পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক যোগদানের পর থেকেই সমগ্র জেলা প্রশাসনকে স্বচ্ছ,দূর্ণীতি মুক্ত এবং জনবান্ধব জেলা প্রশাসনকে গড়ার লক্ষে দিন-রাত জীবনটিকে বিসর্জন দিয়ে পঞ্চগড় বাসির সূখের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।তাঁর আগমনের পর পরই পাঁচটি উপজেলা,৩৯ টি ইউনিয়নের সর্ব স্তরের মানুষের সঙ্গে মত বিনিময় কালে দেখা গেছে।
পঞ্চগড়ের”স্বচ্ছ ও শ্রেষ্ঠ” সাবেত আলী (ডিসি)

- Update Time : ০৪:৫৮:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
- / ১৯৫ Time View
Sonali Shop – online shop in Bangladesh
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি,মোখলেছুর রহমান চৌধুরী:পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক যোগদানের পর থেকেই সমগ্র জেলা প্রশাসনকে স্বচ্ছ,দূর্ণীতি মুক্ত এবং জনবান্ধব জেলা প্রশাসনকে গড়ার লক্ষে দিন-রাত জীবনটিকে বিসর্জন দিয়ে পঞ্চগড় বাসির সূখের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।তাঁর আগমনের পর পরই পাঁচটি উপজেলা,৩৯ টি ইউনিয়নের সর্ব স্তরের মানুষের সঙ্গে মত বিনিময় কালে দেখা গেছে।তিনি সৎ,নির্ভীক,নিরঅহংকার,আদর্শবান,সদালাপী এই মানুষটির মনে সার্বক্ষণিক নানা রকম স্বপ্ন ও উদ্ভাবনী ভাবনা যাহা তিনি নিজের পবীত্র হাত দ্বারা বাস্তবায়ন করার জন্য বদ্ধ পরিকর।সরকারের সকল এজেন্ডা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সমাজের আপামর মানুষের স্বার্বিক সহযোগিতায় নিরন্তর ব্যাস্ত থাকেন।এই সেই সম্মানীত জেলা প্রশাসক মোঃসাবেত আলী মহোদ্বয় ইতি মধ্যে তিনি ও তাঁর টিম সমগ্র পঞ্চগড় জেলার পাঁচটি বৃহত উপজেলা ও ৩৯টি ইউনিয়ের সকল শ্রেনী ও পেশার মানুষের যাবতীয় সমস্যার সমাধান সহ সমগ্র জেলায় ব্যাপক সূনাম অর্জন করেছেন।জেলার সকল সেবা গ্রহীতাগন জেলা প্রশাসনের কোন সেবা পেতে বিলম্বিত হলে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন জেলা প্রশাসকের সরকারি মোবাইল নম্বরে।এতক্ষন ধরে বলেছিলাম সম্মানীত জেলা প্রশাসক মোঃসাবেত আলী মহোদ্বয়ের কথা।পৃথিবীতে কর্মগুনে বিশেষ কিছু মহান মানুষ জনমনে স্থান করে নিয়েছেন তেমনি একজন পঞ্চগড় জেলার আশা ও ভরসার প্রদ্বীপ জেলা প্রশাসক ও জেলা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃসাবেত আলী মহোদ্বয়।প্রশাসনের কাজে তিনি যেমনি দক্ষ,তেমনি একজন মানবিক ব্যাক্তিও তিনি কম সময় ধরে পঞ্চগড়ে আসলেও অত্র জেলার সকল মানুষের জন্য অনেক পরিকল্পনা নিয়ে তিনি দূর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।তিনি আসার পর তাঁর মানবিক মূল্যবোধ এবং কর্ম দক্ষতায় পঞ্চগড় বাসী মুগ্ধ।বিশেষ করে তাঁর দীর্ঘ স্থায়ী পরিকল্পনা পঞ্চগড় জেলার পর্যটন খাতকে পরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।তাঁর নতুন নতুন চিন্তা ও পরিকল্পনা পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনকে দাড় করিয়েছে এক নতুন মাত্রায়।অতিত সম্পর্কে জানাযায়,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মকালিন সময়েও তিনি তাঁর জনবান্ধব উদ্ভাবনী কাজের কারনে ২(দুই) বার জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ( ইউ এন ও) ও বিভাগীয় পর্যায়ে ও শ্রেষ্ঠ (ইউ এন ও)এবং জাতীয় পর্যায়েও দেশের শ্রেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে=কর্মকালিন সময়েও তিনি তাঁর জনবান্ধব উদ্ভাবনী কাজের কারনে ২(দুই) বার জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ( ইউ এন ও) ও বিভাগীয় পর্যায়ে ও শ্রেষ্ঠ (ইউ এন ও)এবং জাতীয় পর্যায়েও দেশের শ্রেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাইযেন(কঅওতঊখ)রোল মডেল এওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছিলেন।তিনি আইন এবং নিয়মনিতি মেনে চলতেই অভ্যাস্ত।কোন অন্যায়ের সাথে তাঁর কোন আপোষ নাই।কারন তিনি আসার পর থেকে এই সিমান্ত জেলার অবৈধ বালুমহল,পাথর উত্তোলন,অবৈধ ভূমি দখল,চোড়া চালান, নারী নির্যাতন,শিশু পাচার,শিশু শ্রম,বাল্য বিবাহ,বহু বিবাহ,ইফটিজিং,চাঁদাবাজী,চুড়ি,ডাকাতী,অবৈধ স্থাপনা,মাদক দ্রব্য সহ সকল অপরাধ কাজ বন্ধ হতে চলছে।তিনি এক বুকভরা প্রত্যাসা নিয়ে শত সহস্র শহীতদের পবীত্র রক্তের বিনিময়ে এবং অসংখ্য মানুষের অঙ্গহানীর মধ্য দিয়ে সংগঠিত হয় জুলাই বিপ্লব ২০২৪ একটি জনসেবা ধর্মী কল্যান কামী এবং জনবান্ধব জন প্রশাসন তৈরীর লক্ষ্যে সেপ্টেম্বর মাসে দেশব্যাপী নতুন ভাবে জেলা প্রশাসক পদায়নের কাজ শুরু করে বর্তমান অন্তরবর্তী কালিন সরকার।এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ হতে সম্মানীত জেলা
প্রশাসক পঞ্চগড়ে তাঁর প্রতিটি কর্মকান্ডে জনগনকে সম্পৃক্ত করে সাজাতে শুরু করে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা এবং জনগনকে সম্পৃক্ত করে বাস্তবায়ন করতে থাকে একের পর এক উন্নয়ন মূখী কার্যক্রম।গৎ বাধা চিন্তাভাবনা থেকে বেড়িয়ে এসে চিন্তার সংস্কার করে সৃজনশীল উপায়ে জন স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে জেলা প্রশাসন পঞ্চগড়ের কার্যক্রম।জনবান্ধব প্রশাসন গড়ার অভিপ্রায়ে জেলা প্রশাসন পঞ্চগড়ের কিছু ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নিচে তুলে ধরা হলো।বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষের মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রনোয়নঃজেলা প্রশাসক মোঃসাবেত আলী ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পঞ্চগড় জেলায় যোগদানের দুই সপ্তাহের মধ্যে অত্র জেলার বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষ যেমনঃ-ছাত্র ছাত্রী,সাংবাদিক,আইন জীবী,সামাজিক সংগঠক,জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা বৃন্দ সহ লোকাল প্রশাসনের ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যগন কে নিয়ে জেলা উন্নয়ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে দুই দিন ব্যাপী বিশাল কর্মশালার মহান আয়োজন করেন।উক্ত কর্মশালার মাধ্যমে পঞ্চগড় জেলার প্রধান প্রধান বিশেষ সমস্যা সম্ভাবনা গুলো প্রথমেই চিহ্নিত করা হয়।অতপর এসব সমস্যার পিছনের কারন এবং সম্ভাব্য সমাধানের ধারনা বের করা হয়।অপরদিকে পঞ্চগড় রেল স্টেশনে যাত্রীগনের জায়গা গুলো চিহ্নিত না থাকার কারনে প্রায়ই যাত্রীগন বিড়ম্বনার স্বীকার হন।যাত্রীগন প্লাটফর্মে পৌছেই তার কাঙ্খীত বগির অবস্থান জানার জন্য বিভিন্ন ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসা বাদ করেন।এবং অনেক সময় ট্রেন মিস করে ফেলেন।বিশেষ করে পঞ্চগড় রেল স্টেশনের যাত্রীদের চরম ভোগান্তি দূর করার জন্য জেলা প্রশাসন পঞ্চগড়ের পক্ষ থেকে ট্রেনের বগি দাড়ানোর নির্দিষ্ট স্থানগুলো বগির নম্বর ক,খ,গ,—ইত্যাদী দারা চিহ্নিত করা হয়েছে।এর ফলে এখন কোন যাত্রী স্টেশনে পৌছে কাউকে জিজ্ঞেস না করেই তাঁর কাঙ্খীত বগির জায়গায় একাই পৌছে যেতে পারেন।রেলস্টেশনের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে দৃষ্টিনন্দিত ফোয়ারা এবং আকর্ষনীয় ফুলের বাগান সৃজন করা হয়েছে।জেলা প্রশাসক জানান দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ জেলায় আগত পর্যটকরা স্টেশন থেকে বের হয়ে যেন একটি সুন্দর ভিউ পান।এবং জেলা থেকে একটি ভালো ধারনা তৈরী হয়।সে উদ্দেশ্যই এই বাগান এবং ফোয়ারাটি তৈরী করা হয়েছে।ইতি মধ্যে এই ভোয়ারাটির সৌন্ধর্য উপভোগ করার জন্য প্রতিদিন এখানে অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটছে।এছাড়াও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কোন বিশেষ প্রয়োজনে দেখা করার জন্য সূযোগ পাননী এ ঘটনা বিরল।তাঁর অফিস কক্ষে গেলেই সরাসরি দেখা করা যায়।প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নানাবিধ সমস্যা নিয়ে অফিসে উপছে পড়া ভীড় দেখা যায়।সকল সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসক মহোদ্বয়।কেউ জমাজমির,কেউ চিকিৎসার,কেউ মেয়ে বিবাহ্,কেউ মামলা মোকদ্দমা,কেউ ভূমিহীন সরকারি বাড়ীর জন্য,কেউ জরুরী ভাল চিকিৎসার সুপারিশের জন্য,কেউ ছেলে-মেয়ে স্কুল অথবা কলেজে পরীক্ষা ফরম ফিলাপের টাকার জন্য,কেউ হতদরীদ্র এনজিও লোন খিলাপীর কারনে সরকারী কর্মসংস্থানের সহযোগিতার জন্য,কেউ জীবন নিরাপত্তার জন্য,কেউ শত্রুর হাত থেকে রক্ষার জন্য,কেউ সন্তানের চাকুরীর সূপারিশের জন্য,আবার কেউ মসজিদ,মাদ্রাসা,মন্দির নির্মান করার আশায় আর্থিক সাহায্যর জন্য,নজীর বিহীন প্রমান রহিয়াছে।সম্মানী জেলা প্রশাসক অসিম ধৈর্য নিয়ে সাক্ষাৎ প্রত্যাশীদের কুশলাদী জিজ্ঞাসা করে তাদের সকল সমস্যা সমাধানের যথাসাধ্য চেষ্টা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছেন।শিক্ষার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে শিল্পসাহিত্য ও শিক্ষাসুমার বৃত্তির চর্চায় পঞ্চগড় কে বাংলাদেশের একটি অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় জেলায় পরিনত করতে চায় তিনি।এরই মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম ওয়াজ টাওয়ার ১৭(সতের)তলা বিশিষ্ট ডিজাইন কাজ চলছে।উপরে দূরদর্শন সমগ্র বাংলাদেশ চক্ষুর আড়ালে ভাসবে।নিচে আবাসিক উন্নত মানের ফ্যাশন দৃশ্য প্রান জুড়ানো এক অলৈকিক জগত।অপরদিকে চিনিকল চালুকরন,চৌরঙ্গী মোড়ে ফ্লাই ওভার ও শিশুদের জন্য প্রান জুড়ানো বিনোদন পার্ক শিঘ্রই নির্মানের প্রত্যাশা করেন জেলা প্রশাসক মোঃসাবেত আলী মহোদ্বয় ২০২৪ সালের ১২ ই সেপ্টেম্বর ঐতিহ্যবাহী পঞ্চগড় জেলার সূনামধন্য ডিসি হিসেবে যোগদান করেন।এই পদে যোগদানের পূর্বে তিনি উপ সচীব হিসেবে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে কর্মরত ছিলেন।তিনি বিসিএস (প্রশাসন)ক্যাডারের 24 তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।তিনি ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত বিভাগ হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন,2005 সালে ফরিদপূর জেলায় সহকারী কমিশনার এবং ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তিনি তাঁর কর্ম জীবন শুরু করেন।বর্তমানে পঞ্চগড় জেলার একজন সৎ, দক্ষ,আদর্শবান জেলা প্রশাসক ও জেলা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়ীত্ব পালন করতেছেন।অতি অল্প সময়ে সমগ্র পঞ্চগড় বাসীর মনে ভরসার জায়গা করে নিল।জেলা প্রশাসক মোঃসাবেত আলী।তাঁর জন্য পঞ্চগড় বাসী আল্লাহর নিকট দুই হাত তুলে হায়াতে তৈয়াবা ও সূস্থতা প্রার্থনা করেন।তিনি পঞ্চগড়ের একমাত্র আশা ও ভরসার প্রদ্বীপ জানান সমগ্র পঞ্চগড় বাসী।