০১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬

নির্ধারিত হায়াত ” সংগ্রহে ——— মোশারফ হোসেন

Reporter Name
  • Update Time : ০৬:১৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • / ২৬১ Time View

তকদিরে বিশ্বাসী ব্যক্তি এ কথা নিশ্চিতভাবে জানে যে মানবজীবনে সুখ-দুঃখ, সফলতা ও ব্যর্থতা যা কিছু
ঘটছে, সবই তকদিরে লিপিবদ্ধ আছে। তকদিরের বাইরে কিছুই ঘটছে না। ‘পৃথিবীতে বা ব্যক্তিগতভাবে
তোমাদের ওপর যে বিপর্যয় আসে তা সংঘটিত করার আগেই লিপিবদ্ধ থাকে। নির্ধারিত হায়াত শেষেই
সকলের মরণ হয় , আমরা দুনিয়াতে একেক জনকে একেক সময় মৃত্যুবরণ করতে দেখি। একেকজনের মরণ
একেক ভাবে হয়। যিনি যখন যেভাবেই মৃত্যুবরণ করুন না কেন তার নির্ধারিত হায়াত শেষেই তার মরন হয়।
কিন্তু আমাদের সমাজে যখন অল্প বয়সে মারা যায় তখন অনেকেই বলেন, সে অকালে মারা গেল। আবার
কেউ যদি দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জিহাদে গিয়ে মারা যান তখন কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন আহ! সে
যদি যুদ্ধে না যেত তাহলে মারা যেত না। কেউ যদি ঘূর্নিঝড়ে নৌকাডুবিতে বা এমনতর দুর্ঘটনায় মারা যান
তাহলে মানুষ বলাবলি করে সে যদি আজ বাড়ি থাকতো তাহলে মারা যেত না। কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে মারা
গেলে অনেক সময় বলতে শোনা যায় তাকে যদি গেরামের অমন ডাক্তারের পরিবর্তে শহরের ভালো
হাসপাতালে নেওয়া হতো তাহলে হয়তো রোগ ধরতে পারতো এবং এভাবে মারা যেত না। আমাদেরকে মনে
রাখতে হবে এভাবে মন্তব্য করা ঠিক নয়। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির সাথে সাথেই তার তাকদীর নির্ধারণ
করে দিয়েছেন। সে কতদিন বেঁচে থাকবে কিভাবে মারা যাবে। সে কি রোগ সজ্জায় মারা যাবে, না জেহাদে গিয়ে
মারা যাবে , না দুর্ঘটনায় মারা যাবে। সবকিছু তার তাকদীরে আল্লাহ লিখে রেখেছেন। কার কোথায় মরণ
হবে? কখন মরণ হবে? তা আল্লাহ নির্ধারণ করে মালাক উল মউতকে জানিয়ে দেন। মালাক উল মওত এ
আলোকে নির্ধারিত সময় শেষে তার জান কবজ করেন। কারো নির্ধারিত হায়াত শেষ হবার এক মুহূর্ত আগে
বা নির্ধারিত হায়াত শেষ হবার এক মুহূর্ত পরে জান কবজ করার এখতিয়ার মালাকুল মউত এর নেই। তাই
যার যখন মরণ হয়, তার হায়াত শেষেই মরণ হয়। প্রত্যেক মুসলমানকে এ বিশ্বাস অবশ্যই রাখতে হবে। এ
প্রসঙ্গে সূরা হিজরে আল্লাহ বলেন , কোন সম্প্রদায় তার নির্দিষ্ট সময়ের আগে যায় না এবং দেরিও
করে না। (সূরা আল হিজর:-৫) আর এ যাওয়া হয় আল্লাহর হুকুমে। এখানে কারো কোন হাত নেই। এ
প্রসঙ্গে সূরা আলে ইমরানে আল্লাহ বলেন, আল্লাহর হুকুম ছাড়া কেউ মরতে পারেনা। সেজন্য একটা সময়
নির্ধারিত রয়েছে। (সূরা আলে ইমরান:-১৪৫) এই নির্ধারিত মেয়াদ যখন এসে যাবে তখন প্রত্যেককেই চলে
যেতে হবে। এ প্রসঙ্গে সূরা আরাফে আল্লাহ বলেন প্রত্যেক সম্প্রদায়ের একটি মেয়াদ রয়েছে‌। যখন
তাদের মেয়াদ এসে যাবে তখন আর এক মুহূর্তও না পিছে যেতে পারবে, না এগিয়ে আসতে পারে। (সূরা আল-
আরাফ:-৩৪) এসব আয়াত এ কথারই প্রমাণ দেয় যে যারা দুর্ঘটনায় বা আগুনে পুড়ে কিংবা প্লাবনে বা
অন্য কোন রোগে মারা যায় তারা সকলেই তাদের হায়াত শেষেই মারা যায়। আল্লাহ পাক মানুষের মরণ
নির্ধারিত করার সাথে সাথে কারণ ও নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যার মরণের যে কারণ তিনি নির্ধারিত করে
দিয়েছেন সে কারণেই সে মারা যায়। অন্য কোন কারণে তার মরণ হয় না। এখানে আরেকটি বিষয় পরিষ্কার
হওয়া প্রয়োজন, অনেক সময় দেখা যায় একজন মানুষ খুবই অসুস্থ। কোন ঔষধেই কাজ হলো না। তারপর
তার ডাক্তার পরিবর্তন করে নতুন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর রোগ ভালো হয়ে যায়। এর অর্থ এই নয়
যে ডাক্তারের ঔষধের কারণে তার রোগ ভালো হলো। বরং রোগ ভালো হলো আল্লাহ ঐ ব্যক্তির সুস্থতার
জন্য ঐ ধরনের ঔষুধকে কারণ হিসেবে তার তাকদিরে নির্ধারণ করে রাখার কারণে। এখানে এক ধরনের
বিভ্রান্তি থাকতে পারে যে, সবই যদি তাকদিরে লিখা থাকে তাহলে রোগ নিরাময়ের জন্য ওষুধ সেবন করার
দরকার কি? এ প্রসঙ্গে একটি হাদিসের সারাংশ উল্লেখযোগ্য একবার আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকদীর সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন সে সময় একজন তাকে প্রশ্ন করেন ইয়া
রাসুলুল্লাহ! তাহলে আমরা কি ওষুধ সেবন করব না? তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম জবাব দেন, তোমরা ওষুধ সেবন করবে। এ থেকে বোঝা যায়, ঔষুধ সেবন করা হলো সুন্নাত।
তবে ওষুধ কাউকে ভালো করতে পারে না। ভালো হয় আল্লাহর ইচ্ছায়। আরেকটি প্রশ্ন করা হয় সবাই যদি

নির্ধারিত হায়াত শেষে মারা যান তাহলে নেক আমলের কারণে মানুষের হায়াত বাড়ে এ হাদিসের ব্যাখ্যা কি?
প্রসঙ্গে দুটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে: (১) নেক আমলের কারণে হায়াত বাড়ার অর্থ হলো, যে ব্যক্তি নেক
আমল করে সে ব্যক্তি তার হায়াতে যে নেক কাজ করে অন্যান্যের পক্ষে আরো অনেক বেশি হায়াত পেয়েও
তত কাজ করা সম্ভব হয় না। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় কেউ ৫০ বছরে যত কাজ করতে পারেন অনেকে
একশত বছর হায়াত পেয়েও তার অর্ধেক কাজ করতে পারে না। নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা
এভাবেই তার আমলে বরকত দান করেন। (২) একজন মানুষের হায়াত সম্পর্কে আল্লাহ যখন ফেরেশতাকে
অবহিত করেন তখন বলেন তার হায়াত এতদিনের। কিন্তু সে যদি নেক আমল করে তাহলে এতদিনের হবে।
ফেরেশতা কিন্তু জানে না সে নেক আমল করবে কি করবে না? কিন্তু আল্লাহর কাছে পরিষ্কার যে সে নেক
আমল করবে কিনা? তাই কোরআনে বর্ণিত নির্ধারিত হায়াত শেষে মরণ অর্থ হলো আল্লাহর ইলমে যার
যে হায়াত নির্দিষ্ট আছে তার মরন সে নির্দিষ্ট সময়েই হবে। আর নেক আমল দ্বারা হায়াত বাড়ার
হাদিসের অর্থ হলো ফেরেশতাদের দৃষ্টিতে মনে হবে নেক আমলের কারণে হায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে
আল্লাহর কাছে তার এ হায়াতই নির্দিষ্ট ছিল। এ আলোচনা থেকে এ কথা পরিষ্কার যে প্রত্যেকের
নির্ধারিত হায়াত শেষেই মালাকুল মউত তার জান কবজ করেন। আরে এ যান কবজ করার সাথে সাথেই তারা
আখিরাতের জীবন শুরু হয়। আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন আল্লাহ তা'আলা আমাদের বুজার তৌফিক দান
করুক। আমিন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

3 thoughts on “নির্ধারিত হায়াত ” সংগ্রহে ——— মোশারফ হোসেন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

নির্ধারিত হায়াত ” সংগ্রহে ——— মোশারফ হোসেন

Update Time : ০৬:১৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

তকদিরে বিশ্বাসী ব্যক্তি এ কথা নিশ্চিতভাবে জানে যে মানবজীবনে সুখ-দুঃখ, সফলতা ও ব্যর্থতা যা কিছু
ঘটছে, সবই তকদিরে লিপিবদ্ধ আছে। তকদিরের বাইরে কিছুই ঘটছে না। ‘পৃথিবীতে বা ব্যক্তিগতভাবে
তোমাদের ওপর যে বিপর্যয় আসে তা সংঘটিত করার আগেই লিপিবদ্ধ থাকে। নির্ধারিত হায়াত শেষেই
সকলের মরণ হয় , আমরা দুনিয়াতে একেক জনকে একেক সময় মৃত্যুবরণ করতে দেখি। একেকজনের মরণ
একেক ভাবে হয়। যিনি যখন যেভাবেই মৃত্যুবরণ করুন না কেন তার নির্ধারিত হায়াত শেষেই তার মরন হয়।
কিন্তু আমাদের সমাজে যখন অল্প বয়সে মারা যায় তখন অনেকেই বলেন, সে অকালে মারা গেল। আবার
কেউ যদি দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জিহাদে গিয়ে মারা যান তখন কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন আহ! সে
যদি যুদ্ধে না যেত তাহলে মারা যেত না। কেউ যদি ঘূর্নিঝড়ে নৌকাডুবিতে বা এমনতর দুর্ঘটনায় মারা যান
তাহলে মানুষ বলাবলি করে সে যদি আজ বাড়ি থাকতো তাহলে মারা যেত না। কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে মারা
গেলে অনেক সময় বলতে শোনা যায় তাকে যদি গেরামের অমন ডাক্তারের পরিবর্তে শহরের ভালো
হাসপাতালে নেওয়া হতো তাহলে হয়তো রোগ ধরতে পারতো এবং এভাবে মারা যেত না। আমাদেরকে মনে
রাখতে হবে এভাবে মন্তব্য করা ঠিক নয়। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির সাথে সাথেই তার তাকদীর নির্ধারণ
করে দিয়েছেন। সে কতদিন বেঁচে থাকবে কিভাবে মারা যাবে। সে কি রোগ সজ্জায় মারা যাবে, না জেহাদে গিয়ে
মারা যাবে , না দুর্ঘটনায় মারা যাবে। সবকিছু তার তাকদীরে আল্লাহ লিখে রেখেছেন। কার কোথায় মরণ
হবে? কখন মরণ হবে? তা আল্লাহ নির্ধারণ করে মালাক উল মউতকে জানিয়ে দেন। মালাক উল মওত এ
আলোকে নির্ধারিত সময় শেষে তার জান কবজ করেন। কারো নির্ধারিত হায়াত শেষ হবার এক মুহূর্ত আগে
বা নির্ধারিত হায়াত শেষ হবার এক মুহূর্ত পরে জান কবজ করার এখতিয়ার মালাকুল মউত এর নেই। তাই
যার যখন মরণ হয়, তার হায়াত শেষেই মরণ হয়। প্রত্যেক মুসলমানকে এ বিশ্বাস অবশ্যই রাখতে হবে। এ
প্রসঙ্গে সূরা হিজরে আল্লাহ বলেন , কোন সম্প্রদায় তার নির্দিষ্ট সময়ের আগে যায় না এবং দেরিও
করে না। (সূরা আল হিজর:-৫) আর এ যাওয়া হয় আল্লাহর হুকুমে। এখানে কারো কোন হাত নেই। এ
প্রসঙ্গে সূরা আলে ইমরানে আল্লাহ বলেন, আল্লাহর হুকুম ছাড়া কেউ মরতে পারেনা। সেজন্য একটা সময়
নির্ধারিত রয়েছে। (সূরা আলে ইমরান:-১৪৫) এই নির্ধারিত মেয়াদ যখন এসে যাবে তখন প্রত্যেককেই চলে
যেতে হবে। এ প্রসঙ্গে সূরা আরাফে আল্লাহ বলেন প্রত্যেক সম্প্রদায়ের একটি মেয়াদ রয়েছে‌। যখন
তাদের মেয়াদ এসে যাবে তখন আর এক মুহূর্তও না পিছে যেতে পারবে, না এগিয়ে আসতে পারে। (সূরা আল-
আরাফ:-৩৪) এসব আয়াত এ কথারই প্রমাণ দেয় যে যারা দুর্ঘটনায় বা আগুনে পুড়ে কিংবা প্লাবনে বা
অন্য কোন রোগে মারা যায় তারা সকলেই তাদের হায়াত শেষেই মারা যায়। আল্লাহ পাক মানুষের মরণ
নির্ধারিত করার সাথে সাথে কারণ ও নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যার মরণের যে কারণ তিনি নির্ধারিত করে
দিয়েছেন সে কারণেই সে মারা যায়। অন্য কোন কারণে তার মরণ হয় না। এখানে আরেকটি বিষয় পরিষ্কার
হওয়া প্রয়োজন, অনেক সময় দেখা যায় একজন মানুষ খুবই অসুস্থ। কোন ঔষধেই কাজ হলো না। তারপর
তার ডাক্তার পরিবর্তন করে নতুন ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর রোগ ভালো হয়ে যায়। এর অর্থ এই নয়
যে ডাক্তারের ঔষধের কারণে তার রোগ ভালো হলো। বরং রোগ ভালো হলো আল্লাহ ঐ ব্যক্তির সুস্থতার
জন্য ঐ ধরনের ঔষুধকে কারণ হিসেবে তার তাকদিরে নির্ধারণ করে রাখার কারণে। এখানে এক ধরনের
বিভ্রান্তি থাকতে পারে যে, সবই যদি তাকদিরে লিখা থাকে তাহলে রোগ নিরাময়ের জন্য ওষুধ সেবন করার
দরকার কি? এ প্রসঙ্গে একটি হাদিসের সারাংশ উল্লেখযোগ্য একবার আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকদীর সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন সে সময় একজন তাকে প্রশ্ন করেন ইয়া
রাসুলুল্লাহ! তাহলে আমরা কি ওষুধ সেবন করব না? তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম জবাব দেন, তোমরা ওষুধ সেবন করবে। এ থেকে বোঝা যায়, ঔষুধ সেবন করা হলো সুন্নাত।
তবে ওষুধ কাউকে ভালো করতে পারে না। ভালো হয় আল্লাহর ইচ্ছায়। আরেকটি প্রশ্ন করা হয় সবাই যদি

নির্ধারিত হায়াত শেষে মারা যান তাহলে নেক আমলের কারণে মানুষের হায়াত বাড়ে এ হাদিসের ব্যাখ্যা কি?
প্রসঙ্গে দুটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে: (১) নেক আমলের কারণে হায়াত বাড়ার অর্থ হলো, যে ব্যক্তি নেক
আমল করে সে ব্যক্তি তার হায়াতে যে নেক কাজ করে অন্যান্যের পক্ষে আরো অনেক বেশি হায়াত পেয়েও
তত কাজ করা সম্ভব হয় না। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় কেউ ৫০ বছরে যত কাজ করতে পারেন অনেকে
একশত বছর হায়াত পেয়েও তার অর্ধেক কাজ করতে পারে না। নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা
এভাবেই তার আমলে বরকত দান করেন। (২) একজন মানুষের হায়াত সম্পর্কে আল্লাহ যখন ফেরেশতাকে
অবহিত করেন তখন বলেন তার হায়াত এতদিনের। কিন্তু সে যদি নেক আমল করে তাহলে এতদিনের হবে।
ফেরেশতা কিন্তু জানে না সে নেক আমল করবে কি করবে না? কিন্তু আল্লাহর কাছে পরিষ্কার যে সে নেক
আমল করবে কিনা? তাই কোরআনে বর্ণিত নির্ধারিত হায়াত শেষে মরণ অর্থ হলো আল্লাহর ইলমে যার
যে হায়াত নির্দিষ্ট আছে তার মরন সে নির্দিষ্ট সময়েই হবে। আর নেক আমল দ্বারা হায়াত বাড়ার
হাদিসের অর্থ হলো ফেরেশতাদের দৃষ্টিতে মনে হবে নেক আমলের কারণে হায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে
আল্লাহর কাছে তার এ হায়াতই নির্দিষ্ট ছিল। এ আলোচনা থেকে এ কথা পরিষ্কার যে প্রত্যেকের
নির্ধারিত হায়াত শেষেই মালাকুল মউত তার জান কবজ করেন। আরে এ যান কবজ করার সাথে সাথেই তারা
আখিরাতের জীবন শুরু হয়। আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন আল্লাহ তা'আলা আমাদের বুজার তৌফিক দান
করুক। আমিন।