও পুনর্গঠন পরিকল্পনা তৈরি করা।

গেইট কিপাররা রেলওয়ের প্রাণশক্তি — তাদের সতর্কতা ও দায়িত্ববোধে প্রতিদিন লাখো যাত্রীর জীবন নিরাপদ থাকে। এই দক্ষ ও পরীক্ষিত কর্মশক্তিকে স্থায়ী করে তাদের প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া এখন সময়ের দাবি।

আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সরকার চাইলে একটি প্রশাসনিক পরিপত্র জারি করেই এই মানবিক ও প্রশাসনিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে পারে — যা রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার, দক্ষতা ও জননিরাপত্তা সব কিছুর সঙ্গেই সঙ্গতিপূর্ণ হবে।

(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

প্রকল্পের গেইট কিপারদের চাকরি স্থায়ীকরণে রেল সচিব বরাবরে পোষ্য সোসাইটির আবেদন

Update Time : ০৭:০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্পের গেইট কিপারদের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য বিশেষ প্রশাসনিক পরিপত্র জারি সংক্রান্ত বিষয়ে ২২ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার দুপুরে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে আবেদন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি। এ আবেদনের একটি অনুলিপি বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক বরাবরেও পেশ করা হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রটি নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো-
১. প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতাঃ
বাংলাদেশ রেলওয়ের বিপুল সংখ্যক গেইট কিপার চুক্তি ভিত্তিক বা প্রকল্প ভিত্তিক ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বহু বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন।
তাদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ—ট্রেন চলাচলের নিরাপত্তা রক্ষা, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, জননিরাপত্তা ও সময়নিষ্ঠতা নিশ্চিত করা। তারা দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী কর্মচারীর মতো পূর্ণকালীন দায়িত্ব পালন করলেও, প্রকল্প শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চাকরি অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। ফলে একদিকে রেলওয়ে অভিজ্ঞ দক্ষ কর্মশক্তি হারানোর আশংকায় থাকে, অন্যদিকে এদের পরিবারগুলো অর্থনৈতিক ও মানসিক বিপর্যয়ে পড়ে।

২. বিদ্যমান আইনি কাঠামোঃ
(ক) সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮
এই আইনের ৫(১) ধারা  অনুসারে, “সরকারের স্থায়ী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকারি বিধি অনুসারে হবে।” ৫(২) ধারায় বলা আছে, “বিশেষ প্রয়োজনে সরকার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারে।” অর্থাৎ, প্রকল্পভিত্তিক কর্মচারীরা চুক্তিভিত্তিক হলেও, সরকার চাইলে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বা পরিপত্র দ্বারা তাদের স্থায়ী কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করতে পারে, যদি তারা বয়সসীমা, যোগ্যতা ও ফিটনেস পূরণ করে।

(খ) বাংলাদেশ রেলওয়ে সার্ভিস রুলস
রেলওয়ের নিজস্ব সার্ভিস (নন-গেজেটেড) রুলস অনুযায়ী চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের রেগুলারাইজেশন বা স্থায়ীকরণ করা সম্ভব। রেলওয়ের বা  মন্ত্রণালয় সার্ভিস কমিটি/মানবসম্পদ কমিটির সুপারিশে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

৩. প্রশাসনিক পদক্ষেপে স্থায়ীকরণের সম্ভাবনাঃ
সরকার চাইলে একটি পরিপত্র (সার্কুলার) বা গভঃমেন্ট ডিসিশন জারি করেই প্রকল্প ভিত্তিক গেইট কিপারদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে পারে। এটির আইনি ও প্রশাসনিক ধাপগুলো নিম্নরূপ—

(ক) নীতিগত অনুমোদন:
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (এমওপিএ) ও অর্থ মন্ত্রণালয় নীতিগত অনুমোদন প্রদান করবে।

(খ) স্থায়ী পদ সৃজন ও শূন্য পদে সমন্বয়:
রেলওয়ে স্থায়ী রাজস্ব কাঠামোর আওতায় প্রয়োজনীয় পদ সৃজন বা শূন্যপদ সমন্বয় করবে।

(গ) অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার যাচাই:
চলমান প্রকল্পে কর্মরত গেইট কিপারদের সার্ভিস রেকর্ড, বয়স, শিক্ষা ও মেডিকেল ফিটনেস যাচাই করতে একটি “রেগুলারাইজেশন স্ক্রিনিং কমিটি” গঠন করা যেতে পারে।

(ঘ) চূড়ান্ত সরকারি পরিপত্র:
সব অনুমোদনের পর মন্ত্রণালয় “সরকারি আদেশ (জিও)” আকারে স্থায়ীকরণের ঘোষণা জারি করবে। এটি সংবিধান ও সরকারি প্রশাসনিক বিধি অনুযায়ী সম্পূর্ণ বৈধ ও কার্যকর।

৪. আইনি দৃষ্টিতে পরিপত্রের বৈধতাঃ
সংবিধানের ৫৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত। ফলে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বা পরিপত্র দ্বারা সরকার চুক্তিভিত্তিক বা প্রকল্পভিত্তিক কর্মচারীদের স্থায়ী কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করতে সম্পূর্ণ সক্ষম। এছাড়া হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের রায়ে (বাংলাদেশ বনাম মোঃ আব্দুল মান্নান এন্ড আদার্স, ৭১ ডিএলআর (এডি), ২০১৭) স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে— “যেসব প্রকল্পকর্মী দীর্ঘদিন ধরে  ধারাবাহিকভাবে সরকারি কাজ করে গেছেন এবং রাষ্ট্র তাদের শ্রমে উপকৃত হয়েছে, তাদের চাকরি স্থায়ীকরণে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ন্যায্য ও আইনসঙ্গত।”

৫. মানবিক ও প্রশাসনিক যুক্তিঃ

১. দীর্ঘ অভিজ্ঞতা:
বহু গেইট কিপার ৮-১০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। তারা পেশাগতভাবে দক্ষ ও দায়িত্বশীল।

২. জননিরাপত্তা:
ট্রেন চলাচলের নিরাপত্তা সরাসরি তাদের সতর্কতার ওপর নির্ভরশীল — এটি শুধু চাকরি নয়, জাতির নিরাপত্তার দায়িত্ব।

৩. অর্থনৈতিক স্থিতি ও মানবিক দিক:
প্রকল্প শেষ হলেই তাদের জীবিকা বন্ধ হয়ে যায় — এটি মানবিকভাবে অন্যায় ও সংবিধানের ১৫(গ) এবং ২০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত সামাজিক ন্যায়বিচারের নীতির পরিপন্থী।

৪. দক্ষ মানবসম্পদ ধরে রাখা:
প্রশিক্ষিত গেইট কিপারদের ধরে রাখা মানে নিরাপদ ট্রেন চলাচল, দুর্ঘটনা হ্রাস ও জনআস্থা বৃদ্ধি।

৫. রেলওয়ে প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধি:
স্থায়ী কর্মচারী হিসেবে তারা কর্মনিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে কাজ করবে, যা প্রকল্পনির্ভর অস্থিরতা দূর করবে।

৬. সংক্ষেপে করণীয় প্রস্তাব (পলিসি সাজেশন)
১. “বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকল্পভিত্তিক গেইট কিপার স্থায়ীকরণ নীতিমালা-২০২৫” নামে একটি বিশেষ পরিপত্র জারি করা।
২. প্রকল্পকালীন কর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ, অভিজ্ঞতা, বয়স, যোগ্যতা ও ফিটনেস যাচাইপূর্বক তাদের স্থায়ী রাজস্ব কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করা।
৩. রেলওয়েকে একটি বিশেষ স্ক্রিনিং কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া।
৪. স্থায়ীকরণপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সার্ভিস সিনিয়রিটি প্রথম নিয়োগ তারিখ থেকে গণনা করার বিধান রাখা।
৫. স্থায়ীকরণের ফলে নতুন নিয়োগ ব্যাহত না হয়—এজন্য শূন্যপদ নির্ধারণ ও পুনর্গঠন পরিকল্পনা তৈরি করা।

গেইট কিপাররা রেলওয়ের প্রাণশক্তি — তাদের সতর্কতা ও দায়িত্ববোধে প্রতিদিন লাখো যাত্রীর জীবন নিরাপদ থাকে। এই দক্ষ ও পরীক্ষিত কর্মশক্তিকে স্থায়ী করে তাদের প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া এখন সময়ের দাবি।

আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সরকার চাইলে একটি প্রশাসনিক পরিপত্র জারি করেই এই মানবিক ও প্রশাসনিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে পারে — যা রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার, দক্ষতা ও জননিরাপত্তা সব কিছুর সঙ্গেই সঙ্গতিপূর্ণ হবে।

(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)