০৯:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

পরনির্ভর শীল থেকে মুক্তি চাই বাংলাদেশ

বিশেষ প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৫:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
  • / ২৭৬ Time View

মাজলুমের ডাক আজ বাংলার আকাশে কালো মেঘ, পূর্ব আকাশে কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়া, থেমে থেমে বজ্রপাত প্রাণহানি হচ্ছে, খেতখামারের কৃষক শ্রমিক প্রাণ নাশের চরম ঝুঁকি নিয়ে পানিতে অর্থ নিমজ্জিত কষ্টের ফসল বাড়ির আঙ্গিনায় নিতে বাপ মা ছেলে মেয়ে ভাই বোন দাদা-দাদী মিলে অতি ব্যস্ত, বৃষ্টি মিশ্রিত প্রবল ঝড়ো হাওয়া চারদিক অন্ধকার আচ্ছন্ন, রাস্তা ঘাট যেন অচেনা হয়ে পড়ছে, চারদিকে এক ভয়াবহ দুর্যোগের গণঘটা। ১৯৫৭ সালের ২৩শে জুনের পলাশীর প্রান্তরের অম্র কাননে ঘটে যাওয়া ট্রেজিটির পূর্বাভাস দেশ জাতি মানুষ মাঝে অজানা ভয়, চরম আতঙ্ক, অস্থিরতার সৃষ্টি করে চলছে। ঘরে বাহিরে, হাটে বাজারে রাস্তাঘাটে সর্বত্র যেন মৃত্যুপুরী। প্রকারান্তরে দেশটি দুই ভাগে, দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে: একপক্ষ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা পরিচালিত এবং ভারতীয় রাজনৈতিক উস্কানি ভিত্তিক সাময়িক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের অন্যপক্ষ জুলাই বিপ্লব উত্তর দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা রক্ষা এবং আইনের শাসক ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক দুর্নীতিমুক্ত, গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের শিবির। একদিকে মীর জাফর আলী খানদের নেতৃত্ব অন্যদিকে মোহল্লালদের নেতৃত্ব। কিছু হচ্ছে ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন নচেৎ অস্তিত্ব বিলুপ্তির আপোষহীন আক্রমণ। যার ফলশ্রুতিতে জাতীয় অস্তিত্ব বিলুপ্তির সম্ভাবনা বর্তমান। এখন প্রশ্ন হচ্ছে: যদি আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলি তাহলে তার প্রধান প্রতিবন্ধকতা:- (১) আধিপত্যবাদী শক্তি। (২) নীতিহীন, দূর্নীতিবাজ এবং দলীয়করণকৃত (আওয়ামী – ভারতীয়) প্রশাসন। (৩) দেশি-বিদেশী কালো টাকার প্রভাব। (৪) গুণ্ডা, পান্ডা, ডান্ডা। (৫) হামলা, মামলা। (৬) ভোট জ্বালিয়াতি। (৭) ভোটের রেজাল্ট সীট পরিবর্তন। ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। তাছাড়া রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান, বিএনপি, ভারতে বিতারিত আওয়ামী লীগ এবং ভারত এক পক্ষ। বিপরীতে বৈদেশিক আধিপত্যমুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দেশপ্রেমিক পক্ষ শক্তি। যৌক্তিক প্রশ্ন এই যে, বিদ্যমান সমস্যাবলির সংস্কার বা পরিবর্তন বা নিয়ন্ত্রণ করার মত প্রক্রিয়া না করে নির্বাচন দিলে ফলাফল স্বৈরাচারী আমলের চেয়ে ভিন্ন হওয়ার কোন সুযোগ নাই। ঘুরেফিরে স্বৈরাচারী ব্যবস্থারই পুনরাবৃত্তি হবে। পর্যায়ক্রমে আবার ভারতীয় দালাল সেবা দাসেরা তাদের গোলামির রাজত্ব পুনর প্রতিষ্ঠা করবে। তাহলে এত ত্যাগ, জীবন দান, রক্তক্ষয়, পঙ্গুত্ববরনের কোন ফলই দেশ জাতি পেল না। সবই হবে বেকার, নিষ্ফল এবং ভয়ংকর। এইবারো যদি এই রকমই হয় তাহলে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এই জাতিসত্তার অস্তিত্বই টিকে থাকবে না। কাজেই সচেতন ঈমানদার দেশ প্রেমিক আপামর জনতাকে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতেই হবে এই উন্মাদনা থেকে সড়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে মোকাবেলার প্রতিরোধ বলয় গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। সকল মাজলুম এক হও। মাওলানা আনোয়ার আনসারী সাধারণ সম্পাদক মাজলুমের ডাক ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

পরনির্ভর শীল থেকে মুক্তি চাই বাংলাদেশ

Update Time : ০৫:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

মাজলুমের ডাক আজ বাংলার আকাশে কালো মেঘ, পূর্ব আকাশে কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়া, থেমে থেমে বজ্রপাত প্রাণহানি হচ্ছে, খেতখামারের কৃষক শ্রমিক প্রাণ নাশের চরম ঝুঁকি নিয়ে পানিতে অর্থ নিমজ্জিত কষ্টের ফসল বাড়ির আঙ্গিনায় নিতে বাপ মা ছেলে মেয়ে ভাই বোন দাদা-দাদী মিলে অতি ব্যস্ত, বৃষ্টি মিশ্রিত প্রবল ঝড়ো হাওয়া চারদিক অন্ধকার আচ্ছন্ন, রাস্তা ঘাট যেন অচেনা হয়ে পড়ছে, চারদিকে এক ভয়াবহ দুর্যোগের গণঘটা। ১৯৫৭ সালের ২৩শে জুনের পলাশীর প্রান্তরের অম্র কাননে ঘটে যাওয়া ট্রেজিটির পূর্বাভাস দেশ জাতি মানুষ মাঝে অজানা ভয়, চরম আতঙ্ক, অস্থিরতার সৃষ্টি করে চলছে। ঘরে বাহিরে, হাটে বাজারে রাস্তাঘাটে সর্বত্র যেন মৃত্যুপুরী। প্রকারান্তরে দেশটি দুই ভাগে, দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে: একপক্ষ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা পরিচালিত এবং ভারতীয় রাজনৈতিক উস্কানি ভিত্তিক সাময়িক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের অন্যপক্ষ জুলাই বিপ্লব উত্তর দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা রক্ষা এবং আইনের শাসক ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক দুর্নীতিমুক্ত, গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের শিবির। একদিকে মীর জাফর আলী খানদের নেতৃত্ব অন্যদিকে মোহল্লালদের নেতৃত্ব। কিছু হচ্ছে ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন নচেৎ অস্তিত্ব বিলুপ্তির আপোষহীন আক্রমণ। যার ফলশ্রুতিতে জাতীয় অস্তিত্ব বিলুপ্তির সম্ভাবনা বর্তমান। এখন প্রশ্ন হচ্ছে: যদি আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলি তাহলে তার প্রধান প্রতিবন্ধকতা:- (১) আধিপত্যবাদী শক্তি। (২) নীতিহীন, দূর্নীতিবাজ এবং দলীয়করণকৃত (আওয়ামী – ভারতীয়) প্রশাসন। (৩) দেশি-বিদেশী কালো টাকার প্রভাব। (৪) গুণ্ডা, পান্ডা, ডান্ডা। (৫) হামলা, মামলা। (৬) ভোট জ্বালিয়াতি। (৭) ভোটের রেজাল্ট সীট পরিবর্তন। ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। তাছাড়া রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান, বিএনপি, ভারতে বিতারিত আওয়ামী লীগ এবং ভারত এক পক্ষ। বিপরীতে বৈদেশিক আধিপত্যমুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দেশপ্রেমিক পক্ষ শক্তি। যৌক্তিক প্রশ্ন এই যে, বিদ্যমান সমস্যাবলির সংস্কার বা পরিবর্তন বা নিয়ন্ত্রণ করার মত প্রক্রিয়া না করে নির্বাচন দিলে ফলাফল স্বৈরাচারী আমলের চেয়ে ভিন্ন হওয়ার কোন সুযোগ নাই। ঘুরেফিরে স্বৈরাচারী ব্যবস্থারই পুনরাবৃত্তি হবে। পর্যায়ক্রমে আবার ভারতীয় দালাল সেবা দাসেরা তাদের গোলামির রাজত্ব পুনর প্রতিষ্ঠা করবে। তাহলে এত ত্যাগ, জীবন দান, রক্তক্ষয়, পঙ্গুত্ববরনের কোন ফলই দেশ জাতি পেল না। সবই হবে বেকার, নিষ্ফল এবং ভয়ংকর। এইবারো যদি এই রকমই হয় তাহলে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এই জাতিসত্তার অস্তিত্বই টিকে থাকবে না। কাজেই সচেতন ঈমানদার দেশ প্রেমিক আপামর জনতাকে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতেই হবে এই উন্মাদনা থেকে সড়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে মোকাবেলার প্রতিরোধ বলয় গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। সকল মাজলুম এক হও। মাওলানা আনোয়ার আনসারী সাধারণ সম্পাদক মাজলুমের ডাক ।