পঞ্চগড় সীমান্তে যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

- Update Time : ০২:৩৩:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ৫৫ Time View

জানা গেছে, নিহত মানিক হোসেন তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার তবিবর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার ভোরে সীমান্তে গরু আনতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। এ সময় বাকিরা পালিয়ে গেলেও নিখোঁজ হন মানিকসহ ৪ জন। নিখোঁজের দু’দিন পর শনিবার সকালে সীমান্তের ওই স্থানে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দেয়। এতে মরদেহের মাথায় গুলির ক্ষত চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ।

এদিকে নিখোঁজ বাকি ৩ জনের মধ্যে আব্দুল হুদা ওরফে জমির উদ্দিন নামের একজনকে সকালে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। তবে আরো দুজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
দেবনগড় ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আইবুল ইসলাম বলেন, ওইদিন রাতে কয়েকটি দল সীমান্তে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। ওইদিন থেকে ৪ জন নিখোঁজ ছিল। আজ মানিকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে। বিএসএফই তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, কেউ অপরাধ করলে তাকে প্রচলিত আইনে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু নির্বিচারে গুলি করে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যে দুজন ভারতে আটক আছে তাদের ফেরত দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজির হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। নিহত যুবকের মাথায় গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মাথার পেছনে গুলি প্রবেশ করে চোখের পাশ দিয়ে বেড়িয়ে গেছে। তবে নিখোঁজের বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এছাড়া ভারতের অভ্যন্তরে আটক করে একজনকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে।
মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম
মোবাঃ ০১৭৪৩৭৪০৭১০