০৭:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পিপলস টিভি ৬
মাদক আলামত গোপন ও দুর্নীতির অভিযোগ

নরসিংদীতে মাদক আলামত গোপন ও দুর্নীতির অভিযোগে ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ

রেজাউল করিম
  • Update Time : ০৬:০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২৩৫ Time View
 
নরসিংদী সংবাদদাতা: নরসিংদীতে বিপুল পরিমাণ মাদক আলামত গোপন ও দুর্নীতির অভিযোগে ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে ।
নরসিংদীতে উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ফেনসিডিল যথাযথভাবে আদালতে উপস্থাপন না করে তা গোপন, বিকৃতি ও দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগে জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং সদর কোর্টে কর্মরত ৬ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
তদন্তে জানা যায়, বিভিন্ন তারিখে উদ্ধারকৃত ৯৬ কেজি গাঁজা ও ১৩০ বোতল ফেনসিডিলের প্রকৃত তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন  ডিবির ওসি এস. এম কামরুজ্জামান, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসেন, এস আই আঃ গাফফার, এস আই শামিনুর রহমান, কনস্টেবল রোমান মিয়া এবং নারী কনস্টেবল কামরুন নাহার।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা আলামত জমা না দিয়ে তা গোপনে রাখেন, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করেন এবং কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে সহকর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য করেন। মালখানার ইনচার্জ এস আই শামিনুর রহমান ও কনস্টেবল কামরুন নাহার একাধিকবার নিয়মভঙ্গ করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
এছাড়াও এস আই গাফফার আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আলামত ধ্বংসের আবেদন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করেন। কনস্টেবল রোমান মিয়ার বিরুদ্ধেও আলামত জালিয়াতির চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে সকল অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন এবং মাদক বিক্রি অপরাধ  তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হওয়ার পর সাবেক ডিবির ওসি কামরুজ্জামান গং নরসিংদীর পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন সংবাদ গুলো সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন। দুর্নীতিবাজ কামরুজ্জামান নিজের অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়কে মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করেছে, যেই তিনটি টাকা প্রেরণের কথা প্রকাশ করা হয়েছে এগুলো আমি বিভিন্ন অনুদান দিয়েছি, আমার টাকা সে প্রেরণ করেছে।  আমি অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত ছিলাম তাই এই অনুদানের টাকা তার মাধ্যমে পাঠিয়েছিলাম এবং
৫০ লাখ টাকার যে ঘটনা এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক।
পিপলস টিভি ৬
এটা কোন ঘুষ লেনদেনের টাকা  না আমার  আত্মীয়-স্বজনের ব্যবসার টাকা সম্পূর্ণ কাগজপত্র আমার কাছে আছে, প্রকাশিত সংবাদগুলো  মিথ্যা বানোয়াট আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

2 thoughts on “নরসিংদীতে মাদক আলামত গোপন ও দুর্নীতির অভিযোগে ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ

  1. I would like to thnkx for the efforts you’ve put in writing this site. I’m hoping the same high-grade website post from you in the upcoming also. In fact your creative writing abilities has encouraged me to get my own site now. Really the blogging is spreading its wings rapidly. Your write up is a good example of it.

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thedailysarkar@gmail.com

About Author Information

মাদক আলামত গোপন ও দুর্নীতির অভিযোগ

নরসিংদীতে মাদক আলামত গোপন ও দুর্নীতির অভিযোগে ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ

Update Time : ০৬:০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
ফেসবুক: https://www.facebook.com/BangladeshNezameislamparty
ইউটিউব:www.youtube.com/@bangladeshnezameislamparty
 
নরসিংদী সংবাদদাতা: নরসিংদীতে বিপুল পরিমাণ মাদক আলামত গোপন ও দুর্নীতির অভিযোগে ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে ।
নরসিংদীতে উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ফেনসিডিল যথাযথভাবে আদালতে উপস্থাপন না করে তা গোপন, বিকৃতি ও দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগে জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং সদর কোর্টে কর্মরত ৬ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
তদন্তে জানা যায়, বিভিন্ন তারিখে উদ্ধারকৃত ৯৬ কেজি গাঁজা ও ১৩০ বোতল ফেনসিডিলের প্রকৃত তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন  ডিবির ওসি এস. এম কামরুজ্জামান, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসেন, এস আই আঃ গাফফার, এস আই শামিনুর রহমান, কনস্টেবল রোমান মিয়া এবং নারী কনস্টেবল কামরুন নাহার।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা আলামত জমা না দিয়ে তা গোপনে রাখেন, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করেন এবং কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে সহকর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য করেন। মালখানার ইনচার্জ এস আই শামিনুর রহমান ও কনস্টেবল কামরুন নাহার একাধিকবার নিয়মভঙ্গ করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
এছাড়াও এস আই গাফফার আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আলামত ধ্বংসের আবেদন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করেন। কনস্টেবল রোমান মিয়ার বিরুদ্ধেও আলামত জালিয়াতির চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে সকল অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন এবং মাদক বিক্রি অপরাধ  তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হওয়ার পর সাবেক ডিবির ওসি কামরুজ্জামান গং নরসিংদীর পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন সংবাদ গুলো সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন। দুর্নীতিবাজ কামরুজ্জামান নিজের অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়কে মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করেছে, যেই তিনটি টাকা প্রেরণের কথা প্রকাশ করা হয়েছে এগুলো আমি বিভিন্ন অনুদান দিয়েছি, আমার টাকা সে প্রেরণ করেছে।  আমি অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত ছিলাম তাই এই অনুদানের টাকা তার মাধ্যমে পাঠিয়েছিলাম এবং
৫০ লাখ টাকার যে ঘটনা এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক।
পিপলস টিভি ৬
এটা কোন ঘুষ লেনদেনের টাকা  না আমার  আত্মীয়-স্বজনের ব্যবসার টাকা সম্পূর্ণ কাগজপত্র আমার কাছে আছে, প্রকাশিত সংবাদগুলো  মিথ্যা বানোয়াট আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।